পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ বলেছেন, ‘আফগান তালেবানরা আশ্বাস দিয়েছে যে তারা তাদের ভূমি পাকিস্তানসহ অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেবে না এবং প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শিগগিরই আফগান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত বিবৃতি দেবেন।’ গতকাল ইসলামাবাদে গণমাধ্যমকে একথা জানান তিনি।
এর আগে, ভারতের শীর্ষ গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং-এর প্রাক্তন প্রধান এএস দুলাত দিল্লি থেকে বলেছেন, ‘কাবুল পতনের আগে এটা শুধু সময়ের প্রশ্ন ছিল মাত্র।’ ইসলামাবাদ থেকে পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স বা বা আইএসআই-এর সাবেক প্রধান আসাদ দুররানি বলেছেন, ‘একমাত্র বিস্ময় ছিল তালেবানদের অগ্রগতির গতি।’ ভারত ও পাকিস্তান চিরশত্রæ হওয়া সত্তে¡ও তারা আফগানিস্তানে তালেবানদের ক্ষমতায় ফেরার অনিবার্যতার বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছে।
ভারত এখন আফগানিস্তানে তার সমস্ত বিনিয়োগ হারানোর পাশাপাশি কৌশলগত সুবিধাও হারাতে যাচ্ছে। ভারতের জন্য ২০ বছরের পুরনো আফগান গণতন্ত্রের তাসের ঘর পতন একটি কৌশলগত ধাক্কা এবং একটি জ্বালাময়ী অপমান। ২০০১ সাল থেকে ভারত আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত শাসন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য তুচ্ছ ৩শ’ কোটি ডলার খরচ করেছে। তারা আফগানিস্তান জুড়ে রাস্তাঘাট, বাঁধ, বৈদ্যুতিক সংযোগ, চিকিৎসা কেন্দ্র এবং স্কুল তৈরি করেছে। এমনকি দেশটির পার্লামেন্ট ভবনটিও। ভারত দেশটির মিলিটারি একাডেমিতে মহিলাসহ আফগান অফিসারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং এটি হাজার হাজার মানুষকে বৃত্তি প্রদান করেছে। ২০১৯ সালে মোদির হিন্দু-জাতীয়তাবাদী সরকার কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন ছিনিয়ে নেয়ার পর, ভারতকে অবশ্যই তালেবানদের মৌলবাদে অনুপ্রাণিত কাশ্মীরিদের নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশার মুখোমুখি হতে হবে। আফগানিস্তানে মার্কিন মিত্র ভারতের প্রস্থান পাকিস্তান এবং তার সর্ব-কালীন বন্ধু চীনকে খুশি করবে। এমন অনেকেই এখন তালেবানদের সাফল্যে খুশি। পাকিস্তানের প্রধানন্ত্রী যেমন বলেছেন, ‘আফগানরা পশ্চিমা দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙ্গে ফেলেছে।’
পাকিস্তান যে তালেবানদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তা বিশেষভাবে বিবচনার বিষয়। কারণ আফগানিস্তান ভিত্তিক তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) পাকিস্তানকেই সন্ত্রস্ত করে দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ ২০১৪ সালে তারা পকিস্তানের সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি স্কুলে তারা ১শ’ ৪৫ টিরও বেশি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ককে হত্যা করে।
তালেবানরা আফগান কারাগার থেকে টিটিপি নেতাদের ছেড়ে দিয়েছে এমন খবর সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ বলেছেন যে, তিনি দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তির আশা করছেন যাতে আফগানিস্তানের মাটি তাদেরকে আক্রমণ করার অনুমতি না দেয়। এখন দুররানি শান্তিতে সাথে অবসর উপভোগ করতেই পারেন।
‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মৈত্রীর জন্য ‘চড়া মূল্য’ দিয়েছে পাকিস্তান’
এদিকে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ বলেছেন, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিত্রতার জন্য তার দেশকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। ইসলামাবাদে গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন। রশিদ আরো বলেন, পাকিস্তান আফগানিস্তানে শান্তি চায়, কারণ এটি সমগ্র অঞ্চলের সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, তালেবান কাবুল দখলের পর পাকিস্তানের ওপর শরণার্থীদের কোনো বোঝা নেই। তিনি আরো বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে সব বাণিজ্যিক রুট চালু ছিল। রশিদ বলেন, ‘ব্যবসায়িক কার্যকলাপ ৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে’।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, পাকিস্তান আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে না। তার মতে, ভারত পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছে এবং আফগানিস্তানে তার পরাজয়ের জন্য শোক প্রকাশ করছে। তিনি বলেন, ভারত সরকার পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সহায়তা করছে। ‘আমরা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ করতে দেব না’ -বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানে চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তার কথাও বলেছেন। তিনি বলেন, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্পে কাজ করা চীনা নাগরিকদের সরকার নিরাপত্তা দেবে। রশিদ বলেন, ইসলামাবাদে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেবে, তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।