পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে রাজধানীর জন্য নির্ধারিত রুটে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাজিয়া মিছিল শেষ করতে হবে। এক এলাকার মিছিল নিয়ে অন্য এলাকায় যাওয়া যাবে না। নির্ধারিত স্থান ছাড়া ৯ই মহররম রাজধানীর কোথাও কোন তাজিয়া মিছিল কেউ করতে পারবে না।
গতকাল রোববার সকাল ১১টায় ডিএমপি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত পবিত্র মহররম মাসের আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া শোক মিছিল উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন পুলিশ কমিশনার।
তিনি বলেন, মিছিলে নিশান, পাঞ্জা ব্যবহারের জন্য ১২ ফিটের বেশী উচ্চতা বিশিষ্ঠ কোন লাঠি বা বাঁশ ব্যবহার করা যাবে না এবং কোন প্রকার আতশবাজি, পটকা ফোটানো যাবে না। তিনি বলেন, ধর্ম যার যার -উৎসব সবার। ধর্মীয় উৎসব সবাই করবে, এর নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্র বদ্ধপরিকর বিধায় পুলিশ সকল ধর্মীয় উৎসবে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। এ প্রসঙ্গে উপস্থিত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার তাজিয়া মিছিল সংক্রান্ত কমিটির প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন- বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে ধর্মীয় উৎসব পালন করার পাশাপাশি আমাদের সকলকে নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখতে হবে এবং নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নিরাপত্তার জন্য কোন ছাড় দেয়া যাবে না।
পবিত্র আশুরার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন- হোসনী দালান, কারবালা, বিবি-কা-রওজাসহ রাজধানীর যেখানে পবিত্র আশুরার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে সিসিটিভি স্থাপন করতে হবে, প্রবেশ মুখে আর্চওয়ে স্থাপন করে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে হ্যান্ডমেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেক করে লোকজনদের প্রবেশ করাতে হবে। কোনক্রমেই কাউকে ব্যাগ, টিফিন বক্স, প্রেসার কুকার নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। সন্দেহ হলে দেহ তল্লাশী করতে হবে। কেউ চেকিং ছাড়া ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। আগত পাইকরা সরাসরি ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না।
মিছিলে অংশগ্রহণকারী পাইকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- পাইকরা দৌঁড়ে সরাসরি অনুষ্ঠানের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না এবং ছুরি, বল্লম, দা ও তলোয়ার নিয়ে মিছিল করতে পারবে না।
স্বেচ্ছাসেবক প্রসঙ্গে তিনি বলেন- প্রত্যেক মিছিলে এবং অনুষ্ঠানে অবশ্যই পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে এবং প্রত্যেককে আর্মব্যান্ড বা কটি বা জ্যাকেট দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে যাতে সহজেই তাদেরকে চেনা যায়। তিনি মিছিলে বহিরাগতদের চিহ্নিত করে তাদের অনুপ্রবেশ বন্ধে স্বেচ্ছাসেবকদেরকে কাজ করতে বলেন।
এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পবিত্র আশুরা উৎসব সংক্রান্ত কমিটির প্রতিনিধিগণ, ডিজিএফআই, এসবি, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিসহ ডিএমপি’র অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।