সাউথ-বাংলা এগ্রিকালচারাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে আরেকটি অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার কমিশন এই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
দুদক সূত্র জানায়, আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামে-বেনামে দেশে বিদেশে বিভিন্ন কোম্পানি খুলে ব্যাংকটির খুলনা শাখা ও কাঁটাখাশি শাখা ব্যবহার করে আমদানি-রফতানি ও ঋণের আড়ালে নানাবিধ দুর্নীতি, অনিয়ম, জালিয়াতির মাধ্যমে আমানতকারীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২(শ) ধারায় সম্পৃক্ত অপরাধ অভিযোগ অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
এছাড়া আগে থেকেই সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ২শ’ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির একটি অভিযোগ অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে দুদক উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান অনুসন্ধানটি চালাচ্ছেন। সূত্রমতে, ঋণ জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় আমজাদ হোসেন ও তার পরিবারবর্গের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের জন্যও চিঠি দেয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা রয়েছে নিজ, তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে থাকা ব্যাংকের শেয়ার বিক্রির ওপর। এমনকি সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৭৬টি চিঠি দেয় দুদক। এর আগে ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি আমজাদ হোসেন, তার স্ত্রী ও কন্যার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দুদক। ঋণ জালিয়াতি, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলীয় কর্মকান্ডে অর্থায়নসহ বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল। ওই চিঠিতে তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ ছিলো। এস এম আমজাদ হোসেন ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২শ’ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন। মেসার্স আলফা এক্সেসরিজ অ্যান্ড এগ্রো এক্সপোর্ট লিমিটেডের নামে অন্তত: ৩৩ কোটি টাকার অনিশ্চিত শ্রেণীকরণ ঋণ থাকা সত্তে¡ও নিয়মবহির্ভূতভাবে আরও ২শ’ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে।