পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাঠে খেলা অনিয়মিত। সাফল্য নেই বললেই চলে। ক্রিকেটের জাতীয় দল বাদে দেশের অন্য খেলাগুলোর দর্শকও নেই। যে ক্লাবসংস্কৃতির উপর বেঁচে থাকে দেশের ক্রীড়াঙ্গন, তাতে পচন ধরেছে বেশ আগেই। দুঃসহ দীর্ঘকাল ধরে তাই ধুঁকছিল বাংলাদেশের ক্রীড়া সংগঠন বা ক্লাবগুলো। তবে প্রায় দু’বছর আগে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বে জেঁকে বসার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে পুরো দেশ কাঁপিয়ে গণমাধ্যমে সেই ক্লাবগুলোরই সরব উপস্থিতি। আর সেটিও এক ন্যাক্কারজনক কারণে!
দেশে নিষিদ্ধ জুয়া ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগ ওঠে মতিঝিল পাড়ার ছয়টিসহ রাজধানীর বেশ ক’টি ক্লাবের বিরুদ্ধে। ফলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে সীলগালা মেরে বন্ধ করে দেয় ওই ক্লাবগুলোকে। তারপর থেকেই পতিত পড়ে থাকা সেই বন্ধ ক্লাবগুলো এখন পরিণত হয়েছে এডিস মশার কারখানায়! যা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ফকিরেরপুল-আরামবাগসহ এর আশপাশের এলাকাবাসীদের জন্য। মতিঝিল পাড়ার বন্ধ এই ক্লাবগুলোর দেখ-ভাল করার দায়িত্ব কার তা বলতে পারছেন না কেউই।
অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মতিঝিল পাড়ার দুই ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন ‘খেলোয়াড় তৈরীর কারখানা’ খ্যাত ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব ও ঢাকা ওয়ান্ডারার্সে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ওইদিন রাতেই গুলিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও বনানীর আহম্মেদ টাওয়ারস্থ গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ ক্লাবে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ক্যাসিনো পায় র্যাব। দু’দিন পর র্যাবের অভিযান চলে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রেও।
অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর কারণে মতিঝিলস্থ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, ভিক্টোরিয়া ও দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাবে ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরের পর চলে পুলিশের অভিযান। অভিযানের পরপরই ক্লাবগুলোতে সীলগালা করে দেয় র্যাব ও পুলিশ। সেই থেকে দু’বছর ধরে পুরো বন্ধ আছে মতিঝিল পাড়ার পাঁচ ক্লাব। মোহামেডান ক্লাব খোলা থাকলেও এখানকার যে অংশে ক্যাসিনো ছিল তা বন্ধ রয়েছে। তবে বন্ধ ক্লাবগুলো বর্তমানে জীবননাশক এডিস মশার উৎপত্তিস্থলে রূপান্তরিত হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এ দুই ক্লাবে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। ক্লাব দু’টির প্রবেশের মূল ফটক থেকে শুরু করে ভবনের ভেতরে প্রায় পুরোটা অংশ জুড়েই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আবর্জনা, জমে আছে কালো পানি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সীলগালা করলেও ক্লাবভবনের অধিকাংশ দরজা-জানালা কে বা কারা যেন খুলে নিয়ে গেছে। বাকি যেগুলো অবশিষ্ট আছে তার সবই ভাঙা। দেখে মনে হয় কয়েক যুগ আগের পুরাতন কোন পরিত্যাক্ত ভবন। ক্লাবভবনের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় এডিস মশা প্রজননের নিরাপদ স্থান হয়ে ওঠেছে এ দুই ক্রীড়া সংগঠন। ফকিরেরপুল ও ভিক্টোরিয়া ক্লাবের আনাচে-কানাচে যেন কিলবিল করছে এডিসের লার্ভা।
গত কয়েক বছর ধরেই দেশে ডেঙ্গুর প্রোকোপ বাড়ছে হু হু করে। করোনাভাইরাসের পাশাপাশি এবছরও মরণকামড় দিচ্ছে এডিস মশা বাহিত রোগটি। হাসপাতালে রোগীর হারও বেড়ে চলেছে পাল্লা দিয়ে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় আড়াইশ’ রোগী এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। গত পরশু নতুন করে ২৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই রাজধানীর বাসিন্দা। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ২১৭ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০ জন।
এ নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০ জনে। যাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯৬৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১২৫ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ১২০ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৭ হাজার ৯৮৮ জন রোগী। চলতি বছরের ১৪ জুলাই দেশে প্রথম ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর খবর আসে। সেই সংখ্যাটি ইতোমধ্যেই দাঁড়িয়েছে ৪০-এ! এর মধ্যে ১২ জন মারা গেছেন জুলাইয়ে। আর ২৬ আগস্ট পর্যন্ত ২৮ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এই যখন অবস্থা, তখন সরকার প্রধান যেখানে ডেঙ্গুঝুঁকি কমাতে এডিস মশা নিধনে প্রতিনিয়ত দেশবাসীকে আহবান জানাচ্ছেন। সিটি কর্পোরেশনগুলোকে নির্দেশ দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে। সেখানে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ও ভিক্টোরিয়ার মতো বন্ধ ক্লাবগুলোতে জীবননাশক এডিস মশার চাষ হচ্ছে, যা দেখার কেউ নেই। ক্যাসিনো কান্ডে জড়িত থাকা মতিঝিলের অন্য চার ক্লাবের মধ্যে মোহামেডানের পরিবেশ ভালো হলেও ঢাকা ওয়ারন্ডারার্স, আরামবাগ ও দিলকুশার অবস্থাও ফকিরেরপুল ও ভিক্টোরিয়ার মতই। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ডের আরামবাগ ও ফকিরেরপুল এলাকা মতিঝিল ক্লাব পাড়া লাগোয়া হওয়ায় এখানে আশঙ্কাজনক হারে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী আব্দুল কাদের জানান, এখানকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোজাম্মেল হক নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এডিস মশা নিধনে। তিনি প্রায় প্রতিদিনই মশার ওষুধ ছিটানোসহ জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে সভা-সমাবেশ ও মাইকিং করছেন। কিন্তু এগুলোতে কাজ হচ্ছে কতটুকু? এ প্রসঙ্গে ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এডিস মশা নিধনে ওষুধ ছিটানো বা সভা-সমাবেশ ও মাইকিংই যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন সচেতন হওয়া। বাড়ি, অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখলেই এডিস মশা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের এলাকার সম্মান ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। উনার নির্দেশেই গত প্রায় দুই বছর আগে মতিঝিল পাড়ার ক্লাবগুলোতে অবৈধ ক্যাসিনো কর্মকান্ড বন্ধ করতে র্যাব অভিযান চালায়। সেই থেকে এখানকার ক্লাবগুলো জুয়ামুক্ত রয়েছে। এতে আমার এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
তবে এই বন্ধ থাকা ক্লাবগুলো যে আবার গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে সেটি মনে করিয়ে দিতেও ভোলেননি কাউন্সিলর মোজাম্মেল,‘ক্যাসিনো কান্ডে বন্ধ হওয়া ক্লাবগুলোর মধ্যে ৫টির অবস্থা বর্তমানে খুবই খারাপ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ক্লাবগুলোর ভিতরে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ জমে গেছে। অপরিচ্ছন্ন ক্লাব ভবন এখন এডিস মশার নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বন্ধ ক্লাবগুলোতে এডিস মশার চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের কথা না বললেই নয়। এ দুই ক্লাবে গেলে দেখা যাবে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ। আমি নিজে উদ্যোগী হয়ে মশার ওষুধ ছিটাতে গিয়ে দেখেছি এখানে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। জায়গায় জায়গায় কালো পানি জমে আছে। আনাচে-কানাচে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে এডিস মশার লার্ভা আমার চোখে পড়েছে। ক্লাব দু’টি প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। দুই ক্লাব ভবনের দরজা-জানালা একটিও নেই। ফার্ণিচারগুলো এদিক-সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। একই অবস্থা ওয়ারন্ডারার্স, আরামবাগ ও দিলকুশা ক্লাবেরও। তবে মোহামেডানের পরিবেশ ভালো।’
তিনি যোগ করেন, ‘যদি সংশ্লিষ্টদের কাছে ক্লাবগুলোকে ফিরিয়ে দেয়া হয় তবে আমার ধারণা সেগুলো সংস্কারের জন্য ক্লাব প্রতি ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে আমি র্যাব-৩ এর প্রধান ও ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের ডিসি’র কাছে অনুরোধ করবো আমাকে সহযোগিতা করতে। উনারা যদি সহযোগিতা করেন তাহলে ফকিরেপুল-আরামবাগ এলাকার পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে এবং ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বন্ধ ক্লাবগুলোতে আমি পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাবো। এখানকার ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারসহ এডিস মশার লার্ভা বিনষ্ট করে নিজ এলাকাকে ডেঙ্গুমুক্ত করবো।’
ক্যাসিনোকান্ডে বন্ধ ক্লাবগুলোর অন্যতম একটি আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। এই ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এজাজ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, প্রায় দুই বছর আগে অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর দায়ে মতিঝিলের ছয় ক্লাবে অভিযান চালিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সীলগালা করে দেয়। তখন থেকেই মোহামেডান বাদে পাঁচ ক্লাব বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন,‘আমরা এ দুই বছর বাইরে থেকে ক্লাব কার্যক্রম চালিয়েছি। সীলগালা থাকায় কোন কর্মকর্তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ক্লাবের ধারে কাছেও আসেননি। ফলে ক্লাবগুলোর অতীত ইতিহাস হারিয়ে গেছে। ভিক্টোরিয়ার বয়স ১১৯ বছর। ওয়ান্ডারার্স, ফকিরেরপুল, আরামবাগ ও দিলকুশা ক্লাবের বয়সও একশ বছরের কাছাকাছি। শতবছরের ঐতিহ্য, ক্লাবের প্রাপ্তি বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ও লিগ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি, মূল্যবান কাগজপত্র, অমূল্য ছবি কিছুই আর ক্লাব ভবনে নাই, সব চুরি হয়ে গেছে।’
জাহাঙ্গীর আরো বলেন, ‘সরকার প্রধানের নির্দেশে ক্যাসিনোকান্ডে জড়িত থাকা ক্লাবগুলো বন্ধ করে দেয়ায় উপকার হয়েছে ফকিরেরপুল, আরামবাগ তথা মতিঝিলের বাসিন্দাদের। বর্তমানে এখানকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। তবে সীলগালা করার পর ক্লাবগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রশাসনের নেয়া উচিত ছিল। তা না হওয়াতে ক্লাবগুলোর জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থা হয়েছে। বন্ধ থাকা প্রতিটি ক্লাবে এখন মরণঘাতি এডিস মশার লার্ভায় সয়লাব। এলাকাবাসী ডেঙ্গুঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।’ ক্লাবগুলোর প্রায় ২৫০ গজের মধ্যেই অবস্থান মতিঝিল থানার, অথচ এখানেই এতো সমস্যা!
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের ডিসি মো. আব্দুল আহাদ ইনকিলাবকে বলেন, ‘সরকারের নির্দেশেই ক্লাবগুলো বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নিদের্শনা না পাওয়া পর্যন্ত ক্লাবগুলো বন্ধই থাকবে।’ তবে চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সম্পর্কে জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এছাড়া এ ধরনের কোনো অভিযোগও আমাদের কাছে আসে নাই। অভিযোগ আসলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।