পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুদ্ধাবস্থায় সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বসছেন রাজনাথ সিং
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রমাণ হস্তান্তর করেছে পাকিস্তান। ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত জলিল আব্বাস জিলানি মার্কিন বিশেষ দূত রিচার্ড ওলসনের হাতে এ প্রমাণাদি তুলে দেন। গত মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন তারা।
এ সময় রাষ্ট্রদূত জিলানি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কাশ্মীর বিষয়ে মনোযোগ দেয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীসহ নির্দোষ জনসাধারণের সঙ্গে যে অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ করা হচ্ছে, তার প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর দেয়া উচিত বলে উল্লেখ করেন তিনি। কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়বদ্ধতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন পাক রাষ্ট্রদূত। বলেন, কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবনা ভারত একতরফাভাবে প্রত্যাখ্যান করতে পারে না। ভারত যেহেতু একটি জাতিসংঘের সদস্য দেশ। তাই জম্মু-কশ্মীরের অবস্থা তদন্তে দেশটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক সহায়তা সংগঠনকে সেখানে যাতে প্রবেশ করতে দেয়, তা নিশ্চিত করতে হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে। গত সোমবার এক সর্বদলীয় বৈঠকে ভারতের আগ্রাসন ও কাশ্মীর ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়ার ঘোষণা দেয় পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক দল। এর একদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের হাতে প্রমাণ তুলে দিল পাকিস্তান। গত ৮ জুলাই কাশ্মীরের প্রসিদ্ধ বিদ্রোহী নেতা বুরহান ওয়ানি নিহত হয়। এর প্রতিবাদে টানা সহিংসতায় সেখানে শতাধিক কাশ্মীরি নিহত হয়। এ ঘটনায় দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়তে থাকে। ডন।
সীমান্ত রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বসছেন রাজনাথ সিং
পাকিস্তানের সঙ্গে উদ্ভূত যুদ্ধপরিস্থিতিতে ওই দেশের সীমান্ত সংলগ্ন চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে জয়সলমির শহরে। নিরাপত্তা বিষয়ক ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জম্মু-কাশ্মির, পাঞ্জাব, গুজরাট এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আগামী শুক্রবার ও শনিবার বৈঠকে বসবেন।
উরি সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে উদ্ভূত যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারত অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবের সীমান্ত অঞ্চল থেকে জনগণকে সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সেসব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই বৈঠকে বিএসএফ এবং গোয়েন্দা সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। সেখানে সীমান্ত রাজ্যগুলোর পুলিশ এবং সীমান্তরক্ষীদের মধ্যকার সমন্বয় রক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
উল্লেখ্য, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বারামুল্লাহ জেলারই উরি সেনাঘাঁটিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর জঙ্গি হামলায় ১৯ ভারতীয় সেনা নিহত হন। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতের সেনারা জঙ্গি ঘাঁটিগুলোতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে বলে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। অভিযানে ৯ পাকিস্তানি সেনা ও ৩৫ থেকে ৪০ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
এর বিপরীতে পাকিস্তান দাবি করে আসছে, এটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছিল না, সীমান্ত সংঘর্ষ বা আন্তঃসীমান্ত গোলাগুলির ঘটনা ছিল। এতে তাদের দুই সেনা নিহত হয়েছে। ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসও মোদি সরকারের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। ওয়াশিংটন টাইমসসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও তাই মনে করে। তবে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো সরকারি দাবিকেই ‘সত্য’ বলে প্রচারণা চালাচ্ছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।