পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিতর্কই কাল হবে ট্রাম্পের!
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন নির্বাচনের তারিখ যত ঘনিয়ে আসছে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন নিজের অবস্থান আরো শক্তিশালী করে তুলছেন ভোটারদের কাছে। সর্বশেষ প্রকাশিত সিএনএন-ওআরসি’র জরিপে দেখা যাচ্ছে, হিলারি রিপাবলিকান ট্রাম্পের চেয়ে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে আছেন।
তবে এই জরিপের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফলাফল হচ্ছে, ট্রাম্পের প্রতি সবচেয়ে অনুগত যে ভোটার গোষ্ঠী তাদের মধ্যে হিলারির সমর্থন বেড়ে যাওয়া। ট্রাম্পকে সবচেয়ে বেশি কট্টরভাবে সমর্থন করছিলেন মার্কিন সমাজের যেসব মানুষের কলেজ ডিগ্রি নেই তারা। সেপ্টেম্বরের শুরুতে এদের সমর্থনের ক্ষেত্রে হিলারি-ট্রাম্পের মধ্যে ব্যবধান ছিল ৪৪ পয়েন্ট। কিন্তু এ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এই জরিপে দেখা যাচ্ছে ব্যবধান কমে ২১ পয়েন্টে চলে এসেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত দুই প্রার্থীর মধ্যকার প্রথম বিতর্কই ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ বিতর্কে উভয় প্রার্থীর অবস্থানের মূল্যায়ন করতে দীর্ঘ সময় পাচ্ছেন ভোটাররা এবং সেটা তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সামনের বিতর্কগুলোতেও হিলারির সাথে ট্রাম্পের কুলিয়ে ওঠার সম্ভাবনা তেমন একটা নেই। ফলে, এই বিতর্কই কাল হয়ে উঠতে পারে তার জন্য।
প্রথম বিতর্ক শেষ হওয়ার সাথে সাথে যে জরিপ করা হয়েছিল তখন থেকেই দেখা যাচ্ছিল হিলারির অবস্থান শক্ত হতে শুরু করেছে। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত রাজনীতিবিষয়ক পত্রিকা পলিটিকো গৃহীত এক জনমত জরিপ অনুসারে জাতীয় পর্যায়ে ট্রাম্পের তুলনায় ক্লিনটন তিন পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। এর আগে তাঁরা হয় সমান সমান ছিলেন, অথবা ট্রাম্প এক পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন।
ট্রাম্পকে একহাত নিলেন হিলারি
প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনও আর চুপ থাকতে পারলেন না। বলেই বসলেন, ট্রাম্প কারচুপি সিস্টেমের প্রতীক। যুক্তরাষ্ট্রের ওহিওতে এক সমাবেশে হিলারি বলেন, “ট্রাম্পই এমন ঘটনা প্রথম ঘটিয়েছে”। গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক টাইমস অভিযোগ করে বলেছিল, ট্রাম্প তার ব্যবসায় ১৯৯৫ সালে ১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির কারণে আয়কর প্রদান করেনি। তবে ট্রাম্প সোমবার দাবি করেছেন, তিনি ‘বুদ্ধিদীপ্তভাবে এবং দক্ষতার সাথে’ আয়কর বিষয়টি মোকাবেলা করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, “আমি যে কারো থেকে আয়কর বিষয় ভালো বুঝি। আমি আমার কোম্পানির লাভের জন্য আইনগতভাবে আয়কর বিষয় মোকাবেলা করেছি।” কলোরাডোর এক সমাবেশে তিনি তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তার ব্যবসার অন্তর্দৃষ্টি তাকে স্বতন্ত্র ট্যাক্স কোড সংশোধনে যোগ্যতাসম্পন্ন করে তুলেছে”। জবাবে হিলারি তাকে ‘ভ-’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। হিলারি বলেন, “যখন অসংখ্য আমেরিকান পরিবার ও শ্রমিক শ্রেণি তাদের আয় থেকে একটি অংশ আয়কর হিসেবে পরিশোধ করেছে তখন ট্রাম্পের অংশগ্রহণ কিছুই ছিল না।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।