পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রি ও হস্তান্তর থেকে বিরত রাখতে দেয়া নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট। এক আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল রোববার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি আগামি ৯ সেপ্টেম্বর।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট শামছ্ উদ্দিন বাবুল ও সৈয়দা নাসরিন। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী। আগে গতবছর ৫ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র বেচতে চায় সরকার’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এটি যুক্ত করে ওই বছর ১৫ নভেম্বর সিনিয়র এডভোকেট জেড আই খান পান্না ও আইন ও সালিশ কেন্দ্র। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত বছর ২৪ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করে। একই সঙ্গে বিক্রির ওপর অন্তর্বর্তীকালিন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রগুলো বিক্রি ও হস্তান্তর কার্যক্রম কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করা হয়। রিটে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য সচিবসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এছাড়া একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রি ও হস্তান্তর থেকে বিরত রাখতে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রগুলো জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানিয়ে বিবাদীদের ৬ মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল রিটটি শুনানির জন্য ওঠে।
শুনানিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্র’র পক্ষে সৈয়দা নাসরিন বলেন,একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রগুলো সংরক্ষণে নেয়া পদক্ষেপ জানিয়ে ৬ মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও কোনো প্রতিবেদন পাইনি। অপর আইনজীবী শামছ্ উদ্দিন বাবুল শুনানিতে বলেন,বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়ে দিতে পারেন।
কেননা ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।