পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারা দেশে গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় প্রথম ডোজ গ্রহণকারীদের আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২য় ডোজ দেওয়া শুরু হবে। গতকাল বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, গণটিকা কার্যক্রমের দ্বিতীয় ডোজ ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। এই কয়দিনে আরও টিকা আসবে। দ্বিতীয় ডোজ শেষ করতে কোনো সমস্যা হবে না।
ডা. খুরশীদ আলম বলেন, সারা দেশে গণটিকা চলাকালে যে যেই কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন, সেখানেই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। কিছু কিছু দেশ আমাদের কাছে মডার্না ও ফাইজারের টিকা চাচ্ছে, এটা এখন দেওয়া সম্ভব নয়। শিগগিরই দেশে ৬০ লাখ ফাইজারের টিকা আসবে। স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, কিছু র্যাপিড আরটি পিসিআর মেশিন কেনার চেষ্টা চলছে। নতুন করে আরও ৩০টি আরটি পিসিআর মেশিন কেনা হচ্ছে। উপজেলাতে জিন এক্সপার্ট মেশিন সেনসেটিভিটি ১০০ শতাংশ। এই মেশিনগুলাকে চালু করার জন্য একটা স্পেশাল ইকুইপমেন্ট লাগে, যেটা আমরা ইতোমধ্যেই সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করছি। তিনি বলেন, আপনারা জানেন, প্রত্যেকটা মেশিন নষ্ট হতে পারে। যেকোনো মেশিন, এয়ার কন্ডিশনও হতে পারে। এই জিনিসগুলো আমাদের মাথায় রেখে কাজ করতে হচ্ছে। আমরা যথাযথ ব্যবহারের চেষ্টা করছি।
বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলোতে ব্যবহৃত মেশিন যন্ত্রপাতিগুলো যত্ম করে ব্যবহার করার নির্দেশনা দিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, আমি আশা করব যেই জিনিসগুলো হাসপাতালে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করবেন। যত্ম করে ব্যবহার করবেন এবং এটা রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো করবেন। তিনি বলেন, আপনারা শুনেছেন যে ৫৬১টি ভ্যান্টিলেটর পেয়েছি। এগুলো আমরা সারা দেশে ছড়িয়ে দেবো। এই যন্ত্রগুলো আমরা ৩০০টি হাসপাতালে দেওয়ার কথা ভাবছি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কেনাকাটা প্রসঙ্গে ডিজি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সবচেয়ে বড় একটি প্রক্রিয়া হলো কেনাকাটা। সারা দেশের হাসপাতালগুলো যে চাহিদা দেয়, সে অনুযায়ী সেগুলো হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে সিএমএসডি। এই প্যানডেমিকের সময় আমাদের সহায়তা করেছেন, সেজন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহর প্রশংসা করে ডিজি আরও বলেন, অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ স্যার আজকে যে অনুষ্ঠানের জন্য এখানে এসেছেন, আমরা ধন্য। আমরা গর্বিত বোধ করছি যে আব্দুল্লাহ স্যার আমাদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন। মিডিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আর স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সবসময় সংযুক্ত আছেন। আমাদের সমস্ত ঘটনাবলি আপনারা তুলে ধরেন। আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনারা আমাদের গঠনমূলক সমালোচনা করুন, আমাদের দেখিয়ে দিন কোথায় কোথায় কাজ অ্যাড্রেস করতে হবে। কোন জায়গায় করলে পরে দেশের উন্নতি হবে, মানুষের মঙ্গল হবে, সেটুকু আমরা প্রত্যাশা করি আপনাদের কাছে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, সিএমএসডি পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামানসহ আরও অনেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।