পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অবৈধভাবে টিভি চ্যানেলের কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর শাহাজাদপুর পলাশ টাওয়ারে অবস্থিত নেহা টেলিভিশন ও এইচ বাংলা টিভি অফিসে অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চ্যানেল দুটির এমডি ইব্রাহীম হোসেন হাওলাদার, মার্কেটিং অফিসার রাশেদ হোসেন স্বপন, এডিটর শামীম আহম্মেদ ও বিশেষ প্রতিনিধি বোরহান উদ্দিন।
র্যাব জানায়, নতুন সিনেমা মুক্তির পর ওই অফিসে বিভিন্ন ছবির পাইরেসির কাজ করতো এই প্রতারক চক্র। এছাড়া অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ ছবি ও বিজ্ঞাপন তৈরির কাজও করা হত এখান থেকে। ভুয়া এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইব্রাহিমকে এর আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। গতকাল ঘটনাস্থলেই এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। তবে কৌশলগত কারণে প্রকৃত মালিকের নাম প্রকাশ করেনি র্যাব।
মুফতি মাহমুদ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টেলিভিশন দুটির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের বাংলা ছায়াছবি, নাটক, বিজ্ঞাপন ও অশ্লীল ছবি জব্দ করা হয়। দেশের প্রায় ৩৪টি জেলায় এদের সম্প্রচার চলছে। এদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ক্যাবল অপারেটর জড়িত বলে আমরা জানতে পেরেছি।
মুফতি মাহমুদ বলেন, এ চক্রটি বাংলাদেশে বসেই বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান তৈরি করে একটি বিশেষ সফটওয়ারের মাধ্যমে সিংগাপুরে সম্প্রচার কেন্দ্রে পাঠাতো। সেখান থেকে তারা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার করে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্যাবল অপারেটরদের মাধ্যমে প্রচার করতো। এ চক্রটি পূর্ব থেকে সিডি পাইরেসি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলো। ফলে মিডিয়া অঙ্গনে বিভিন্ন কারিগরী দক্ষ ব্যক্তিদের সাথে তাদের সখ্যতাও ছিল। তাদের এসব কাজে বাংলাদেশের কিছু বেসরকারি টিভি চ্যানেলের কয়েকজন ব্যক্তি সহায়তা করে থাকে বলে জানান তিনি। তিনি জানান, এ টিভি চ্যানেলের মালিকগণ চ্যানেল প্রতি মাসিক ৪ হাজার ডলার করে সিংগাপুরে পাঠাতো। সিংগাপুর থেকে একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্র বিভিন্ন দেশে তাদের স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই চক্র সহজ সরল মানুষদের চাকরি দেওয়ার মাধ্যমেও প্রতারণা করে আসছিল। এছাড়াও ক্যাবল অপারেটরদের সঙ্গে তাদের আর্থিক লেনদেনও রয়েছে। এই টেলিভিশন বাজারে শেয়ার ছেড়েছে। এ চক্রটি টিভি চ্যানেলের এমডি, সিইও, সিএনইসহ বিভিন্ন জনের ভিজিটিং কার্ড ব্যবহার করে মানুষদের বিভ্রান্ত করত এবং অনেককে জনপ্রিয় মডেল বা নায়ক-নায়িকা করে দেয়ার কথা বলে সর্বনাশ ও সর্বস্বান্ত করত। বিভিন্ন সিনেমা পরিচালকদের পাইরেটেড সিডির ভয় দেখিয়ে ব্লাকমেইল করত। এ চক্রটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, ৫টি মনিটর, ৬টি সিপিইউ, ৪টি ইউপিএস, ৬টি কীবোর্ড, ১৪টি রিসিভার, ১৪টি রিসিভার রিমোট, ২টি টিভি কার্ড, ১৮টি পেনড্রাইভ, ১টি প্রিন্টার, ১টি স্ক্যানার, ৪টি স্পিকার, ১টি রাউটার, ৯টি মোবাইল সেট এবং বিপুল পরিমাণ স্যাটেলাইট সম্প্রচারের ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।