পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নোয়খালির স্কুলছাত্র জিহাদ হত্যা মামলায় আসামি আব্দুল ওয়াদুদ মিঠুর মৃত্যুদন্ড বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগীয় ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সরকারপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
মামলা সূত্রে জানাযায়, আবদুল ওয়াদুদ মিঠু নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর কমর উদ্দিন চৌকিদার বাড়ির গোলাম মোস্তফার ছেলে। একই বাড়ির মৃত আনোয়ার উল্লাহর ছেলেদের সঙ্গে জমি নিয়ে তার পরিবারের বিরোধ চলছিল। এ অবস্থায় ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি আনোয়ার উল্লাহর ছেলে সৌদি প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের বড় সন্তান বালুচরা কিন্টার গার্টেনের কেজি টু শ্রেণীর ছাত্র জিহাদকে স্কুলে যাওয়ার পথে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন মিঠু। এ সময় আশপাশের লোকজনের চিৎকারে মিঠু দা রেখে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর অবস্থায় জিহাদকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জিহাদের চাচা কামাল উদ্দিন ইয়াসিন বাদী হয়ে মিঠুর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বিচার শেষে ২০১০ সালের ৭ জুলাই আবদুল ওয়াদুদ মিঠুকে মৃত্যুদন্ড দেন নোয়াখালি জেলা ও দায়রা জজ আদালত। পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি মিঠু আপিল করেন। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৫ সালের ১৫ মে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন। এরপর আসামি আপিল করেন। আপিল খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট উপরোক্ত রায় দিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।