Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পিবিআই এসপির বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা

নারী ইন্সপেক্টরকে নিয়ে সুদান-ঢাকার হোটেলে এসপির ৯ রাত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

জাতিসংঘ শান্তি মিশনে থাকাকালীন একজন নারী পুলিশ ইন্সপেক্টরকে ধর্ষণের অভিযোগে মোক্তার হোসেন নামে এক এসপির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই নারী পুলিশ ইন্সপেক্টর বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ মামলাটি দায়ের করা হয়। ডিএমপির অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের ডিসি মো. জাফর হোসেন বলেন, মামলার আর্জি হয়েছে। আদালত আদেশ পরে দেবেন।

এ ট্রাইবুনালের রাষ্ট্রপক্ষের পিপি আফরোজা ফারহানা অরেঞ্জ জানান, অভিযোগকারী নারী পুলিশ ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত আছেন। আর যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই এসপি মোক্তার হোসেন বর্তমানে বাগেরহাটে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত। তবে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে মোক্তার হোসেনকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

পিপিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, এখন মামলা হয়েছে, সে অনুযায়ী তদন্ত হবে। তদন্তেই সব জানা যাবে। যিনি মামলা করেছেন তিনি মামলা করার আগে পিবিআইতে কোনো অভিযোগ করেননি।
এদিকে বাদী তার আর্জিতে লিখেছেন, ২০১৯ সালের মে মাসে সুদানের দারফুরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যান এসপি মোক্তার হোসেন। তার আগে থেকেই বাদী ওই মিশনে ছিলেন। যেহেতু মিশনের বিভিন্ন বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা হয়ে গিয়েছিল, সেজন্য মোক্তার হোসেন ‘সহযোগিতা নেওয়ার নাম করে’ তার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং এক পর্যায়ে বিভিন্ন অজুহাতে তার বাসায় যাতায়াত শুরু করেন বলে বাদীর ভাষ্য।
আর্জিতে তিনি বলেছেন, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে তার বাসায় তাকে ‘ধর্ষণ করেন’ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন। সেই ঘটনার একটি বিবরণও মামলার আবেদনে তুলে ধরেছেন বাদী। তিনি বলেছেন, ওই ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য ‘হুমকি দিয়ে’ সেদিন চলে যান মোক্তার হোসেন। পরে ২২ ডিসেম্বর আবারও ওই বাসায় গিয়ে প্রথমে ‘ভুল হয়েছে; বলে ক্ষমা চান এবং তারপরই আবারও ‘ধর্ষণ’ করেন।

আর্জিতে বলা হয়েছে, বাদীকে ‘মুখে মুখে কলেমা পড়ে বিয়ের প্রলোভন’ দেখিয়েছিলেন আসামি। পরে ছুটিতে দেশে ফিরে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রæয়ারি রাতে ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে’ ঢাকার উত্তরার একটি হোটেলে নিয়ে তাকে আবারও ‘ধর্ষণ’ করেন। পরে ওই বছরের ২৬ জুন থেকে ৩০ জুন সুদানের খার্তুমের একটি হোটেলে এবং ১০ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর ঢাকার উত্তরার ওই হোটেলে ৩০৬ নম্বর কক্ষে আবারো তাকে ‘ধর্ষণ’ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন বাদী।

তিনি আর্জিতে লিখেছেন, দেশে ফেরার পর বিয়ে নিবন্ধনের তাগিদ দিলে আসামি ‘তালবাহানা’ শুরু করেন। চলতি বছরের ১২ এপ্রিলে বাদী রাজারবাগে আসামির বাসায় উপস্থিত হয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি ও কাবিন নামা সম্পন্ন করতে বলেলে আসামি তাতে ‘অস্বীকৃতি’ জানান। আসামির বাসায় তার স্ত্রী এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা উত্তজিত হয়ে সেদিন বাদিকে ‘মারধর করেন’ বলেও আর্জিতে অভিযোগ করা হয়েছে। মহামারীতে আদালত বন্ধ থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে আর্জিতে উল্লেখ করেছেন বাদী।



 

Show all comments
  • মোঃ দলিলুর রহমান ১৩ আগস্ট, ২০২১, ১:৪০ এএম says : 0
    ফালতু সিদ্ধান্ত আগে মজা লাগছে এখন মামলা,ঐ সময় বলেন নাই কোনো এই টি সরকারের চালাকি মনে হয় এস পি বি এন পির সমর্থক অথবা জাতীয় পার্টি অথবা আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য পাটি সাপট করেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahed Shahin ১৩ আগস্ট, ২০২১, ৬:২১ এএম says : 0
    আমি এটা বুঝিনা,বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক মিলনে কিভাবে ধর্ষণ হয়???
    Total Reply(0) Reply
  • Ferdous Zuel ১৩ আগস্ট, ২০২১, ৬:২১ এএম says : 0
    শান্তি মিশনে দুই জনের শান্তির দরকার ছিলো। দেশের মানুষকে আর কত আবাল বানাইবেন?
    Total Reply(0) Reply
  • Md Jahidul Islam ১৩ আগস্ট, ২০২১, ৬:২১ এএম says : 0
    সুদানে শান্তিরক্ষায় গিয়ে অশান্তির কাজ করে দিলো
    Total Reply(0) Reply
  • AR Rumon ১৩ আগস্ট, ২০২১, ৬:২২ এএম says : 0
    এটাই বাংলাদেশ ভাগে না মিললে মামলা করে দিবে,,,২০১৯ সালের কথা এখন আসতেছে,,,দুইজনকেই শাস্তি দিলে সামনে আর এমন হবে না,,, কারণ অন্যায় যে করে আর যে অন্যায় করার সুযোগ দে , দুইজনই সমান অপরাধী
    Total Reply(0) Reply
  • Saidur Rahman ১৩ আগস্ট, ২০২১, ৬:২৪ এএম says : 0
    প্রলোভনে আকৃষ্ট হয়ে শরীর বিকিয়ে দেওয়াকে কিভাবে ধর্ষন বলা যায়? এটা যদি ধর্ষন হয়; একবার ধর্ষনের পর কেন সে কোন অভিযোগ করেনি?
    Total Reply(0) Reply
  • md shobuj ahmed ১৩ আগস্ট, ২০২১, ১০:২২ এএম says : 0
    নারী পুলিশ ইন্সপেক্টর ও এসপি এরা দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক। আর তাদের মধ্যে যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে তা দুজনের মর্জীতেই হয়েছে। তাছাড়া ধর্ষন বলতে মুলত জোরপূর্বক কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করাকেই বুঝায়। যেহেতু তাদের মধ্যে যা হয়েছে দুজনের ইচ্ছাতে সম্মতিতে হয়েছে। তাহলে এটা ধর্ষন কিভাবে হলো। নাকি এই ধরনের অনৈতিক কোনো সুবিধা সেওয়ার ডায়তারা করছে নারী ইন্সপেক্টর। ধীক্কার জানাই এই ধরনের নারীদের যারা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের আগে কোনো কিছু না ভেবে না জেনে পরিবারের কোনো খোজ খবর না নিয়ে। নিজের শরীর বিলিয়ে দেয়। মজা শেষ তো করে দিলো বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করেছে। ছি ছি নারী ইন্সপেক্টর।
    Total Reply(1) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ মামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ