Inqilab Logo

শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ক্যাপ্টেন নওশাদকে বনানী কবরস্থানে দাফন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমকে বনানী কবরস্থানে মা নাসিমুস সুবা মুকুল ও বোন রাবেয়া খাতুন মিমুর কবরে দাফন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে দাফন করা হয়। এর আগে দুই দফায় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৮০ সালে মারা যান তার বোন রাবেয়া। ওই বোনের কবরে ২০১২ সালে তার মাকে দাফন করা হয়েছিল। একই কবরে গতকাল নওশাদকে দাফন করা হয়।
এর আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি—০২৬ ফ্লাইটে ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের লাশ ঢাকার হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। নওশাদের লাশ বহনকারী ফ্লাইটটি রানওয়েতে অবতরণের আগে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সহকর্মী পাইলটরা। মরহুমের সহকর্মীর লাশ ফ্লাইট থেকে নিজেরাই নামিয়ে আনেন।

গত ৩০ আগস্ট ভারতের নাগপুরে মারা যান ক্যাপ্টেন নওশাদ। পরে তার লাশ নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের মচুর্য়ারিতে ছিল। গত ২৭ আগস্ট ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি—০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ বোধ করেন। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে ফ্লাইটটিকে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান।
একই সময় তিনি কো—পাইলটের কাছে ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন। কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইটটিকে নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো—পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিম ফ্লাইটটি অবতরণ করান।

ফ্লাইটটি অবতরণের পর ক্যাপ্টেন নওশাদকে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দুই দিন চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে গত ২৯ আগস্ট তাকে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এসআইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ