Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে বাপবিবোর্ডে র‌্যালি ও সেমিনার

প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা অপরিহার্য- এ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস-২০১৬ পালন করেছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। প্রতি বছর ২ অক্টোবর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালনের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ‘টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা অপরিহার্য’- এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে বাপবিবোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন-এর নেতৃত্বে সংস্থার সদর দপ্তরের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে গত ২ অক্টোবর একটি র‌্যালি বের করা হয়। এই বিষয়ে বাপবিবোর্ড সদর দপ্তরে ব্রিগেডিয়ার সবিহ উদ্দিন আহম্মদ অডিটোরিয়ামে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এ দিবসটি পালন করেছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। বাপবিবোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস-২০১৬-এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উক্ত সেমিনারে সভাপতির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বাপবিবোর্ডের সদস্যবৃন্দ ও শীর্ষ কর্মকর্তাগণ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। উক্ত সেমিনারে বাপবিবোর্ডের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে বাপবিবোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় উৎপাদনশীলতা তথা যে কোন উৎপাদন এর পূর্বশর্ত হল বিদ্যুতায়ন। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক ক্রমাগতভাবে প্রধানমন্ত্রীর ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এই সেøাগান নিয়ে উপজেলাভিত্তিক শতভাগ (১০০%) বিদ্যুতায়নের সুনির্দিষ্ট রূপকল্প নিয়ে গ্রামবাংলার পূর্ণ বিদ্যুতায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, যা জাতীয় উৎপাদনশীলতার পূর্বশর্ত।
বাপবিবো চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমাদের চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে। সর্বক্ষেত্রে টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আমাদের সকলকে একযোগে নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করতে হবে। কম দামে মানসম্পন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ দিতে হবে গ্রাহকদের। এ লক্ষ্যে ব্যয় সংকোচন করে ও ইনপুট কমিয়ে আউটপুট বাড়াতে হবে। বর্তমানে ১৫ হাজার মোগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। উৎপাদিত এ মূল্যবান বিদ্যুতের অপচয় রোধ করে সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, টেকসই উৎপাদনশীলতার মাধ্যমে আমরা ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশ এবং ক্রমান্বয়ে উন্নত দেশে পরিণত হবো। সরকার ও জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী বাপবিবোর্ডের টেকসই উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রত্যেক কর্মকর্তা/কর্মচারীকে সদিচ্ছা ও সচেতনতার সাথে কাজ করতে হবে। এর জন্য তিনি সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরো বলেন, বাপবিবোর্ড তথা পবিস-এর ধারাবাহিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কারণে কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাÐে অভূতপূর্ব সফলতা অর্জিত হয়েছে। যার ফলশ্রæতিতে দেশে খাদ্যশস্যের উদ্বৃত্তি, শিল্পের বিকাশ, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, চাকরির সুযোগ সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে টেকসই প্রবৃদ্ধির সফলতা এসেছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, বাপবিবোর্ডের চলমান টেকসই উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত ১ কোটি ৬০ লাখ গ্রাহক সংযোগ প্রদানসহ রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রার আওতায় ২০১৮ সালের মধ্যে ৪৬০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন করার কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।Ñপ্রেস বিজ্ঞপ্তি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে বাপবিবোর্ডে র‌্যালি ও সেমিনার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ