পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাঠে ঢুকে মাশরাফিকে জড়িয়ে ধরা যুবক ¯্রফে পাগল ভক্ত
স্টাফ রিপোর্টার : শনিবার রাতে ম্যাচ চলাকালে ঢাকার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মাশরাফিকে জড়িকে ধরা মেহেদি হাসান নামে ওই যুবককে ¯্রফে পাগল ভক্ত বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে থানায় রেখে গতরাত প্রর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। শুধু হাসান একাই নয়Ñ থানায় তার আরো তিন বন্ধুসহ চার মাশরাফি ভক্তকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে এমন অন্ধ ভক্তকে বুকে আগলে রাখা এবং পরিস্থিতি সামাল দেয়ায় সোশ্যাল
মিডিয়ায় চলছে মাশরাফির বন্দনা।
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ চলাকালে গত শনিবার মাঠে ঢুকে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে জড়িয়ে ধরে মেহেদি হাসান নামে এক যুবক। ঘটনার পর খেলা শেষে মেহেদি হাসানসহ সাভার থেকে একসাথে আসা তার আরো তিন বন্ধুকে মিরপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রাতে তাদের আবারো মাঠে নেয়া হয়। তল্লাশি করা হয় যেখানে বসে তারা খেলা দেখেছিলেন। মেহেদি হাসান ধানমন্ডির একটি বেসরকারি বিশ্বদ্যিালয়ের ছাত্র। তার বন্ধুরাও সবাই শিক্ষার্থী। গত রাত ৮টা পর্যন্ত তাদের থানায় রাখা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হাসানকে স্রেফ একজন পাগলভক্ত বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ। এ সময় পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের মামলা হয়নি। এদিকে আটককৃত যুবকদের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি পুলিশ। এমনকি সাংবাদিকদের সঙ্গেও দেখা করতে দেয়া হয়নি।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভূঁইয়া মাহবুব হোসেন বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদে যদিও তার ব্যাপারে সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি, কিন্তু পুরোপুরি নিশ্চিত হবার জন্য হাসানসহ অন্যদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে না কি আদালতে পাঠানো হবে সে ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
আটক হাসান ধানমন্ডির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সবচাইতে ব্যয়বহুল গ্যালারিগুলোর একটি গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে বসে ছিল। যে গ্যালারিটি খেলোয়াড়দের সাজঘরের উপরেই অবস্থিত। একমাত্র এই গ্যালারির সামনেই কোনো গ্রিল বা লোহার জাল দেয়া নেই। পাগল ভক্ত ওই যুবক ছুটে গিয়ে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে জড়িয়ে ধরেন। ঘটনার আকস্মিকতায় প্র্রথমে বিমূঢ হয়ে পড়লেও যুবকটির মুখে আমি আপনার ফ্যান শব্দটি শোনার পরই মাশরাফিও তাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তোপ থেকে ফ্যানকে রক্ষায় নিজের বুকে আগলে রাখেন। ঘটনাটিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা নিয়ে প্র্রশ্ন তুললেও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা যেভাবে সামাল দিয়েছেন তার প্র্রশংসা সবাই করছেন। পুরো ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। চলছে মাশরাফির বন্দনা।
সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান ফেসবুকে লিখেছেন, অধিনায়ক মাশরাফির বুকে যে ছেলেটি ছুটে গেল সেই ক্রিকেটপ্রেমিকের আরেক নাম বাংলাদেশ। এটাই আবেগ এটাই প্রেম। এই উচ্ছ্বাস কোনো নিরাপত্তাবলয় মানে না। এটা দেশপ্রেম। মাশরাফি তা বুঝেছেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা তারা মাশরাফির বুক থেকে টেনে নিয়ে বীরত্ব দেখাবার সুযোগ রাখেন না। শাস্তি পেতে হলে ক্রিকেটপ্রেমিক, দেশপ্রেমে আত্মহারা তরুণ নয়, পাওয়া উচিত নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন তাদের। কারণ প্রেমিক সফল, নিরাপত্তা প্র্রহরী ব্যর্থ। কি বলেন আপনারা???
দিদারুল আলম লিখেছেন, লাখ লাখ ক্রিকেট পাগল ভক্তের ভালোবাসা-ই তৈরি করেছে মাশরাফিদের। মাশরাফি অকৃতজ্ঞ নন বলেই ভক্তের ভালোবাসার প্র্রতিদান দেবার চেষ্টা করেছে.....ঘরে ঘওে তৈরি হোক মাশরাফির মতো যাদু সন্তান ।
চৌধুরী মুহাম্মদ ফয়সাল লিখেছেন, মাশরাফির জায়গায় অন্য কেউ হলে মেহেদিকে এইভাবে বুকে আগলে রেখে রক্ষা করত না, আসলেই তুমি (ম্যাশ) আসল হিরো।
নিশাত তাসনিম তাবাসসুম লিখেছেন, আমি সেই সময়ের সাক্ষী, যখন মাশরাফি বাংলাদেশের ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন।
এবিএস ইয়ামিন নামে একজন লিখেছেন, এক মাশরাফিই একজন দর্শককে নিয়ে যা দেখাইল। আসলে সেলিব্রেটিদের এমনি হওয়া উচিত। আজ তার প্র্রতি ভালোবাসাট বেড়ে গেল আরো অনেক গুণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।