পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাটোর জেলা সংবাদদাতা : নাটোরের উত্তরা গণভবনের প্রবেশপথের সড়কের পূর্ব পাশে সতের শতকে নির্মিত ঐতিহাসিক স্থাপনাটি মাটিবোঝাই ট্রাক্টর চালিত একটি ট্রলির ধাক্কায় ভেঙে চৌচির হয়ে পড়ে আছে। এটি একটি প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন হলেও স্থাপনাটির দায়দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ। এককালের দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী বর্তমানের উত্তরা গণভবনটি ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজধানী ঢাকার বাইরে প্রেসিডেন্টের একমাত্র বাসভবন হিসেবে ঘোষণা দেন। এই গণভবনের প্রবেশপথের ভেঙে যাওয়া স্থাপনাটির বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা বর্তমানে উত্তরা গণভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক আব্দুস সবুর বলেন, স্থাপনাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায়। অন্যদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী জিকরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঠিকই কিন্তু স্থাপনাটি গণপূর্ত বিভাগের। এভাবে রশি টানাটানির মধ্য দিয়ে স্থাপনাটি ভেঙে চৌচির হয়ে পড়ে আছে। দেখার কেউ নেই। সতের শতকে রাজা দয়ারাম রায় সাড়ে ৪২ একর জমির ওপর দিঘাপতিয়ায় সুরম্য দৃষ্টিনন্দন এই রাজবাড়ীটি নির্মাণ করেন। অশ্বারোহী বর্গি সৈন্যের আক্রমণ থেকে রাজবাড়ী সুরক্ষার জন্য তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। বিশাল এই রাজবাড়ীর চার দিকে পরিখা, এরপর সুউচ্চ প্রাচীর, প্রাচীরের বাইরে রাজবাড়ীর চার দিকে আবার পরিখা খনন করা হয়। এছাড়া বাইরের পরিখার দক্ষিণে রাজবাড়ীতে প্রবেশে একমাত্র সড়কের ওপর দু’ধারে নজরকাড়া দু’টি বিশালাকৃতির স্থাপনা হিসেবে তোরণ নির্মাণ করা হয়, যা অনেক দূর থেকে সহজেই দৃষ্টিগোচর হতো। এলাকাবাসী অবিলম্বে স্থাপনাটি আগের আদলে নির্মাণের দাবি জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।