পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ৩-৫ বছরের মধ্যে প্রতিবছর ১ লাখ মেট্রিক টন আম বিদেশে রফানির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা রোডম্যাপ প্রণয়নের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে হর্টেক্স ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘আম রফতানি বৃদ্ধির জন্য আমের উন্নত ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় তিনি এ তথ্য জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে বছরে ২৫ লাখ টন আম উৎপাদিত হয়। অথচ রফতানি হয় মাত্র কয়েকশ’ টন আম। বছরে ১ লাখ টন আম রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। সে লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন, রোডম্যাপ প্রণয়ন ও আমের নতুন বাজার খুঁজে বের করতে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমের রফতানি বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে। রফতানির বাধাসমূহ চিহ্নিত করে তা নিরসনে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে নিরাপদ আমের নিশ্চয়তা দিতে ৩টি ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলছে। উৎপাদন থেকে শিপমেন্ট পর্যন্ত আম নিরাপদ রাখতে উত্তম কৃষি চর্চা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট দেয়ার কাজ চলছে। এর ফলে চলতি বছর গত বছরের তুলনায় আম রফতানি ৫ গুণ বেড়েছে। আগামীতে রফতানির পরিমাণ অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে। সভায় জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর আমের উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু উৎপাদনের তুলনায় রফতানির পরিমাণ অনেক কম। ডিইএর হিসাবে ২০১৯-২০ সালে দেশে প্রায় ২৫ লাখ টন আম উৎপাদিত হয়েছে। বিপরীতে আম রফতানি হয়েছে ২৮৩ মেট্রিক টন। তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ফলে চলতি বছর ২০২০-২১ সালে ১৬২৩ মেট্রিক টন আম রফতানি হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫ গুণেরও বেশি। দেশে উৎপাদিত আমের বিরাট অংশ- গড়ে শতকরা প্রায় ২৫ ভাগ সংগ্রহোত্তর পর্যায়ে নষ্ট হয়। খিরসাপাত আমের ক্ষেত্রে ৩৭% ও ফজলি আমের ২৯% নষ্ট/অপচয় হয়। এতে ক্ষতির পরিমাণ বছরে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আম রফতানির বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য নতুন বাজার অনুসন্ধান, রফতানি চাহিদা অনুযায়ী উন্নতজাত নির্বাচন, ফাইটোস্যানিটারি পদ্ধতি ও আমদানিকারক দেশের উত্তম কৃষি চর্চা মেনে আম উৎপাদন, সার্টিফিকেশন, উন্নত প্যাকিং, উন্নত সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থা, রফতানি কার্যক্রমে দক্ষতা, সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ, বিমান বন্দরে সুষ্ঠু কার্গো ব্যবস্থাপনার উপর কর্মশালায় গুরুত্বারোপ করা হয়।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এতে রাখেন বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ এবং এনএটিপি-২ প্রকল্পের পরিচালক মো. মতিয়ার রহমান। এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থাপ্রধান, আমচাষি, ব্যবসায়ী, শাকসবজি ও ফল রফতানিকারক প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।