Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২৫ দিনে রেমিট্যান্স দেড় বিলিয়ন ডলার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

চলতি আগস্ট মাসের ২৫ দিনে ১৫৫ কোটি (১ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ২০ পয়সা ধরে) যার পরিমাণ ১৩ হাজার ২১০ কোটি টাকার বেশি। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাসের শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ১৯০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের নগদ প্রণোদনা ও করোনায় বিদেশ ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণের কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে। ফলে করোনা মহামারির মধ্যেও রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক রয়েছে। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ১ আগস্ট ব্যাংক বন্ধ ছিল। তাই ২ আগস্ট থেকে রেমিট্যান্সের হিসাব করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২ থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৩ কোটি মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১১৮ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৯ লাখ ডলার। দুটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে একটিতে এসেছে দুই কোটি ৭৪ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি মাসের ২৫ দিনে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে ৪৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার এসেছে। এরপর ডাচ-বাংলা ব্যাংক প্রায় ১৬ কোটি, অগ্রণী ব্যাংক ১৩ কোটি ৮২ লাখ, সোনালী ব্যাংক আট কোটি ৯৬ লাখ এবং পূবালী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে পাঁচ কোটি ১৮ লাখ ডলার।

এই সময়ে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স পাঠাননি প্রবাসীরা। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ একের পর এক রেকর্ড গড়ছে। এর সঙ্গে বৈদেশিক ঋণ সহায়তা যোগ হওয়ায় গত ২৪ আগস্ট রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে প্রবাসীরা ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার (১.৮৭ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসেনি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। তারও আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল ওই সময়ে রেকর্ড এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার। ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরো দুই টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন তিনি। এছাড়া ঈদ ও উৎসবে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সরকারের প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি এক শতাংশ দেওয়ার অফার দিচ্ছে। এতে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন প্রবাসীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেমিট্যান্স

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ