পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর চকবাজারে পুলিশ সোর্স পরিকল্পিতভাবে কাভার্ড ভ্যানের নিচে ফেলে জয় নামের এক কিশোরকে হত্যা করে। সোর্সকে বাঁচাতে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ছিনতাই মামলা নিয়েছে দুই পুলিশ কর্মকর্তা। প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন জয়ের পরিবার। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নিহতের পরিবারের সদস্যরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিহতের পিতা সামসুদ্দিন জুম্মন, নিহতের বড় খালা শীলা বেগম, ছোট খালা বেলী বেগম, ফুপু রুবি বেগমসহ অন্যান্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পিতা সামসুদ্দিন জুম্মন জানান, থানা পুলিশের সোর্স চোট্টা রিয়াজ ও তার সহযোগী রাব্বি এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা করে। তাদের এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে সহযোগিতা না করায় চোট্টা রিয়াজের সঙ্গে জয়ের শত্রুতার সৃষ্টি হয়। গত ৭ আগস্ট রাত ৮টা ৪০ মিনিটে উর্দ্দু রোডের জনতা ব্যাংকের সামনের রাস্তা দিয়ে জয় যাওয়ার সময় ওঁৎ পেতে থাকা চোট্টা রিয়াজ ও রাব্বিসহ আরো ৫/৬ জন সন্ত্রাসী তার পথরোধ করে অতর্কিতে তার গলা চেপে ধরে মারধর করে। তারা জোরপূর্বক চলন্ত কাভার্ড ভ্যানের নিচে জয়কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ সময়ও সন্ত্রাসীরা তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় এবং ঘটনাস্থলেই জয়ের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, জয়কে নির্যাতন করার দৃশ্য দূর থেকে দেখে মো. হাসিব হোসেন ওরফে আকিব তাকে রক্ষা করতে দৌড়ে এসে রাস্তা থেকে তাকে টেনে তোলার চেষ্টা করে। এ সময় হত্যাকারীরা তাকেও মারধর করে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন চকবাজার থানার এসআই রেজাউলসহ কয়েকজন।
এসআই আনোয়ার রক্তাক্ত অবস্থায় জয়ের নিথর দেহটি হাসাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকান্ডের ঘটনাকে আড়াল করতে চকবাজার থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে হত্যাকারী চোট্টা রিয়াজ নিজে বাদী হয়ে দন্ডবিধির ৩৯৫/৩৯৭ ধারায় একটি মিথ্যা ছিনতাই মামলা করে (মামলা নং- ২৪ (৮) ২০২১ ইং)। মামলায় নিহত জয় ও তাকে রক্ষা করতে আসা আকিবসহ আরো কয়েকজন কিশোরকে আসামি করা হয় বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।