পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০১৪ সাল থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সত্যিকারের গণতন্ত্রের অনেকগুলো ভারসাম্যকে নষ্ট করেছে। দেশটির নির্বাচনগুলো অবাধ ও সুষ্ঠু হলেও, মোদির বিরোধী পক্ষগুলো ও সমালোচকদের জব্দ করার জন্য মানহানি আইনের অপব্যবহার করা হয়। এমনকি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ভয় দেখানো হয় এবং এমনকি কারাগারে অন্তরীণ করা হয়। বিজেপির অধীনে ৭ হাজারেরও বেশি ভারতীয়র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে, যা নাগরিক সমাজকে ভীত সন্ত্রস্ত্র করে রেখেছে।
বিভিন্ন সংবাদপত্র ও এনজিওর আন্তর্জাতিক তদন্ত থেকে জানা যায় যে, মোদির সরকার বিরোধী নেতা, সাংবাদিক, শীর্ষস্থানীয় প্রাক্তন নির্বাচনী কর্মকর্তা এবং সিনিয়র সরকারি কর্মচারী সহ শত শত ভারতীয়ের মোবাইল ফোনে আড়িপাতার জন্য পেগাসাস নামক ইসরায়েলি সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে। এ ধরনের কেলেঙ্কারি একটি জবাবদিহিতামূলক সরকারকে হটিয়ে দিতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত, এমন একটি অবৈধ এবং অগণতান্ত্রিক কাজের জন্য কোন গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি হয়নি।
পার্লামেন্টে মোদি এবং তার সহকর্মীরা গণতন্ত্রকে একটি রাবার স্ট্যাম্প হিসেবে মনে করেন। তারা এটা করতে সমর্থ হচ্ছেন, কারণ বিরোধী দলগুলো অসংগঠিত এবং অলস। এটা ঠিক যে, বিরোধীদলীয় সাংসদরা এখন বিতর্কিত পেগাসাসের বিষয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন, এবং তাদের দাবিগুলোর পক্ষে চাপ দিতে সংসদ বর্জন করছেন। তবে, দুর্ভাগ্যবশত তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কিছু এসে যায় না। এটি সেখানে মাত্র এক মিনিটের জন্য আলোচিত হয়েছিল।
সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভি-ডেম ইনস্টিটিউট এই বছর ঘোষণা করেছে যে, ভারত নির্বাচনী গণতন্ত্র থেকে নির্বাচনী স্বৈরতন্ত্রের দিকে চলে গেছে, যা স্বৈরাচারী পাকিস্তানের, বাংলাদেশ বা নেপালের চেয়েও খারাপ অবস্থায় পৌছেছে।
স্বৈরশাসিত দেশ বা অঞ্চলগুলির কারো কারোর বৈশিষ্ট্যগুলি আরও খারাপ পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। এর একটি হল, অভ্যন্তরীণ সমালোচকদের জব্দ করার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুসন্ধানী কার্যক্রম। ভারতের মিডিয়া গ্রæপ দৈনিক ভাস্কর কোভিড-১৯ এর সরকারী উন্নাসীকতা তুলে ধরার পর, কর পরিদর্শকরা প্রতিষ্ঠানটিতে সাড়াশি অভিযান চালায়।
ভারতীয় গণতন্ত্র ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত ইন্দিরা গান্ধীর স্বৈরাচারী জরুরি অবস্থায় থেকে বেঁচে ফিরে ছিল। আজ কেউ কেউ পেগাসাসের বিরুদ্ধে ভারতের বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত হওয়াকে দেখছেন এর পুনর্জাগরণের সূচনা হিসাবে। তবে, স্বৈরতন্ত্রের প্রতিটি বিস্ফোরণ গণতান্ত্রিক রীতিগুলিকে ক্রমেই দূর্বল করে ফেলে। সূত্র : দ্য ইকোনোমিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।