পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানা এলাকায় চাঞ্চল্যকর শিশু আল-আমিন হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। মোটরসাইকেল কেনার টাকা যোগাতে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেন। পরে সে অনুযায়ী শিশু আল-আমিনকে (৭) অপহরণের পর খুন করেন তারা। গ্রেফতারকৃতরা হলো- হৃদয় হোসেন (২০), সাদ্দাম হোসেন (১৯) ও নাজমুল হোসেন (১৬)। গতকাল শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়।
পিবিআই মানিকগঞ্জ ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর আলম জানান, রাজনৈতিক নেতাদের নজরে আসতে নিজেদের মোটরসাইকেল থাকার প্রয়োজন বোধ করেন ওই তিন তরুণ। সামর্থ্য না থাকলেও মোটরসাইকেল কেনার টাকা যোগাতে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী শিশু আল-আমিনকে (৭) অপহরণের পর খুন করেন তারা।
তিনি আরো জানান, গত ২৮ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে শিশু আল-আমিন বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তায় বাইসাইকেল চালানোর জন্য বের হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা সময় গেলেও শিশুটি বাড়িতে ফিরে না আসায় তার মা খোঁজ শুরু করেন। পরবর্তীসময়ে ছেলেকে না পেয়ে বাবা শহিদুল ইসলাম ২৯ আগস্ট সিংগাইর থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। পরে ৩১ আগস্ট সকালে বেরুন্ডি গ্রামে পরিত্যক্ত একটি ভিটা থেকে আল-আমিনের লাশ উদ্ধার করেন স্বজনরা।
তিনি বলেন, অর্থ উপার্জনের জন্য যে কাউকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করার পরিকল্পনা করেন জড়িতরা। এজন্য প্রথমে এলাকার বাসিন্দা রুপমের ছেলে রোহান ও তোতা মিয়ার ছেলে রহমতের মধ্যে যেকোনো একজনকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। কিন্তু রাস্তায় আল-আমিনকে পেয়ে গেলে তাকেই অপহরণ করেন তারা। গ্রেফতার হৃদয় প্রথমে আল-আমিনকে বন্যার পানি দেখানোর কথা বলে সাপের ভিটা এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে নাজমুল আগেই অবস্থান করছিল। তারা দু’জন প্রথমে আল-আমিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে লাশ ঢুকিয়ে রাখে। তাদের পরিকল্পনা ছিল শিশুটিকে হত্যার পর নতুন সিম থেকে শিশুর স্বজনদের ফোন দিয়ে মুক্তিপণ আদায় করবে। কিন্তু ঘটনার দিন নতুন সিম সংগ্রহ করতে না পারায় আল-আমিনের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি সাদ্দাম। এদিকে, মুক্তিপণ চাওয়ার আগেই স্থানীয়রা শিশুটির লাশ পেয়ে যাওয়ায় এলাকা ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন তারা।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা পালানোর জন্য প্রথমে মানিকগঞ্জ থেকে সাভারের একটি হোটেলে ওঠে। পরে ভারতে পালানোর জন্য যশোরের বেনাপোল সীমান্তে চলে যান। তবে ভারতে পালাতে ব্যর্থ হলে রাজবাড়ীতে চলে আসেন তারা। পরে সেখানে আত্মগোপনে থাকার চেষ্টা করলেও তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পিবিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।