Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আবারও নিম্নমানের কিট কেনার চেষ্টা

কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) স্পেসিফিকেশনে শর্তারোপ, ওটিএম পদ্ধতির নামে পাতানো খেলা পরিচালকের নেতৃত্বে শত শত কোটি টাকা লুটপাটের পায়তারা

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনা শনাক্তকরণে আবারও নিম্নমানের কিট ক্রয়ের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) দুর্নীতিপরায়ন একটি চক্র। করোনা সংক্রমণের পর থেকে চীনের সানসিউর বায়োটেক ইনক’র নিম্নমানের পিসিআর কিট সরাসরি ক্রয়ের (ডিপিএম) মাধ্যমে একটি চক্রকে শত শত কোটি টাকা লুটপাটের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। ফলে ঝুঁকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। এখন সমালোচনার মুখে ডিপিএম বাদ দিয়ে উন্মুক্ত দরপত্র ব্যবস্থায় (ওটিএম) ক্রয়ের নির্দেশনা দেয়া হলেও স্পেসিফিকেশনে নিম্নমানের শর্তারোপ করে সেই একই কোম্পানির আরটিপিসিআর কিট আবারও ক্রয় করার উদ্যোগ নিয়েছে চক্রটি। অবশ্য এ চক্রের কাছ থেকে বর্তমান পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান, উপ-সচিব ডা. শরীফ মুহম্মদ ফয়েজুল আলম এবং সিনিয়র সহকারি সচিব ও সমন্বয়ক মো. মাহবুব আলম বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে। সিএমএসডি’র এই চক্রটি ঠিকাদারদের কাছ থেকে মালামাল দেয়ার আগেই ২৫ শতাংশ কমিশন নিয়ে নেয়। অনেক সময় ঠিকাদারদের সঙ্গে দাম এবং আগে কমিশন দেয়া নিয়ে সমস্যা হলে তারা ওই পার্টিকে অভয় দেন, আমরা ক্রয় করে দিব। আপনার কিছুই করতে হবে না। শুধু কমিশন রেখে যান। কয়েকদিন আগেও এই চক্রটি হিউম্যান মেডিকেল সার্ভিস নামে একটি আনকোরা প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি কমিশন দিতে দেরি করায় তাদের বিল আটকে দেয় বলে জানা গেছে। সাইফ নামে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা অবশ্য স্বীকার করেছেন পরবর্তীতে বড় অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে বিল পেয়েছেন।

সূত্র মতে, করোনা শনাক্তে সাধারণত দুইটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। একটি ডাইরেক্ট বাফার মেথড ও অন্যটি আইসোলেশন ও পিউরিফিকেশন এক্সট্রাকশন মেথড। প্রথম মেথডে করোনা শনাক্তকরণে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগে। অন্যদিকে দ্বিতীয় পদ্ধতিতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে। আর তাই বাংলাদেশ জনসংখ্যা, সময় ও লোকবলের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশে ডাইরেক্ট বাফার মেথড অনুসরণ করা হয়। সানসিউর বায়োটেক ইনক’র কিট বাফার রিলিজ মেথডের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ নির্ণয় করে। ভাইরোলজিস্টদের মতে, সানসিউরের অ্যানালিটিকাল সেনসিটিভিটি ২০০ কপিস পার এমএল। অর্থাৎ কোনো রোগীর অ্যানালিটিকাল সেনসিটিভিটি ১৯৯ হলেও সানসিউরের কিটে তা পজিটিভ নয়, নেগেটিভ দেখাবে। আর এ কারণেই সানসিউরের কিট উৎপাদন করেও নিজ দেশ চীনেও ব্যবহার করা হয় না। বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে বলেছেন, লিমিট অব ডিটেকশান ২০০ কপিস/এমএল হওয়ার ফলে করোনায় আক্রান্তের হার বেশি হয়েছে। তাদের মতে, নিম্নমানের পরীক্ষার কিট ক্রয় করে জিম্বাবুয়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওবাদিয়া মোয়োকের মন্ত্রিত্ব চলে গেছে। অথচ সিএমএসডি পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান দীর্ঘদিন থেকে একই কাজ করে স্বপদে বহাল রয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিএমএসডি’র এই সিন্ডিকেট না ভাঙলে স্বাস্থ্যখাতের ক্রয়ে স্বচ্ছতা কখনোই আসবে না ।

সূত্র জানায়, সানসিউরের কিট ক্রয়ের সুযোগ করে দেয়ার জন্য সিএমএসডি অ্যানালিটিকাল সেনসিটিভিটি ২০০ কপিস পার এমএল নির্ধারণ করে দিয়েছে। সানসিউর বায়োটেক এর ক্লিনিকাল সেনসিটিভিটি শতভাগ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের কুইডেল কর্পোরেশনের আরটিপিসিআর কিট এর ক্লিনিকাল সেনসিটিভিটি শতভাগ। এটি সে দেশের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এফডিএ অনুমোদিত। ইউএস এফডিএ সার্টিফিকেট অনুযায়ী সানসিউরের কিট পরীক্ষা করা যায় মাত্র একটি মেশিনে। অন্যদিকে ইউরোপ-আমেরিকা, জাপান-কোরিয়ার মতো দেশগুলোর কিট প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো সিই এবং ইউএস এফডিএ সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত এবং এর কিটগুলো একাধিক মেশিনে পরীক্ষাযোগ্য। এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কুইডেল, ইউরোপের বিজিআই জেনোমিক্স কোম্পানি লিমিডেট, দক্ষিণ কোরিয়ার সিসান বায়োমেট্রিকাল ও বায়োনিয়ার করপোরেশন প্রভৃতি।

এদিকে সানসিউরের ইউজার ম্যানুয়েলে (আইএফইউ) ঘোষণা দেয়া হয়েছে, তাদের এই আরটিপিসিআর কিট এর ক্লিনিকাল সেনসিটিভিটি ৯৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেসিফিটি ৯৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং মাত্র একটি মেশিনে (থার্মোফিশার সায়েন্টিফিক কোম্পানির এবিআই ৭৫০০ মডেল) ব্যবহারযোগ্য। অন্যদিকে কুইডেল করপোরেশন প্রস্তুতকৃত কিটস ডাইরেক্ট পদ্ধতিতে করোনা শনাক্তকরণে বিশ্বখ্যাত ৪টি কোম্পানির সাতটি আরটি-পিসিআর মেশিনে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ইইএস এফডিএ। এই মেশিনগুলো হলো- এবিআই ৭৫০০ স্ট্যান্ডার্ড, এবিআই ৭৫০০ ফাস্ট ডিএক্স, থার্মোফিশার কোয়ান্ট স্টুডিও সেভেন প্রো, রোশ লাইটসাইক্লিয়ার, রোশ জেড ৪৮০, কাইজেন রটর-জেন অ্যান্ড বায়ো রাড সিএফএক্স ৯৬। এদিকে দেশের একটি চক্র সানসিউরের কিটকে একমাত্র অপরিহার্য আরটিপিসিআর কিট হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য নানা সময়ে অপপ্রচার চালিয়েছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন প্রভাবশালী অতিরিক্ত মহাপরিচালকও রয়েছেন। অবশ্য গত ২৩ আগস্ট মেডি স্কয়ার লিমিটেড, দদিশ এজেন্সীজ, টেকমেটসহ বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে আরটিপিসিআর টেস্ট কিট ক্রয়ে সিএমএসডি’র প্রণয়নকৃত স্পেসিফিকেশনসহ অন্যান্য বিষয়াদি দেশের স্বার্থে আরও উন্নত করার তাগিদ দিয়ে আবেদন করেছেন।

করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে চীনের সানসিউর বায়োটেক ইনক’র আরটিপিসিআর কিট ক্রয় করা হয় একতরফাভাবে। এখানে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলকে ভুল বুঝিয়ে এই কোম্পানির কিট ডিপিএম এর মাধ্যমে ক্রয় করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সিএমএসডি’র সিন্ডিকেট ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন প্রভাবশালী অতিরিক্ত মহাপরিচালক জড়িত।

অথচ করোনা শনাক্তকরণে এই কোম্পানির কিট বিশ্ব মানের অন্য কোম্পানির তুলনায় অত্যন্ত নিম্নমানের। করোনা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ডিপিএম ব্যবস্থায় একচেটিয়া নিম্নমানের কিট ক্রয়ের কারণে এবার সমালোচনার মুখে কর্তৃপক্ষ ওটিএম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে। তবে নিম্নমানের আরটি পিসিআর কিট ক্রয়ের জন্য টেন্ডার শিডিউলে যে স্পেসিফিকেশন দেয়া হয়েছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের (অ্যানালিটিকাল স্পিসিফিটি/এলওডি ২০০ কপিস পার এমএল)। তার ফলে পক্ষান্তরে সিএমএসডি একই চক্রকে ওটিএম পদ্ধতির নামে পাতানো খেলায় নামিয়ে নতুনভাবে লুটপাটের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
চীনের সানসিউর বায়োটেকের আরটি পিসিআর কিটস সরাসরি ক্রয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানিকে কার্যাদেশ দেয়া হলেও এর মাধ্যমে লাভবান হয়েছে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের যোগসাজসে স্বাস্থ্য অধিদফতর কার্যত জনস্বার্থবিরোধী এই মিশন বাস্তবায়নে সরাসরি ব্যবহার করেছে রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর)। সানসিউরের নিজের ইউজার ম্যানুয়েলে আরটিপিসিআর কিটস এর ক্লিনিকাল সেনসিটিভিটি ৯৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেসিফিটি ৯৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ পাওয়া গেলেও আইইডিসিআর রহস্যজনকভাবে ক্লিনিকাল সেনসিটিভিটি ১০০ শতাংশ এবং স্পেসিফিটি ১০০ শতাংশ পেয়েছে। মূলত আইইডিসিআর’র এই ফলের কারণেই এদেশে করোনা নেগেটিভ প্রমাণিত ব্যক্তিদের অনেকেই বিদেশে গিয়ে পজিটিভ প্রমাণিত হয়েছেন। এর ফলে দেশের মর্যাদা ও সুনাম দারুনভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। এখানেই শেষ নয়; একটি গোষ্ঠীকে আরটিপিসিআর কিট ক্রয়ের কাজ পাইয়ে দিতে গত ২২ আগস্ট প্রকাশিত দরপত্রে ম্যানুফ্যাকচারার অথরাইজেশন লেটার প্রদানের কথা উল্লেখ থাকলেও দুই দিন পর ২৫ আগস্ট প্রকাশিত অ্যামেনন্ডমেন্টে ম্যানুফ্যাকচারার অথরাইজেশনের দরকার নেই বলে উল্লেখ করা হয়। অথচ এ পর্যন্ত সিএমএসডিতে যত ক্রয় সম্পন্ন হয়েছে তাতে কখনও এটি হয়নি। এমনকি পিপিআর-২০০৬ এর বিধি-৪৯ অনুযায়ী ম্যানুফ্যাকচারার অথরাইজেশন লেটার ছাড়া একটি পণ্যও নেয়া যাবে না বলা রয়েছে। এছাড়া দরপত্রে কোভিড (জিআর) ২০১৬ অ্যান্টিজেন টেস্ট ক্রয় প্যাকেজে কোয়ালিটি অব স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রে চাওয়া হয়েছে ডবিøউএইচও/ইএসএডিএ। অথচ এখানে জরুরি ছিল শুধুমাত্র ইউএসএফডিএ অথবা সিইএন্ড ইউএসএফডিএ। বিশেষজ্ঞরা বরছেন, ডবিøউএইচও গুণগতমান সার্টিফিকেট দেয় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও) তালিকাভুক্ত হওয়া যায়। তারা টেস্ট রেজাল্ট দিতে পারে, কিন্তু এন্টিজেন টেস্ট ক্রয়ের সার্টিফিকেট দেয়ার এখতিয়ার তাদের নেই। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা কোয়ালিটি অব স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রে একমাত্র ইউএসএফডিএ’র কথা বলেছেন।

সিন্ডিকেটকে লুটপাট করার সুযোগ দিতে দেশে করোনা পরীক্ষার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সিএমএসডি চীনের সানসিউর বায়োটেক ইনক থেকে সরাসরি আরটিপিসিআর কিট ক্রয় করেছে অনেক বেশি দামে। করোনা শুরুর সময়ে প্রতিটি কিটের দাম গড়ে সাড়ে পাঁচশ’ থেকে ছয়শ’ টাকা থাকলেও তা ক্রয় করা হয়েছে ২৭৫০ থেকে ৩২০০ টাকায়। এর ফলে বিপুল অঙ্কের সরকারি অর্থের লুটপাট হয়েছে। বেশি দামে নিম্নমানের কিট আমদানির কারণে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কার্যত সরকার ব্যর্থ হয়েছে।

ভাইরোলজিস্ট এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদুর রহমান খান ইনকিলাবকে বলেন, দ্রুত সময়ে সানসিউরের কিট দিয়ে করোনা শনাক্ত করা সম্ভব বলেই হয়তো এটা দেশে ব্যবহার করা হয়। তবে এর দাম এবং ক্রয় প্রক্রিয়া নিয়ে সমস্যা থাকতে পারে। যা আসলে আমরা যারা ল্যাবে টেস্ট করাই বা ল্যাবের দায়িত্বে আছি তাদের মধ্যে পড়ে না। ক্রয় প্রক্রিয়াটিতে যারা আছে তাদেরকে বিশষেভাবে এই দিকটায় গুরুত্বারোপ করার কথা বলেন ডা. মো. জাহিদুর রহমান।
স্পেসিফিকেশনে নিম্নমানের শর্তারোপ করে একটি চক্রকে দিয়ে আরটিপিসিআর কিট ক্রয়ের বিষয়ে সিএমএসডি’র পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামানের ফোনে একাধিকবার কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ইনকিলাবকে বলেছেন, ক্রয় কার্যক্রমে কোন ধরনের অনিয়ম থাকলে অবশ্যই তা দেখা হবে।



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ২৯ আগস্ট, ২০২১, ৫:০৫ এএম says : 0
    এই তোমরা কোথায় তোমরা কি জানো না মাত্র আর এক বসর বাকী ???? যেখানে সুযোগ পাও নিয়ে আসবে,সময় নাই পালাইয়া যেতে হবে,????,টাকার দরকার আমি পশাসন কে নির্দেশ করলাম যে খানে যাই হোক আমি বুজতে চাই না,????,আমি চাই টাকা কোথায় থেকে কি করবে তোমরা জানে ,সময় কম না হয় ????‍♀️সর্ব নাশ। মানুষ মরবে কি করবে আমার কি জলদি ????ওকে l Go lndia heri up ????what lately ????جلد কর।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ