পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রগুলোর আরও গভীরে অনুসন্ধান করলে বেশ ভাল পরিমাণ গ্যাস পাওয়ার আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। হঠাৎ যদি বর্তমান গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে উত্তোলিত গ্যাসের পরিমাণ কমে যায় তাহলে শুধুমাত্র এলএনজি দিয়ে এক ঘাটতি পূরণ করা যাবে না। এক্ষেত্রে অনেক গ্যাসক্ষেত্রের গভীরে হাই প্রেসার জোন পাওয়া গেলেও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেখানে অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ।
গতকাল শনিবার এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিন আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞরা এ সুপারিশ করা হয়। ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং জ্বালানি বিশেষজ্ঞ মর্তুজা আহমেদ ফারুক। তিনি বলেন, আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মধ্যে তিতাসের মতো বড় গ্যাসক্ষেত্র যেমন আছে তেমনই ফেঞ্চুগঞ্জ, পাথারিয়া, আটগ্রাম, সীতাকুন্ড, সুনেত্র, মোবারকপুর, শ্রীকাইল, পটিয়া, কাসালং’র মতো গ্যাসের অবকাঠামো আছে এমন জায়গায়ও অনুসন্ধান শুরু করা দরকার এখনই। তিনি বলেন, তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের যে স্তর থেকে এখন যে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে, তার নিচের স্তরগুলোতে গ্যাস থাকার সম্ভাবনা প্রবল। গভীর স্তরে খনন করে এই গ্যাস পাওয়া যেতে পারে। তিতাসের নিচে সাড়ে সাত হাজার মিটার পর্যন্ত গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। অভিজ্ঞ কোম্পানির সহযোগিতা ও প্রযুক্তির সহায়তা প্রয়োজন হবে। পার্বত্য এলাকায় অনুসন্ধানের কাজও শুরু করা দরকার।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ সালেক সুফি বলেন, সরকারি কোম্পানি বাপেক্সের একার পক্ষে এসব কাজ করা সম্ভব নয়। এর সঙ্গে অন্য বিদেশি অভিজ্ঞ কোম্পানি অথবা প্রবাসী বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগিয়ে কাজ করানো সম্ভব। দীর্ঘস্থায়ী জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে বাপেক্সকে ফুল অথোরিটি দেওয়া। সংকট কাটাতে হলে রিয়েল এক্সপার্টদের কাজে লাগাতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, দেশের বেশ কিছু গ্যাসবøকে ডিপ ড্রিলিং করে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পার্বত্য এলাকাসমূহে এ সম্ভাবনা আছে। তিতাস, বাখরাবাদ, শাহবাজপুর, রশিদপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় এই খনন এখন সময়ের দাবি।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বলেন, এখনও দেশে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে এটা অনেক আশার কথা। তবে কী পরিমাণ পাওয়া যাবে সেটার অনিশ্চয়তা আছে। এদিকে ক্রমান্বয়ে গ্যাসক্ষেত্রগুলোর উৎপাদন কমছে। হঠাৎ করে ৩০০-৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কমে যেতে পারে। আর হুট করে কমে গেলে সেটা মেটানো খুব কঠিন হবে। শুধু এলএনজি আমদানি করে এই ঘাটতি পূরণ করা যাবে না।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ডিপ জোনে কাজ করতে হলে যে তথ্য প্রয়োজন তা সবার আগে সংগ্রহ করে, তার ভিত্তিতে গভীর স্তরে কাজের সুযোগ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।