পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল আটটা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত মৃত্যুর এই সংখ্যা বিগত ৫৬ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর চেয়ে কম ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল গত ২৯ জুন ২০২১ তারিখে। জুন মাসের শুরুতেই দেশে করোনার ডেলটা ধরনের দাপট দেখা দিলে বাড়তে থাকে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। এক পর্যায়ে টানা ১৯ দিন দৈনিক দুই শ’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে গত ৫ ও ১০ আগস্ট দৈনিক সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে দেশে করোনা সংক্রমণের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানানো হয়েছে।গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫ হাজার ২৪৯ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও রোগী শনাক্ত আগের দিনের চেয়ে কমেছে। আগের দিন ১১৭ জনের মৃত্যু এবং ৫ হাজার ৭১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এতে দেখা যায়, সপ্তাহখানেক ধরে দেশে আবার করোনায় মৃত্যু কমছে। সেই সঙ্গে কমছে রোগী শনাক্তের সংখ্যা ও পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারও।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৪। মোট মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৫১৩ জনের। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৬৩ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৯০৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৭০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ। আগের দিন ৩৬ হাজার ৭৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৫৬ জন ও নারী ৫৮ জন। ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯ জন মারা গেছেন। খুলনা বিভাগে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের।
বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ে। এর মধ্যে গত জুলাই মাসে দেশে করোনায় মৃত্যু হয় ৬ হাজার ১৮২ জনের। প্রায় দেড় বছর ধরে চলা এ মহামারিতে এর আগে কোনো মাসে দেশে এত মৃত্যু হয়নি। তার আগে বেশি মৃত্যু হয়েছিল গত এপ্রিলে, ২ হাজার ৪০৪ জনের। বর্তমানে সারা বিশ্বেই করোনার ভারতীয় ডেলটা ধরনের দাপট চলছে। এরই মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৪২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার অতিসংক্রামক এ ধরন ছড়িয়ে পড়েছে। অক্টোবরে ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।