Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশজুড়ে ৫০ হাজার কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা এখানে পণ্য!

প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফারুক হোসাইন : রাজধানী কিংবা দেশের যেকোন বড় শহরের অলিতে-গলিতে প্রতিদিনই ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে কিন্ডারগার্টেন স্কুল। বাদ নেই ইউনিয়ন, গ্রাম, চরাঞ্চল পর্যন্তও। একইভাবে বাড়ছে অনুমোদনহীন ব্যক্তি পর্যায়ে পরিচালিত বিদ্যালয়। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দূরত্বের বিধান থাকলেও ৫০ গজের মধ্যেই রয়েছে একাধিক কিন্ডারগার্টেন স্কুল। ভর্তি ফি, টিউশন ফিসহ কোন ধরনের ফি আদায়ের ক্ষেত্রে একটির সাথে অন্যটির মিল নেই। নীতিমালা না থাকায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কিংবা মালিকের ইচ্ছে মাফিক অর্থ আদায় করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। নীতিমালা এবং তদারকি ছাড়াই সারাদেশে পরিচালিত হচ্ছে ৫০ হাজারের মতো কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও ব্যক্তি পর্যায়ে পরিচালিত বিদ্যালয়। শিক্ষাকে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উচ্চ হারে অর্থ আদায় করলেও এসব স্কুলে শিক্ষার তেমন কোন পরিবেশ নেই। নেই পর্যাপ্ত ক্লাস রুম, খেলার মাঠ। ছোট একটি বাসা কিংবা দু’-তিনটি রুম ভাড়া করেই চলছে এর শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষকদেরও নেই পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ। বড় শহরগুলোতে শিক্ষকদের বেতন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিলেও জেলা ও উপজেলা শহরের কিন্ডারগার্টেনের স্কুলে শিক্ষকরা বেতন পায় ৩ থেকে ৮ হাজার টাকা। বাড়তি আয়ের পথ হিসেবে কোচিং কিংবা প্রাইভেটেই ভরসা করেন তারা। এছাড়া মূল ধারার সাথে মিল নেই এসব স্কুলের পাঠ্যপুস্তকেও। এ দেশের শিক্ষার্থীরা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করলেও তাদের মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাস না পড়িয়ে পড়ানো হয় বিদেশিদের ইতিহাস। ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাদানের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানগুলোর কোন আগ্রহই নেই। আপত্তি রয়েছে সরকারি নীতিমালা মানতেও। সরকারের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোকে নীতিমালার আওতায় আনার কথা বললেও তা বক্তব্যের পর্যায়েই রয়ে গেছে। আবারও প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, শিগগিরই কিন্ডারগার্টেন ও ব্যক্তি পর্যায়ে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোকে তদারকির আওতায় আনা হবে। এসব বিদ্যালয়কে মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে একই পাঠ্যক্রমের আওতায় আনলে দূরত্বসহ অন্যান্য অনিয়ম কমে আসবে।
রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন শহর ঘুরে এবং খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোথাও দু’টি রুম, কোথাওবা তার বেশি রুম নিয়ে রাজধানীর অলিগলিতে গড়ে উঠেছে কিন্ডারগার্টেন স্কুল। প্রতি বছরই বাড়ছে এমন স্কুলের সংখ্যা। তথাকথিত উচ্চ শিক্ষার বাসনা নিয়ে অভিভাবকরাও এসব স্কুলে তাদের সন্তানদের ভর্তি করছেন। অথচ এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশেরই নেই কোন নিবন্ধন। পাঠদান ও শিক্ষা কার্যক্রম পদ্ধতিও পরিচালিত হয় নিজেদের মন মতো। দেশীয় শিক্ষাক্রমের চেয়ে বিদেশী শিক্ষাক্রম অনুসরণেই আগ্রহী তারা। অথচ কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার গত ২০১২ সালে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে। নীতিমালা অনুযায়ী সে বছর জুন মাসের মধ্যে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর নিবন্ধন করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু বেঁধে দেয়া সময় তো দূরের কথা, এর দুই বছর পরও নিবন্ধনে আগ্রহী হয়নি অধিকাংশ স্কুল। পরবর্তীতে ২০১৪ সালেও কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো নিবন্ধনের উদ্যোগ নেয় সরকার। কিন্তু সেবারও কিছু প্রতিষ্ঠান ছাড়া অধিকাংশই এতে আগ্রহ দেখায়নি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, রাজধানীতে যেসকল কিন্ডারগার্টেন স্কুল নিবন্ধন ছাড়া শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে তাদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এখন একটি টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে সারা দেশে জরিপকাজ চলছে। শিগগিরই জরিপকাজ শেষ হবে। জরিপ শেষ হলেই কিন্ডারগার্টেন ও ব্যক্তি পর্যায়ে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোর তদারকির দায়িত্ব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর বর্তাবে। এরপরই এসব বিদ্যালয়কে মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে একই পাঠ্যক্রমের আওতায় আনা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, যে সকল কিন্ডারগার্টেন স্কুল প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কিংবা দেশীয় কারিকুলাম অনুসরণ করে তাদেরকে নীতিমালার আওতায় আনা হচ্ছে। তবে যারা বিদেশী কারিকুলামে পাঠদান করছে, বিশেষ করে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলো। তাদেরকে কিভাবে নীতিমালায় আনা যায় সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ইংরেজি মাধ্যম স্কুল এবং ভিনদেশী কারিকুলাম অনুসরণ করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়েও কিভাবে তদারকি করা হবে তা নির্ধারণ করা হচ্ছে। যদিও এসব স্কুলকে নীতিমালায় আনা কঠিন বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন। কারণ, তারা নীতিমালায় আসলে ইচ্ছেমত বাণিজ্য করতে পারবে না বলেও মনে করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর বেশির ভাগেরই নেই কোন শিক্ষার পরিবেশ। স্কুলগুলোতে নেই পর্যাপ্ত ক্লাস রুম, ইনডোর সুযোগ-সুবিধা, খেলার মাঠ এমনকি গ্রন্থাগারও। আর এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কেউই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নয়। তাদের প্রশিক্ষণের জন্য কোন ব্যবস্থাও গ্রহণ করেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। পাঠদানের ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয় না শিক্ষামন্ত্রণালয়ের কোন নির্দেশনা। বাংলাদেশের ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের বিরোধী ও বাংলাদেশী সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ পরিপন্থী বইও পড়ানো হয় অনেক কিন্ডারগার্টেনে। মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাস না পড়িয়ে পড়ানো হয় বিদেশীদের ইতিহাস। ধর্মীয় এবং নৈতিক শিক্ষাদানে এসব প্রতিষ্ঠানের কোন আগ্রহই নেই। তবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বছর বছর ভর্তি ফি, মোটা অংকের টিউশন ফি, লিখিত, অলিখিতভাবে বিভিন্ন ফি আদায় করতে মোটেও ভুল করেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষাদানে নিয়োজিত শিক্ষকদের বেতন, আর্থিক সুবিধা দেয়া হয় অনেক কম। ফলে তাদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় কোচিং বাণিজ্য। কোচিং নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে বের হতে পারে না শিক্ষার্থীরা।
নিবন্ধনহীন কিন্ডারগার্টেনের তালিকা প্রণয়ন:
রাজধানীসহ সারাদেশের অলিতে গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো কিন্ডারগার্টেন গড়ে উঠলেও এর অধিকাংশেরই কোন নিবন্ধন নেই। এমনকি ঠিক কি পরিমাণ কিন্ডারগার্টেন স্কুল রাজধানীতে শিক্ষাকার্যক্রম চালাচ্ছে তারও কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা মন্ত্রণালয় কিংবা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে নেই। আবার স্কুল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দূরত্ব অনুসরণের বিধান থাকলেও তা মানছে না কেউই। বাণিজ্যের আশায় একই স্থানে ৫০ গজের মধ্যে গড়ে উঠছে একাধিক কিন্ডারগার্টেন স্কুল। মন্ত্রণালয়ের এক অনানুষ্ঠানিক তথ্য অনুসারে রাজধানীতেই প্রায় ২০ হাজারের উপর কিন্ডারগার্টেন প্রাথমিক পর্যায়ে স্কুল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আর সারাদেশে এই সংখ্যা ৫০ হাজারের মতো। এর আগে কিন্ডারগার্টেন স্কুল নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি নীতিমালা করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি কিন্ডারগার্টেন, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব মালিকানায় অথবা ভাড়ায় মহানগর এলাকায় অন্তত আট শতাংশ, পৌর এলাকায় অন্তত ১২ শতাংশ ও অন্যান্য এলাকায় ৩০ শতাংশ ভূমি এবং এই ভূমির উপর অন্তত ৩ হাজার বর্গফুটের কমপক্ষে ছয় কক্ষের ভবন থাকতে হবে। কিছু সংখ্যক ব্যতিক্রম ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠানেই এই পরিমাণ খোলা জমি ও অবকাঠামোগত সুবিধা নেই। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথেচ্ছ টিউশন ফি ও লিখিত, অলিখিত অন্যান্য ফি আদায় প্রবণতা রোধ করতে ‘স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটিকে টিউশন ফি নির্ধারণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শিক্ষার গুণগতমান ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে এই ফি নির্ধারিত হবে। ভর্তির বিপরীতে, ভর্তি নবায়ন বা পুনঃভর্তির নামে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অনুদান বাবদ অর্থ আদায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি বা প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ফি আদায় করা যাবে। তাও ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে এবং তার পূর্ণাঙ্গ ব্যয় বিবরণী অভিভাবকদের জানাতে হবে। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন তিনজন মহিলা শিক্ষকসহ কমপক্ষে ছয়জন শিক্ষক থাকতে হবে। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত খোলা সম্ভব না হলে অন্তত তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করে কার্যক্রম শুরু করা যাবে। বিদ্যালয় পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকবে। শিক্ষকদের মধ্য থেকে নির্বাচিত একজন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্য থেকে নির্বাচিত একজন, অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকগণের মধ্য থেকে নির্বাচিত দু’জন, উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠাতাগণের মধ্য হতে নির্বাচিত বা মনোনীত ৩ জন প্রতিনিধি থাকবেন। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক হবেন সদস্য সচিব। পার্শ্ববর্তী-নিকটতম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও কমিটিতে সদস্য থাকবেন। শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ, তাদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ, শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাপারে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, ছাত্রছাত্রীদের টিউশন ফি নির্ধারণ, আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ, শিক্ষার মান ও পরিবেশ উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে কমিটির দায়িত্ব। কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠার জন্য মহানগর এলাকায় প্রথমে ১ লাখ টাকা, জেলা সদরে ৭৫ হাজার টাকা, উপজেলা সদর ও পৌরসভা এলাকায় ৫০ হাজার টাকা, ইউনিয়ন পর্যায়ে ২৫ হাজার টাকা তহবিল নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে তা কমিয়ে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার, ২৫ হাজার ও ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। নিবন্ধন ফিও উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হয়েছে। ইচ্ছামতো পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করে পাঠদান ব্যবস্থাও রহিত করা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অনুমোদিত বই আবশ্যিকভাবে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তি ও আন্তর্জাতিক মানের সাথে বজায় রাখতে শিক্ষাক্রম অনুসরণ করা হবে। পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কোন বই পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। অন্তর্ভুক্ত করা হলে বাধ্যতামূলকভাবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের প্রাক অনুমতি নিতে হবে বলে সেই নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই নীতিমালা অনুযায়ী স্কুলগুলোকে নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু নীতিমালা প্রণয়নের চার বছর অতিক্রম হয়ে গেলেও এর প্রতি তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না স্কুলগুলো। তবে এবার নীতিমালা মানতে অনাগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠান বন্ধ, জরিমানা এবং কারাদ-ের মতো বিধান কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশের আনাচকানাচে গড়ে ওঠা কিন্ডারগার্টেন ও ব্যক্তি পর্যায়ে পরিচালিত বিদ্যালয়ের কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ছাত্রশূন্য হয়ে পড়ছে। শিগগিরই এসব বিদ্যালয়কে তদারকির আওতায় আনা হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দেশজুড়ে ৫০ হাজার কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা এখানে পণ্য!
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ