Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

উত্তাপ রানিংমেটদের বিতর্কেও

প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হিলারি ও ট্রাম্পকে নিয়ে পাল্টাপাল্টি আক্রমণ দুই প্রার্থীর প্রথম বিতর্কে অল্পতে জয়ী হতে পারেন ট্রাম্পের রানিংমেট
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রধান দুই প্রার্থী রিপাবলিকান দলীয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘পবাকা ও উন্মাদ’ এবং ডেমোক্র্যাট দলীয় হিলারি ক্লিনটনকে ‘দুর্বল ও নিস্তেজ’ বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। মঙ্গলবার ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের লংউড বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া উত্তাপ ছড়ানো বিতর্কে দুই দলের দুই ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী গর্ভপাত থেকে শুরু করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন প্রসঙ্গে বিতর্কে মেতে উঠলেও তাদের পরস্পরের আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন ট্রাম্প ও হিলারি। ৯০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চলা এ বিতর্কে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী ভার্জিনিয়ার সিনেটর টিম কেইন ও রিপাবলিকান প্রার্থী ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর মাইক পেন্স, কেউই প্রতিদ্বন্দ্বীকে পুরোপুরি ধরাশায়ী করার মতো কোনো বক্তব্য দিতে পারেননি। তবে বিতর্ক শেষ হওয়ার পর সিএনএন/ওআরসি-র তাৎক্ষণিক জরিপে ৪৮ শতাংশ ভোটার বিতর্কে পেন্স জয়ী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। অপরদিকে কেইনকে বিজয়ী বলেছেন ৪২ শতাংশ ভোটার, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এর ৩৪ দিন আগে অনুষ্ঠিত মঙ্গলবারের বিতর্কের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন সচরাচর শান্ত হিসেবে পরিচিত কেইন। তবে দু’জনের বিতর্ক যখন প্রায় কথা কাটাকাটির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে তখন পেন্সকে অনেকটা স্থির মনে হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকেরা। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে তার অধীনে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে বিপদ ঘটতে পারে বিতর্কে এমন প্রসঙ্গ চলার সময় কেইন সাবেক রিপাবলিকান দলীয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, রিগ্যান একবার সতর্ক করে বলেছিলেন পরমাণু অস্ত্রের বিস্তারে ‘কিছু বোকা কিংবা উন্মাদকে ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি’ সৃষ্টিতে ইন্ধন যোগাতে পারে।
কেইন বলেন, রিগ্যান ট্রাম্পের মতো কারো কথা বিবেচনা করেই ওই কথা বলেছিলেন। ৫৮ বছর বয়সী সিনেটর কেইন ট্রাম্পের মানসিক স্থৈর্য্য নিয়েও সমালোচনা করেন। সাবেক বিশ্বসুন্দরীর সঙ্গে টুইটারে বাদানুবাদে জড়িয়ে ট্রাম্প নিজের ক্ষতি ডেকে এনেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভভøাদিমির পুতিনকে প্রশংসা করে ট্রাম্পের করা মন্তব্যেরও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। কেইন বলেন, ট্রাম্প একনায়কদের প্রশংসা করেন, তার ‘নিজস্ব মাউন্ট রাশমোরে’ পুতিন, কিম জং উন, সাদ্দাম হোসেন ও মুয়াম্মার গাদ্দাফির মুখ খোদিত আছে। জবাবে ৫৭ বছর বয়সী গভর্নর পেন্স বলেন, ট্রাম্পের শক্তির কারণে পুতিন তাকে শ্রদ্ধা করবেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাশিয়ার ‘ক্ষুদ্র ও বাগাড়ম্বর প্রিয়’ নেতা বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের চলমান প্রশাসনের কারণে। পুতিন সম্পর্কে ট্রাম্পের মন্তব্য কোনো অনুমোদন নয় দাবি করে তিনি বলেন, “এগুলো হিলারি ক্লিনটন ও বারাক ওবামার দুর্বল ও নিস্তেজ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ।”
ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের এই বিতর্ক আগামী রোববার মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের পরবর্তী বিতর্কের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হিলারি ও ট্রাম্পের প্রথম বিতর্কে হিলারি বিজয়ী হয়েছিলেন বলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার জানিয়েছিল। বিবিসির সর্বশেষ জরিপে হিলারির জনসমর্থন ৪৯ শতাংশ আর ট্রাম্পের ৪৫ শতাংশ।
হিলারি-ট্রাম্পকে সমর্থন দিলেন যেসব সেলিব্রেটি
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে শুধু দেশটিই নয়, সারাবিশ্ব সচকিত। যাচাই-বাছাই হচ্ছে শক্তিধর দু’প্রার্থী ডেমোক্রেট হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে। এরই মধ্যে তাদের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন অনেক হাই প্রোফাইল ব্যক্তি, ধনী, হলিউডের বিখ্যাত ব্যক্তি, দম্পতি। তারা শুধু সমর্থনই দেননি, একই সঙ্গে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। প্রার্থীর পক্ষে অর্থ সংগ্রহের অভিযানে নেমেছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা পারফরমেন্স করছেন। এ-লিস্টের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ সমর্থন দিয়েছেন হিলারি ক্লিনটনকে। এর মধ্যে রয়েছেন কিম কারদাশিয়ান। ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে তো নেমেছিল তারার ঢল। এর মধ্যে ছিলেন মেরিল স্ট্রিপ, লিনা ডানহ্যাম, এলিজাবেথ ব্যাংকস, অ্যালিসিয়া কিজ। তারা প্রকাশ্যে হিলারিকে সমর্থন দিয়েছেন।
অন্যদিকে হিলারিকে যারা সমর্থন দিয়েছেন তারা এখন আর ‘হট’ নন বলে মন্তব্য করেছেন হিলারির প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এসব সমর্থন এসেছে বোঝাপড়ার মাধ্যমে। তারা আসলে হিলারিকে সমর্থন দেননি। তবে তিনি নিজের সেলিব্রেটি সমর্থকদের নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এপ্রিলে তাকে সমর্থন দেন সাবেক হেভিওয়েট বক্সার মাইক টাইসন। ওরল্যান্ডোতে নাইক ক্লাবেগুলোর মতো ঘটনার জবাব না দিয়ে থাকবে না ট্রাম্পের প্রশাসন এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক অভিনেত্রী স্ট্যাসি ডাশ। অ্যানজেলিনা জোলির পিতা জন ভোইট হলেন ট্রাম্পের সবচেয়ে অনুগত সমর্থক। এনবিএর সাবেক খেলোয়াড় ডেনিস রোডম্যান সমর্থন দিয়েছেন ট্রাম্পকে। সূত্র : বিবিসি, সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উত্তাপ রানিংমেটদের বিতর্কেও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ