পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
স্বল্পসুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করলে দেশের কৃষিখাত আরও দ্রæত এগিয়ে যাবে। খাতসংশ্লিষ্টদের এমন দাবির ভিত্তিতে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সরকারের কাছে শিগগিরই এমন প্রস্তাব রাখবে। এফবিসিসিআই এমন প্রস্তাব করলে কৃষি মন্ত্রণালয়ও সুপারিশ করবে। গতকাল ‘জাতীয় শোক দিবস-২০২১’ উপলক্ষে এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর কৃষি ভাবনা : আগামীর চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে এসব কথা জানান বক্তারা। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। তারা এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবের ভিত্তিতে সহায়তার আশ্বাস দেন। কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ উৎপাদিত কৃষিপণ্য সঠিক ব্যবস্থাপনা। আর সে জন্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে আরও এগিয়ে নেয়ার বিকল্প নেই। পুরো ব্যবস্থাকে বাণিজ্যিকরণ করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, সেজন্য এ খাতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করতে হবে। উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে হবে। দেশে কৃষি শিল্প গড়তে এক-দুই শতাংশ সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা দরকার। পাশাপাশি শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় আরও কিছু বিশেষ কর্মসূচি নিতে হবে। কৃষি মন্ত্রী বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পকে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়ে আগামীতে কাজ করতে হবে। দেশে-বিদেশে কৃষিপণ্যের ও প্রক্রিয়াজাত পণ্যের মার্কেট বড় না হলে কোনোভাবে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কৃষি শিল্পখাত সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এফবিসিসিআইয়ের ম্যাধ্যমে আপনাদের কী ধরনের সহায়তা প্রয়োজন, সেগুলো জানাবেন। আমরা সেগুলো সুপারিশ করব।
এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, কৃষিখাতে বিশেষ করে প্রান্তিক মানুষের প্রয়োজনে আমাদের যেসব সুবিধা প্রয়োজন, সেটার প্রস্তাব আমরা দেব। সল্পসুদে ঋণ এবং দরিদ্র ও অতিদরিদ্রদের ঋণ এবং প্রণোদনার সহায়তা বাড়ানোর জন্য ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আমরা বসব।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্রদের ঋণ প্রদানে ব্যাংকগুলোর আগ্রহ কম। তারা তাদের নির্ধারিত ঋণের বড় অংশই বড় খাতগুলোকে দিচ্ছে। কৃষিতে কম দিচ্ছে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। তিনি বলেন, আমাদের কৃষিকে রূপান্তর করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে কিছু আইন-কানুন বদলাতে হতে পারে। রফতানিমুখী অর্থনীতি তৈরির জন্য কৃষিখাতকে এগিয়ে নেয়ার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, শিল্পনীতি, কৃষিনীতিতে নানা সুযোগ-সুবিধা কীভাবে বাড়ানো যায়, সেই প্রস্তাব দিন। আমরা সব সহায়তা দেব। বর্তমান সরকার বিশ্বাস করে যে, কৃষির উন্নয়ন ছাড়া স্থিতিশীল উন্নয়ন সম্ভব নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।