Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র : মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বৃত্তি

প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মেধাবী শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত এবং আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা, মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদান করে চলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার প্রাথমিক ও জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষার বিপরীতে বৃত্তির সংখ্যাও বাড়িয়েছে। বর্তমানে পরীক্ষার ফলাফল ও থানা প্রতি শিক্ষার্থীর সংখ্যার ভিত্তিতে বৃত্তি প্রাপ্তব্য শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়ে থাকে। এতে করে দেশের সকল ভৌগোলিক এলাকার মেধাবী শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে। সন্দেহ নেই এ বৃত্তি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আরো বেশি মনোযোগী করে তুলতে ভূমিকা রাখছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবী পুলের শিক্ষার্থী মাসে ৬০০ টাকা এবং সাধারণ মেধাবী শিক্ষার্থী মাসে ৩৫০ টাকা হারে বৃত্তি পাচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিক পাঠের দুই বছর এ বৃত্তি তারা পেয়ে থাকে। এ দু’বছরের প্রতি বছর তারা শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের জন্য অতিরিক্ত ৩০০ টাকা হারে বৃত্তি পায়। বর্তমানে দ্রব্যসামগ্রীর মূল্যস্তর বিবেচনায় বৃত্তির এ পরিমাণ অর্থ অপ্রতুল। বৃত্তি প্রদান অর্থবহ করার জন্য তা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। মেধা পুলের একজন শিক্ষার্থীকে মাসে অন্তত ১,০০০ টাকা এবং সাধারণ মেধা তালিকায় একজন শিক্ষার্থীকে মাসে অন্তত ৮০০ টাকা হারে বৃত্তি প্রদান করা উচিত। তাছাড়া বাৎসরিক শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের জন্য অতিরিক্ত ১,০০০ টাকা প্রদান করা যেতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। সে অনুসারে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানো হয়নি। বৃত্তির সংখ্যাও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আশরাফ হোসেন
৮/এ, রমনা, ঢাকা-১০০০।

ডাক্তারদের ফি
ডাক্তারদের ফি নিয়ে সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করলেও এখনো পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। এমবিবিএস ডিগ্রিধারী ডাক্তার ফি নিচ্ছেন ৪০০ টাকা। কতিপয় ডাক্তার বিশেষজ্ঞ না হয়েও ফি নিচ্ছেন ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। এফসিপিএস ডিগ্রিধারী অনেক ডাক্তারই ফি নিচ্ছেন ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা। রোগীদের জিম্মি করা হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় গরিব রোগীরা ১০০-২০০ টাকা ফি কম দিলে তাদের প্রেসক্রিপশনও রেখে দেওয়া হচ্ছে। ইনভেস্টিগেশনের রিপোর্ট দেখাতে গেলেও ডাক্তারদের দিতে হয় ৩০০-৪০০ টাকা। এটা রোগীদের ওপর জুলুম। এ অবস্থায় ডাক্তারদের ফি সংক্রান্ত নীতিমালা দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আশীষ শীল শ্রাবণ
চারিয়া, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

কলেজ শাখার এমপিওভুক্তির আবেদন
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলাধীন নয়াবাজার কে সি স্কুল অ্যান্ড কলেজটি ১৯১৮ সালে স্থাপিত।
২০১৩ সালে এই বিদ্যালয়ে যুক্ত করা হয় কলেজ শাখা। পড়ালেখার মান ভালো হওয়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। কুলাউড়া উপজেলার অন্যান্য কলেজের সঙ্গে তুলনা করলে প্রথম থেকেই এই কলেজের ফলাফল অনেক ভালো। ফলাফল ভালো হলেও কলেজটি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। যার ফলে শিক্ষকদের সম্মানী দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কলেজ কমিটি। শিক্ষকরা সরকারি বেতন ছাড়া সামান্য সম্মানী নিয়ে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সামান্য সম্মানী নিয়ে কতদিন চলতে পারবেন শিক্ষকরা? সুতরাং মানসম্পন্ন শিক্ষাদানের কথা মাথায় রেখে মৌলভীবাজারের এই পুরনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখা এমপিওভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. নিজাম উদ্দিন
ইংরেজি বিভাগ, মৌলভীবাজার সরকারি
কলেজ, মৌলভীবাজার।

গ্রামীণ ক্রীড়া ফেডারেশন
প্রয়োজন
গ্রামীণ খেলাধুলা নিজস্ব জাতিসত্তা, জীবনধারা, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক। এসব খেলার সঙ্গে নাড়ির সম্পর্ক রয়েছে। অথচ আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে অনেক খেলা। এর মধ্যে কুস্তি, সাঁতার, লাট্টু/লাটিম, কুতকুত, ছয়গুটি, সাতচাড়া, পুতুল, বৌ বৌ, লুডু, ক্যারাম, মার্বেল, টোক্কাটুক্কি, ডাঙ্গুলি, কাবাডি, গোল্লাছুট, হাড়িভাঙ্গা, কাঠিছোঁয়া, দড়ি লাফানো, দড়ি টানাটানি, চেয়ার সেটিং, রুমাল চুরি, কানামাছি, ওপেনটি বাইস্কোপ, নৌকাবাইচ, ঘোড়াদৌড়, আগডুম বাগডুম, কপাল টোকা, বউরানী, ছক্কা, লাঠিখেলা, রাম শাম যদু মধু, চোর ডাকাত, মার্বেল, ষাঁড়ের লড়াই, মোরগ লড়াই অন্যতম। গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় খেলা নিয়ে প্রাণচাঞ্চল্য কিংবা টানটান উত্তেজনা এখন আর চোখে পড়ে না। অথচ সুস্থ বিনোদন ও পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি গড়ার অন্যতম প্রধান অবলম্বন ছিল গ্রামীণ খেলা।
গ্রামাঞ্চলে খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত বা অনাবাদি জমি না থাকা, টেলিভিশনের প্রতি কিশোরদের অধিক মনোযোগ, গণমাধ্যমে ক্রিকেট খেলার ব্যাপক প্রচারই গ্রামীণ খেলাধুলা হারিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ। এছাড়া আকাশ সংস্কৃতি তো আছেই। এক সময় গ্রামীণ জনপদে হাডুডু, ফুটবল ও ভলিভল খেলা ব্যাপক আলোড়ন তুলত। মাইকে ঘোষণা দিয়ে বিপুল আয়োজনের মধ্যদিয়ে এক গ্রামের সঙ্গে অন্য গ্রামের তুমুল প্রতিযোগিতা হতো। এসব খেলা আয়োজনকে ঘিরে গ্রামে এক আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করত।
আমাদের আদি ক্রীড়া সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি পর্যায়ে গ্রামীণ ক্রীড়া ফেডারেশন গঠন করা একান্ত প্রয়োজন। গ্রামীণ ক্রীড়া ফেডারেশনের কাজ হবে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকজ খেলা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও আয়োজন করা। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোস্তফা জাহাঙ্গীর আলম
আখন্দ বাড়ি, গ্রাম: নরসিংহপাড়া
উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ।

শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ
বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করেছে। সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক স্তর হবে নবম থেকে দ্বাদশ। তবে অবকাঠামোগত এবং শিক্ষার মানের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। প্রাথমিকে নজর দিতে হবে সবচেয়ে বেশি। একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, চিকিৎসা এবং সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমে জোর দিতে হবে। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে হবে। দেশের সেবায় নিজেদের উপযুক্তভাবে গড়ে তুলতে হবে। মাধ্যমিকে যাওয়ার পর সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে কর্মমুখী শিক্ষার সমন্বয় ঘটাতে হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমতো কোনো না কোনো টেকনিক্যাল বিষয় বেছে নেবে। তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। দেশের জনগোষ্ঠীকে দক্ষ করতে পারলে আমাদের বড় আয়ের পথ হতে পারে। আমাদের রয়েছে পোশাক খাত। যদিও এ খাতে বর্তমানে সংকট রয়েছে, তবে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারলে আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমাদের কৃষিখাত, মৎস্যখাত, পশুপালন, নার্সারি, বনায়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে অপার সম্ভাবনা। জনশক্তি রপ্তানিতে আমরা সাফল্য দেখাতে পারি। ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিটি খাতেই আমরা যদি কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে চাই তবে শিক্ষার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। বিশ্ব কী চায় সে অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থায় তাই বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে হবে। এটা সরকার একা করতে পারবে না। দেশের শিক্ষাবিদসহ সচেতন মহলকে এগিয়ে আসতে হবে। যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা দেশকে গড়ে তুলব। শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ- এই শ্লোগান হোক আমার, আপনার, সবার।
ইউনুস আহমেদ
ব্যাংক কলোনী, সাভার, ঢাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চিঠিপত্র : মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বৃত্তি
আরও পড়ুন