Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে

বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকারকারীদের ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:০২ এএম

স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে রাজনীতি করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, এটি বন্ধ হওয়া দরকার। যিনি বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাকে অস্বীকার করা হয়। তার অবদানকে অস্বীকার করা হয়, বিকৃতি করা হয়, এটি যারা করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এটা কোনও দেশে হয় না। নেদারল্যান্ডসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা নাৎসি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন তাদের ভোটাধিকার নাই। যারা সমর্থন করেছিল তাদেরও ভোটাধিকার নাই। দুঃখজনক হলেও সত্য স্বাধীনতার যারা বিরোধিতা করেছে তারা জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়ার কল্যাণে রাজনীতি করে, এমপিও নির্বাচিত হয়েছে, মন্ত্রী হয়েছে। যারা স্বাধীনতা অস্বীকার করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় এই বিতর্ক নিয়ে এগিয়ে যাব, এটা কাম্য নয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড হয়েছে। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি নিয়ে এটা করা হয়েছিল। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ধীরে ধীরে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেন, কয়েকজন সেনা অফিসার বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জড়িত ছিল। তারা সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হয়েছিল। কেউ যদি সেনাবাহিনী থেকে আউস্টেড হয়, তারা সেনানিবাসে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু তারা সেনানিবাসে গিয়ে টেনিস খেলতো, ব্যাডমিন্টন খেলতো। তারা কিভাবে এখানে আসলো‑ জেনারেল শফিউল্লাহ যখন জিজ্ঞেস করল, তখন তারা বললো উপ- সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের অনুমতি নিয়ে আসছে। তারা টেনিস খেলতে গিয়ে ষড়যন্ত্রগুলো করতো। আজকে এইসব প্রকাশিত হচ্ছে।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের উদ্দেশ্যে সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড তদন্ত কমিশন গঠনের উপর জোর দিয়ে বলেন, আপনি শুধুমাত্র মন্ত্রী নন। আপনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকও। আওয়ামী লীগ না থাকলে পঁচাত্তরের বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হতো না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এই কমিশন না করে গেলে আগামীতে নতুন প্রজন্মের কাছে ভিন্ন তথ্য হাজির হতে পারে।
আলোচনায় আরও যুক্ত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক মাঈনুল আলম, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুখ প্রমুখ।



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ১৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:৩২ এএম says : 0
    বেডা তুই কি পড়ল না কি,আবল তাবোল কথা বলিস,????মন্ত্রী হইসিস কি হইছে,এককারি হেডম জাহাজের কচ্ছপ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ