পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টালিন সরকার (উত্তরাঞ্চল থেকে ফিরে) : ব্যাটারি-চালিত ভ্যানে কুড়িগ্রাম শহরের অদূরে ধরলা ব্রিজ পাড় হতেই ভ্যানে উঠলেন দু’জন। দেশের পূর্বাঞ্চলের পূর্বের পাঁচগাছী, মাঠেরপাড়, পাটেশ্বরী, বউবাজার, কুমারপুর, চ-িপুর, ব্যাপারীর হাট, পোড়াডাঙ্গা পেছনে ফেলে নিঃশব্দে এগিয়ে চলছে ভ্যান। আনোয়ার নামের সহযাত্রী পরিচয় জেনেই বললেন দাশিয়ারছড়া যাওয়ার সবচেয়ে ভালো বাহন হলো মোটরসাইকেল। ভাড়ায় পাওয়া যায়। ফুলবাড়ি পৌঁছার আগেই গঙ্গারহাটে গিয়ে বাম দিকে মোড় নিয়ে কিছুদূর গেলেই দাশিয়ার ছড়া। আপনি চাইলে ব্যাটারি চালিত রিকশায় যেতে পারেন। তবে সময় লাগবে বেশি। ভারতের সাবেক ওই সিটমহল এখন স্থানীয়দের কাছে ‘নতুন বাংলা’ নামে পরিচিত। নাগেশ্বরী পৌঁছেই যথারীতি মোটর সাইকেল ভাড়া নিয়ে দাশিয়ারছড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা।
বাংলাদেশের আট-দশটা গ্রামের মানুষের মতোই দাশিয়ারছড়ার মানুষজনের চেহারায় মিল থাকলেও সেখানে মনে হয় সবকিছু নতুন। রাস্তাঘাট, স্কুল, বিদ্যুৎ, হাট-বাজারে উন্নয়নের ছোঁয়া-নতুনত্ব। বসবাসরত মানুষগুলোর কথাবার্তা রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় হলেও আচরণ এবং আত্মবিশ্বাসে দেখা গেল দৃঢ়তা। এতদিন তাদের দেশ ছিল না; নতুন দেশ পেয়ে দারুণ খুশি। আগে জাতিগতভাবে নিজেদের ভারতীয় জানলেও সেখানে যেতে পারত না। মৌলিক অধিকার, নাগরিক সুবিধা দূরের কথা মানবাধিকার পর্যন্ত ছিল না। এখন বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। বাংলাদেশের যেখানে সেখানে অনায়াসে যেতে পারছেন। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে কেমন লাগছে প্রশ্ন ছুঁড়তেই এক সঙ্গে কয়েকজন বলে উঠলেন, ‘আমাদের প্রথম এবং আসল পরিচয় আমরা মুসলমান। তারপর বাংলাদেশী। আগে দেশ ছিল না; এখন দেশ পেয়েছি। কিন্তু ইসলাম ধর্মের মানুষ যেখানেই থাকুক তার প্রথম এবং আসল পরিচয় মুসলমান।’ অজপাড়াগাঁয়ের মানুষের মুখে এমন চিন্তাশীল কথাবার্তা শুনে নিজেকে বোকাই মনে হলো।
দাশিয়ারছড়া’র ইট বিছানো নতুন রাস্তা দিয়ে কয়েকটি গ্রাম ঘুরে প্রায় অর্ধশত মানুষের সঙ্গে কথা হয়। সবার মধ্যে উদ্দীপনা। নাম জানতে চাইলেই সবাই নাম বলার আগে ‘মোহাম্মদ’ শব্দটি উচ্চারণ করেন। মোসলেম উদ্দিন নামের এক প্রতিবন্ধীর নাম টুকে নেয়ার সময় প্রতিবাদ করলেন, ‘স্যার আমার নাম মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন। আপনি মোসলেম উদ্দিন লিখলেন কেন? মুসলমান হিসেবে নামের আগে মোহাম্মদ লেখা বাধ্যতামূলক।’ কথা শুনে আমার কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা। ‘না-না এটা সংক্ষিপ্ত লেখা। রিপোর্ট লেখার সময় পুরো নামই লিখবো’। আশ্বস্ত হলেন মোহাম্মদ মোসলেন উদ্দিন। অবাক করার ঘটনা বটে! দাশিয়ারছড়ায় যার নাম জানতে চাই তিনি সগৌরবে নামের আগে ‘মোহাম্মদ’ উচ্চারণ করে নিজের ধর্মের পরিচয় জানান দিচ্ছেন!
ছিটমহলটির নাম ছিল দাশিয়ারছড়া। ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার পর থেকেই অন্যান্য ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশের পেটের ভিতরে থাকা ভারতের ১১১ ছিটমহলগুলোর মতোই ছিল দাশিয়ারছড়ার মানুষের বেহাল দশা। নিজস্ব কোনো দেশ ছিল না; ছিল না পরিচয়। আর দশজন মানুষের মতো তারাও একটি দেশের নাগরিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন ’৪৭ সাল থেকে। ’৭৪ সালে সে উদ্যোগ নেয়া হলেও দিল্লির চানক্য নীতির কারণে তা এগোয়নি। ৪১ বছর পর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বদলে গেছে মানুষের জীবনধারা। পেয়েছেন নিজস্ব পরিচয়। কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার এই সাবেক ছিটমহলটির নতুন নাম কাগজে-কলমে এখন ‘মুজিব-ইন্দিরা দাশিয়ারছড়া ইউনিয়ন’। ভোটার হয়েছেন, ভোটও এখন দিতে পারবেন। ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। গংগারহাট থেকে কালীরহাট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার নতুন প্রশস্ত সড়কে ইট বিছানো হয়েছে। নতুন বিদ্যুৎ-সংযোগ দেয়া হয়েছে। উন্নয়নের ফিরিস্তি দিতে গিয়ে টি-স্টলের মালিক মোফাজ্জল হোসেন বললেন, ‘স্যার আগে হামরা ন্যাম্প (কিরোসিনের তেলে জ্বালানো এক ধরনের বাতি) দিয়ে দোকান করছি। ন্যাম্পর আগুনোত (আগুন) বেচাকেনা করছি। এখন বিদ্যুৎ হইচে। কত সুবিদা। আমরা পাঁচ ভাই। কাইয়্যো ভারত যাই নাই। নতুন বাংলায় এখন হামার জীবনটাই পাল্টে গেছে। বালাটারী গ্রামের মোহাম্মদ শওকত আলী, মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সুলতান হোসেন, মোহাম্মদ সাহেব আলী সবার একই বক্তব্য; আগে আধা মাইল দূরের গংগার হাটে গেলেও সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরতে হতো। স্কুলে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করতে হতো মিথ্যা পরিচয়-ভুয়া ঠিকানা দিয়ে। এখন রাত ১২টায় বাড়িতে ফিরতেও কোনো বাধা নেই। নতুন বাংলার নাগরিক হয়ে গর্বিত মোফাজ্জল বললেন, যারা ভারত চলে গেছে তারা শুধু আত্মঘাতীই সিদ্ধান্ত নেয়নি; জন্মভূমির প্রতি বেঈমানী করেছে। ওরা এখন ভারতে গিয়ে হায় হায় করছে। এই সিটমহলে কিছুই ছিল না। ১৪ মাসে সবকিছু হয়েছে। মাত্র ৬০ দিনে বিদ্যুৎ এসেছে। অথচ যারা ভারতীয় হয়ে সেখানে গেছেন তারা কোনো উন্নয়ন পাননি। এখানে সরকার অনেককেই ঘর তুলে দিয়েছে। মোট কথা আমরা নাগরিকত্ব পেয়েছি, মৌলিক অধিকার পেয়েছি। বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে কথা বলার অধিকার পেয়েছি। তবে মুসলমান হিসেবে বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া সবচেয়ে গর্বের।
দাশিয়ারছড়া ঘুরে বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, নতুন ভোটার তালিকা করা হয়েছে। ভোটারদের স্মাট কার্ড দেয়া হয়েছে (৩ অক্টোবর সিইসি দেন)। নতুন একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা খোলা হয়েছে। উন্নয়নের বিপুল কর্মযজ্ঞ চলছে। এসব দেখতে আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ এসে ভিড় করছেন। সাংবাদিকদের নিত্যদিন আনাগোনা। পরিবেশ দেখে মনে হলো রীতিমতো পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে মাত্র ১৪ মাস আগেও দেশের মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন অবহেলিত এই নিরিবিলি জনপদটি।
দাশিয়ারছড়ার একটিই বাজারের নাম কালীরহাট। দেড় বছর আগেও ছিলো টিনের বেড়া ও ছাউনি দেয়া একটি চায়ের স্টল। আর বহু পুরনো এক পাকুড় গাছ তলায় কয়েকটি দোকান। এই নিয়েই কালীরহাট বাজার। অথচ এখন ইটের তৈরি নতুন নতুন দোকান, হোটেল, অফিস, উপ-তথ্যকেন্দ্র, ব্যাংক, মসজিদসহ অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানের ঘর উঠেছে। একপাশে নতুন টিনের বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। সাইনবোর্ডে লেখা শেখ হাসিনা বহুমুখী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। লম্বা ঘরটি ঝলমল করছে রোদে। দুপুরে চা খাওয়ার জন্য মোটর সাইকেল রাখা হলো। চোখে পড়লো পাকুড় গাছের তলায় কয়েকটি মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে রাখা। ব্যস্ত হয়ে নানা কাজে ঘোরাঘুরি করছেন লোকজন। চায়ের দোকানে সিঙ্গারা খেতে খেতে পাশের টেবিলে বসা মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাই কেমন আছে? প্রশ্ন শুনে এক গাল হাসি দিয়ে বললেন, ভালো। আগে অন্ধকারে ছিলাম এখন আলোয় এসেছি। দেশ-পরিচয় ছিল না এখন সব পেয়েছি।
ঘুরতে ঘুরতে চোখে পড়লো নতুন সড়কের একপাশে স্থাপন করা হয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের (এসআইবিএল) শাখা। ব্যাংকের অদূরেই স্থাপিত হয়েছে সরকারি উপ-তথ্যকেন্দ্র। নতুন সার্ভারের যন্ত্রপাতি বসে গেছে। মোবাইল, ইন্টারনেট সবই চলছে। ৬ দশমিক ৬৫ বর্গকিলোমিটার দৈর্ঘের দাশিয়ারছড়ার জমির পরিমাণ ১ হাজার ৯০০ একর। সর্বশেষ ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে লোকসংখ্যা ৮ হাজার ৮শ’। তবে ভাড়া নেয়া মোটর সাইকেলের চালক জানালেন দাশিয়ারছড়ায় লোকসংখ্যা ১২ হাজার। জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, দাশিয়ারছড়ায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৫৬২ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ হাজার ৩০৬ এবং পুরুষ ভোটার ১ হাজার ২৫৬ জন। ‘নতুন বাংলা’ হওয়ায় দাশিয়ারছড়ায় ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। কালীরহাট, রাসমেলা ও কামালপুরে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হবে। আর রয়েছে কালীরহাটে শেখ হাসিনা কালীরহাট বহুমুখী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, সমন্বয় পাড়া নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাশিয়ার ছড়া ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসা।
দাশিয়ার ছড়ার সবাই খুশি। কিন্তু মন ভালো নেই বালাটারির মোহাম্মদ আবদুস সামাদের। তার ছেলে মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম স্ত্রী ও দুই নাতি-নাতনীকে নিয়ে ভারত চলে গেছে শ্বশুরের সঙ্গে। বললেন, বেয়াইকে কত বুঝিয়েছি ভারত যাবেন না। নাড়িপোতা মাটিতে পড়ে থাকেন। কিন্তু শোনেনি। সেখানে গিয়ে কত কষ্ট করছে। যেসব সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা বলে নিয়ে গেছে তার কিছুই দেয়নি। পাশে দাঁড়ানো মোহাম্মদ শহিদুলের স্ত্রী বললেন, নাতনি আলমিনার কতা মনোত ওটলে খালি কাঁন্দো। মাঝে মাঝে মোবাইলোত আও (কথা) করি। বেটি খালি কান্দে। মোহাম্মদ শহিদুলের ছেলেরা ভারতের দিনহাটার কৃষিমেলা নামক যায়গায় রয়েছে জানিয়ে তার স্ত্রী বললেন, এ্যালাও তাঁবুর ভেতর আছে। অনেক কষ্টোত দিন কাটাচ্ছে। যেগুলা দিবার চাচিল তার কিছুই দেয় নাই ভারত সরকার। খালি বোলে অ্যাশোন (রেশন) দেয়। এখ্যোন ওমরা সবাই ফিরিয়া আইসপ্যার চায়। রাস্তায় যখন কথা হচ্ছিল তখন একজন চোখের ইশারায় পাশের বাড়িতে ডাকেন। মোহাম্মদ সোলেমানের সেই বাড়িতে কথা হয় মোহাম্মদ শামসুলের সঙ্গে। মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম ভারত সরকারের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে আবেদন করে দিনহাটায় চলে গেছেন। সেখানে তাঁবুতে থাকেন। পালিয়ে এসেছেন বাংলাদেশে। কয়েকদিন থেকে আবার ভারতের দিনহাটায় চলে যাবেন। তিনি জানান, যারা ভারত গেছেন তাদের অনেকেই এভাবে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে দাশিয়ারছড়ায় কয়েকদিন আতœীয়-স্বজন ও পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে আবার গোপনে চলে যান। তিনি বললেন, বাংলাদেশ সরকার দাশিয়ারছড়ার উন্নয়ন করেছে, মানুষের সুবিধা দিচ্ছে; ভারতের দিনহাটায় যারা গেছেন তারা এসবের ছিঁটেফোঁটাও পাননি। দিনহাটায় প্রচ- কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। সেখানের যাওয়া অনেকেই এখন বাংলাদেশে ফিরে আসার জন্য ব্যাকুল। কিন্তু ইচ্ছে করলেই আসা যায় না। তিনি জানান, রবিউল, হরেকৃষ্ণ, বিশু রায় কেউ সেখানে আর থাকতে চায় না। সবাই দেশে ফিরতে চায়। ওখানে মন থাকে না। তবে যারা দিনহাটায় গেছেন এবং কর্মঠ তাদের অনেকেই কাজের উদ্দেশ্যে দিল্লি-মুম্বাই গেছেন। সেখানে কাজ করছেন। কিন্তু যারা দিনহাটায় পড়ে রয়েছেন তাদের দুঃখ-দুর্শশার অন্ত নেই।
দাশিয়ারছড়া থেকে ফেরার পথে হাজিটারী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ জমির আলীর পুত্র মোহাম্মদ একরামুল হক জানান, তাদের গ্রামের মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ভারত গেছেন। আরো গেছে তার ছেলে মোহাম্মদ হামিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আবদুল হামিক। তারা ফিরে আসার জন্য উদগ্রীব। একরাম বলেন, কিছুদিন আগে রাতে সীমান্ত পাড় হয়ে হামিদুল এসেছিল। কি তার কাঁন্না! ভারত সরকার যে সুযোগ সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তার ছিঁটেফোটাও দেয়নি। ততক্ষণে সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়েছে। ভাড়ায় নেয়া মোটর সাইকেলের চালক তাড়া দিচ্ছেন। মোটর সাইকেল চলতে শুরু করেছে। কিন্তু পিছন থেকে ভেসে আসছে একসঙ্গে কয়েকজনের কণ্ঠ আমরা মুসলমান। মুসলমানই আমাদের আসল পরিচয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।