পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার :অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকায় বিশ্বব্যাংকের হিসাবে বাংলাদেশে ‘অতিদরিদ্র’ মানুষের সংখ্যা মোট জনগোষ্ঠীর ১২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ, ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের এই জনগোষ্ঠীর দৈনিক আয় ১১৫ টাকার নিচে। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে এই হার ছিল ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে আগামী অর্থবছরে ‘কিছু অনিশ্চয়তার কারণে’ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
গতকাল বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। সংস্থাটির ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই প্রতিবেদন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, গত অর্থবছরে অর্জিত ৭.১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে ভিত্তি ধরে অতিদারিদ্র্যের হার হিসাব করা হয়েছে। এ অঞ্চলে ভারত, পাকিস্তান ও ভুটানের চেয়েও বাংলাদেশের এই অর্জন অনেক ভালো।
জাহিদ হোসেন জানান, আন্তর্জাতিক মানদ-ে কোনো দেশের দারিদ্র্যের হার বলতে মূলত হতদরিদ্রদেরই বোঝানো হয়। প্রত্যেক অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির ভিত্তিতে বিচার করে বিশ্বব্যাংক এই হার ঠিক করে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১০-১১ সময়ে বাংলাদেশে অতিদারিদ্র্যের হার ছিল ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ; ২০১১-১২ অর্থবছরে ছিল ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ; ২০১২-১৩ অর্থবছরে ছিল ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ; ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ছিল ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ‘শূন্যে’ নামিয়ে আনার যে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে, তা অর্জন করতে হলে বাংলাদেশকে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে বলে অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন জানান।
সরকার চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করলেও বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস বলছে, শেষ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। সেক্ষেত্রে অতিদারিদ্র্যের হার ১২ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসবে। উল্লেখ্য, এই হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে এলেই তাকে শূন্য ধরা হবে। জাহিদ হোসেন বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ‘কিছু অনিশ্চয়তার কারণে’ আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ২ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি চিমিয়াও ফান।
যাদের আয় দিনে ১ দশমিক ৯০ ডলারের কম, তাদেরকেই বিশ্বব্যাংক ‘অতিদরিদ্র’ হিসেবে চিহ্নিত করে। বিশ্বব্যাংকের ২০১৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১০ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ বাস করছে অতিদারিদ্র্য সীমার নিচে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।