পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৫ সালে বিভিন্ন ঘটনায়, দেশে নিহত হয়েছে ১ হাজার ৮৬০ জন শিশু। আহত হয়েছে ১ হাজার ৬৪৯ জন। এর পেছনে রয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা, ধর্ষণ, অপহরণ, আত্মহত্যা, বাল্যবিবাহ, রাজনৈতিক সহিসংতার মতো কারণ।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের বার্ষিক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমন তথ্য। প্রতিবছরের মতো এবারো পূর্ববর্তী বছরের সংবাদপত্রে উঠে আসা ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতির প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, আইনের সাংঘর্ষিক অবস্থার কারণে দেশে শিশু অধিকার নিশ্চিত হচ্ছে না। পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ছে দেশের প্রায় ৭৭ ভাগ শিশু। এদের মধ্যে বড় একটি অংশ জেনে না জেনে নিজেই হয়ে যাচ্ছে পর্ণো ভিডিওর চরিত্র। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেশে তৈরি এই পর্ণোগ্রাফিগুলোতে যাদের ভিডিও দেখানো হচ্ছে, তাদের বয়স ১৮-এর কম। এসব কারণে শিশুদের আত্মহত্যার সংখ্যাও বাড়ছে। সংস্থাটির শিশু সুরক্ষা কার্যক্রমের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ঢাকার ৫০০ স্কুলগামী শিক্ষার্থীর ওপর এই জরিপ পরিচালিত হয়। এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া সিম নিবন্ধন করা নিষিদ্ধ। তার অর্থ ১৮ বছরের নিচে মুঠোফোন ব্যবহার করতে হলে শিশুকে অভিভাবকের নামে নিবন্ধন করা সিম ব্যবহার করতে হবে। অভিভাবকেরা শিশুদের দামি মুঠোফোন, ট্যাব ও সেগুলোয় ইন্টারনেট সংযোগ দিচ্ছেন, কিন্তু তারা কী কাজে এগুলো ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে খোঁজ-খবর করছেন না। এদিকে নজর দেয়া জরুরি।
পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, গত দুই বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা এখন পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৪ সালে সংবাদপত্রগুলোর খবর অনুযায়ী ৩৭৮টি দুর্ঘটনায় ৫১৭টি শিশু মারা গেছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৩২৫। সড়ক দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে মূলত ঢাকা ও এর আশপাশের জেলাগুলো। অন্যদিকে, গত বছর পানিতে ডুবে মারা যায় ২৯৬ শিশু।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম বলেন, ২০১৫ সাল শিশুদের জন্য ভয়াবহ একটি বছর। তাই দেশের শিশুদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার মাত্রা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের শিশুরা যাতে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে সেই পরিবেশ আমাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।