ইনকিলাব ডেস্ক : এ বছর রসায়ন শাস্ত্রে নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। সুইডিশ নোবেল কমিটির বক্তব্যে বলা হয়, বিশ্বের ‘সবচেয়ে ক্ষুদ্র যন্ত্র’ তৈরির জন্য তিনজন যৌথভাবে এই পুরস্কার জিতেছেন। জ্যঁ-পিয়েরে সাউভেজ, স্যার জে ফেজার স্টোডার্ট এবং বার্নার্ড এল ফেরিঙ্গার মধ্যে পুরস্কারের আট মিলিয়ন ডলার ভাগ হবে। নোবেল কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অণু সমতুল্য ক্ষুদ্রতম যন্ত্রের নকশা ও সংশ্লেষণ-এর জন্য তারা এই পুরস্কার লাভ করেন। তাদের অবদান রসায়ন শান্ত্রকে ভিন্নতর উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। রসায়নে নোবেলজয়ী জ্যঁ-পিয়েরে সাউভেজ ফ্রান্সের ইউনিভার্সিটি অব স্ট্রাসবুর্গের, স্যার জে ফেজার স্টোডার্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইভান্সটনে অবস্থিত নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির এবং বার্নার্ড এল ফেরিঙ্গা নেদারল্যান্ডসের ইউনিভার্সিটি অব গ্রোনিনজেন-এর প্রফেসর।
সুইডেনে একটি সংবাদ সম্মেলনে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীরা ১৯০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২০০ জনের তালিকায় যুক্ত হলেন।
রীতি অনুযায়ী আগামী ১০ ডিসেম্বর স্টকহোমে তিন বিজ্ঞানীর হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে। পুরস্কারের ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার তারা ভাগ করে নেবেন।
জীবন্ত কোষ কী করে তার ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএ মেরামত করে, আর কেমন করে জিনে থাকা তথ্যের সুরক্ষা দেয়া হয়- সেই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়ে গতবছর রসায়নের নোবেল পান সুইডেনের টোমাস লিন্ডল, যুক্তরাষ্ট্রের পল মডরিচ ও তুরস্কের আজিজ সানজার।
উল্লেখ্য, সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের শেষ ইচ্ছা অনুসারে গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবতার কল্যাণে অবদানের জন্য প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। আগামীকাল শান্তি এবং ১০ অক্টোবর সোমবার অর্থনীতিতে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। আর সাহিত্যের জন্য নোবেল পুরস্কারের তারিখ ১৩ই অক্টোবর।
উল্লেখ্য, ১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল তার মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮তে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি।
পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করা এবং নোবেল পুরারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। আর বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ একাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেয়া হয়। সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান।