পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাঞ্জাব থেকে এলাকাবাসীকে সরাচ্ছে ভারত
ইনকিলাব ডেস্ক : সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান ও ভারতের সম্পর্কে চরম অবনতি হয়েছে। কাশ্মীর সীমান্তে আবারও পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এদিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ জানিয়েছে, তারা উভয় দেশের সীমান্তের খুবই কাছাকাছি চালকবিহীন ড্রোন উড়তে দেখেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এসব ড্রোন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হতে পারে। এর প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসএফ ডিজি কে কে শর্মা।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করছে, সোমবার দিবাগত রাত ভোর ৪টার দিকে বাঘসার ও সামাহনি সেক্টরে ভারতীয় সেনারা গুলি ছোঁড়ে এবং এর জবাবে পাকিস্তানও গুলি ছুঁড়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, গতকাল সকালের দিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নওসেরা সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গুলি নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তানি সেনারা। জবাবে ভারতীয় সেনারাও গোলাগুলি শুরু করে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে গোলাবর্ষণ চলছিল।
তবে এই গুলি বিনিময়ের ঘটনায় এখনও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। এদিকে পাকিস্তানে ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে ভারত যে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালানোর দাবি করেছে, তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া। বেসরকারি এক টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার কাদাকিন বলেন, ‘প্রত্যেক দেশেরই নিজেকে নিরাপদ রাখার অধিকার রয়েছে।’
অন্যদিকে পাক-ভারত চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা ১৯ জন তরুণী যেন নিরাপদে তাদের দেশে ফিরতে পারে সেদিকে তিনি লক্ষ রাখছেন।
পাঞ্জাব থেকে এলাকাবাসীকে সরাচ্ছে ভারত
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দেশটির সীমান্তবর্তী পাঞ্জাব প্রদেশের সীমান্ত রেখার আশপাশের এলাকাবাসীকে সরিয়ে নিচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের মধ্যে যুদ্ধের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে অজানার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন হাজারো মানুষ। স্থানীয় এক বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেছেন বিবিসির সংবাদদাতা ভিনিত খাড়ে। সালভিন্দর সিং নামে এক এলাকাবাসী বলেন, ‘আমাদেরকে কেন আমাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে? এখন কে আমাদের খাওয়াবে? এভাবে আত্মীয়দের বাড়িতে কতদিনই বা থাকা যায়? আমার বাড়িতে যদি এখন ডাকাতি হয়ে যায় তাহলে এর দায় কে নেবে?’ সালভিন্দর সীমান্তবর্তী গিলপুম গ্রামের অধিবাসী। খালওয়ান্ত কাউর বলেন, ‘এখানকার অবস্থা খুবই ভয়াবহ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।