Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে আলাদা অধিদফতর নয়

উচ্চশিক্ষিতের বাড়িতে প্রচুর এডিস মশার লার্ভা, তল্লাশিতেও বাধা : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশাসহ অন্যান্য মশা নিধনে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর না করে ইন্ট্রিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানজমেন্ট (সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনা) সারাদেশের জন্য এটা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সারাদেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় বিভাগ, দপ্তর সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার ১১তম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, অনেক উচ্চশিক্ষিত মানুষের বাড়িতে হিউজ (প্রচুর) লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে আমাদের সিটি করপোরেশনের লোকজন জোর করে গিয়ে অভিযান চালিয়ে লার্ভা ধ্বংস করে দিয়ে আসলো। আবার ১৫ দিন পর চেক করার জন্য গেলে, তারা বাধা দিচ্ছে। কারা এটা করেছে, তাদের নাম আমি বলবো না। এরপর দেখা গেল, ওইসব বাসায় তিনগুণ লার্ভা পাওয়া গেল। এটা খুবই অস্বস্তিকর। আমরা তো এটা আশা করতে পারি না। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর নয়। আমাদের কাছে ভরসার জায়গা হলো ড়ুামে এডিস মশার বংশবৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই কম। যেখানে নিচে মাটি আছে, সেখানে মশা ডিম পাড়লেও তা ফুটবে না। পরিবেশের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সেটা মাথায় রেখেই আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় গ্লোবাল সিনারিও (বৈশ্বিক চিত্র) অনুযায়ী আমাদের অবস্থা ( ডেঙ্গু পরিস্থিতি) মন্দের ভালো। একটা সন্তুষ্টির জায়গা হলো, আমরা এই পর্যায় পর্যন্ত রাখতে পেরেছি। বৃষ্টি বেশি হলে সমস্যা না, যদি ভারি বৃষ্টি হয়। তবে থেমে থেমে বৃষ্টি হলে, পানি জমা থাকলেই সমস্যা।

মন্ত্রী বলেন, যদি ছাদ বাগান করেন তাহলে ফুলের টবের মধ্যে কয়েক ফোঁটা কেরোসিন তেল দিয়ে দেন। এর ফলে প্রতিদিন পানি সরাতে হবে না। কেরোসিন দিলে সেখানে লার্ভা হবে না। আগে একটা কোম্পানি কীটনাশক আমদানি করতো। এখন ওপেন করে দেয়া হয়েছে। এখন কিছু বেসরকারি কোম্পানি সেই কীটনাশক আনছে, সেগুলো দোকানে দোকানে বিক্রির ব্যবস্থা করবো। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, গত বছর বাংলাদেশে এক হাজার ৪০৫ জন ডেঙ্গতে আক্রান্ত হয়েছিল। এবার গতবারের সংখ্যা অতিক্রম করেছে। অনেক আক্রান্ত হয়েছে। আবার অনেকই মারা গেছেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম (ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন), গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি ( টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, স্থাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত বিভাগের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ