পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
শ্রমিকের কল্যাণে অবদান রাখার অংশ হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ‘শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ তহবিলে লভ্যাংশ হিসেবে ৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা দিয়েছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) ও ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড (ইউসিএল)।
রাজধানীর সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের কাছে চেক দুটি হস্তান্তর করেন ইউনিলিভার বাংলাদেশের লিগ্যাল ডিরেক্টর অ্যান্ড কোম্পানি সেক্রেটারি এস এম রাশেদুল কাইয়ুম, কোম্পানির কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস প্রধান শামীমা আক্তার ও ইউনিলিভার কনজ্যুমার লিমিটেডের রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হেড অ্যান্ড কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ নাহারুল মোল্লা। এই লভ্যাংশ শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বড় ধরনের দুর্যোগে শ্রমিক ও তাদের পরিবারের পাশে থাকার সরকারি প্রচেষ্টাকে আরো শক্তিশালী করবে।
বাংলাদেশে প্রায় ৫৬ বছর ধরে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম নিত্যব্যবহার্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ। বর্তমানে দেশের প্রতি ১০টি পরিবারের ৯টিই তাদের দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা মেটাতে ইউনিলিভারের এক বা একাধিক পণ্য ব্যবহার করছে। লাক্স, লাইফবয়, সার্ফ, ক্লোজআপ, সানসিল্ক, পন্ডস, ভ্যাসলিন, ডাভ, তাজা এবং পিওরইটসহ ইউনিলিভারের ২৮টিরও বেশি ব্র্যান্ড বাংলাদেশের কোটি মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে। ইউবিএল, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মোড়কজাত পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভারের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে বিশ্বের ১৯০টিরও বেশি দেশে ইউনিলিভার তার মোড়কজাত পণ্য সরবরাহ করছে। অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নিত্যব্যবহার্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে, পরিবেশবান্ধব ব্যবসা গড়ে তোলার পাশাপাশি ইতিবাচক সামাজিক প্রভাব তৈরির মাধ্যমে টেকসই জীবনমান নিশ্চিত করা এবং সর্বোত্তম পন্থায় দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসার সম্প্রসারণ ঘটানোই ইউনিলিভারের লক্ষ্য।
এছাড়া, ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড (ইউসিএল) বাংলাদেশে ইউনিলিভারের নতুন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সেটফার্স্ট (জিএসকে গ্রুপ) এর কাছ থেকে ২০২০ সালের জুনে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ লিমিটেডের ৮১ দশমিক ৯৮ শতাংশ মালিকানা কিনে নেওয়ার পর কোম্পানিটির নতুন নামকরণ করা হয় ‘ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড’ (ইউসিএল) । এই অধিগ্রহণের আওতায় জিএসকে এর আইকনিক পুষ্টিমানসম্পন্ন পানীয়, এইচএফডি পোর্টফোলিও ব্র্যান্ড- হরলিক্স, বুস্ট ও গ্লাক্সোস-ডি এর মালিকানা অর্জন করেছে ইউনিলিভার।
করোনা মহামারির শুরু থেকেই বাংলাদেশ সরকার ও ইউনিলিভারের শীর্ষ বৈশ্বিক স্বাস্থ্য-সুরক্ষা নীতির আলোকে কারখানা কর্মীদের নিরাপত্তায় যতœবান রয়েছে ইউনিলিভার। অধিকন্তু কোম্পানির উৎপাদন কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতার পাশাপাশি ইউনিলিভার বাংলাদেশের ক্যান্টিন ও চেঞ্জরুমের মতো উন্মুক্তস্থানেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ শুরু পরেই কারখানায় কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য নিজস্ব পরিবহন সুবিধা চালু করে ইউনিলিভার। এক্ষেত্রেও কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সহ পরিবহনে ব্যবহৃত যানগুলো দিনে বেশ কয়েকবার স্যানিটাইজ করে জীবাণুমক্ত করা হয়। এছাড়াও কর্মীদের রোগপ্রতিরোধ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চিকিৎসা সহায়তা কর্মসূচি পরিচালনা, তাদের বাসায় নিয়মিত সুরক্ষা কিট ও স্যানিটাইজেশন পণ্য সরবরাহ এবং সাপ্তাহিক কোভিড-১৯ পরীক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস থেকে কর্মীদের সুরক্ষা দিতে ইউনিলিভার বিগত ১৮ মাসে বাংলাদেশে ১৮ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এছাড়াও দায়িত্বশীল সংস্থা হিসেবে, কর্মীদের এই সংক্রান্ত সকল চিকিৎসা ব্যয়ও বহন করেছে ইউনিলিভার।
চেক হস্তান্তরকালে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব সাকিউন নাহার বেগম এনডিসি, বেগম জেবুন্নেসা করিম (অতিরিক্ত সচিব) এবং ডিরেক্টর জেনারেল বিএলডব্লিউএফসহ (বাংলাদেশ লেবার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন) আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।