পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্রামের প্রতিবন্ধী যুবক বাবুল আক্তার (৩৩)। মাশরুম চাষে শূন্য থেকে মহিরুহ হয়ে উঠেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পেয়েছেন জাতীয় বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার ও যুব পদক। প্রতিবন্ধী বাবুলের এই সাফল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা গ্রামে। দরিদ্রতার অভিশাপ থেকে মুক্তি মিলেছে সাধারণ মানুষের।
মাগুরা সদর উপজেলার বড়খড়ি গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবুল আক্তারের সাফল্যের যাত্র শুরু ২০০৭ সালে। প্রতিবেশির কাছ থেকে মাত্র ১০০ টাকা ঋণ নিয়ে যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে যান প্রশিক্ষণ নিতে। সেই থেকে শুরু। আর পেছনে ফিরে তাকাননি তিনি। নিজের শারীরিক প্রতিবন্ধীতাকে তুচ্ছ করে বাবুল আক্তার হয়ে উঠলেন বড়খড়ি গ্রামে সকলের কাছে প্রিয় বাবুল ভাই।
নিজ বাড়িতে ছোট করে শুরু করেন মাশরুম সেন্টার। আঙিনার মাশরুম চাষকে ছড়িয়ে দেন পুরো গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে। মাশরুমে এখন তার পুঁজি কমপক্ষে ১৮ কোটি টাকা। গড়ে তুলেছেন মাশরুম রিসার্চ সেন্টার। যেখান থেকে মাশরুমের আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে চলছে নানা রকমের গবেষণা ও কর্মকান্ড।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা বিজ্ঞানীরাও কাজ করছেন বাবুল আক্তারের এই রিসার্চ সেন্টারে। সেই সঙ্গে ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের মাশরুম সংগ্রহ করে তা প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাত করেন তিনি। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে মাশরুম যাচ্ছে ভারতের বাজারে। ফলে বাবুল আক্তারের দেখানো পথ ধরেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন জেলার প্রতিবন্ধী বেকার যুবক-যুবতীরা।
বাবুল আক্তার নিজে মাত্র ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করলেও মাশরুম প্রক্রিয়াজাত, গবেষণা, উন্নয়ন ও বাজারজাত করার জন্য সারাদেশে তার ২০০ উচ্চশিক্ষিত কর্মী কাজ করেন। বাবুল জানান, তার লক্ষ্য প্রতিটি কর্মীকে দক্ষ করে গড়ে তুলে একজন সফল মাশরুম চাষি হিসাবে তৈরি করা। আর এভাবে সারা দেশে মাশরুম চাষ ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা তার।
বাবুল আক্তারের ড্রিম মাশরুম সেন্টারের প্রজেক্ট ম্যানেজার ড. বাসুদেব রায় দাবি করেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে মাশরুম নিয়ে যে গবেষণা হয় তা দেশের অন্য কোথাও হয় না। এমনকি দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে বাবুলের আন্তর্জাতিক মানে প্রক্রিয়াজত করা মাশরুম।
এ বিষয়ে মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত প্রমাণিক দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বাবুলের মাশরুম কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। তার উন্নয়নে আমরা অভিভূত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।