পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা সোমবার (৯ আগস্ট) ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ড এস এম মাহফুজুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন। ব্যাংকের ভার্চুয়াল সাধারণ সভায় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হারুন অর রশিদ মোল্লা সংযুক্ত থাকেন। শোকাবহ আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত সভার শুরুতেই ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন চিন্তা ও অর্থনৈতিক দর্শন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা ব্যক্ত করে চেয়ারম্যান ড এস এম মাহফুজুর রহমান বক্তব্য রাখেন। বিশেষ করে চলমান কোভিড ১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ আর্থিক খাত পুনরুজ্জীবিত করার মানসে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে জনতা ব্যাংকের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। ব্যাংকের উন্নয়নে তিনি সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবা নিশ্চিতকরণ, তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার, কার্যকর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও সকল পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদ্যাপনের সময়ে ব্যাংকের ১৪তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ বক্তব্য রাখেন। তিনি ২০২০ সালের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও আর্থিক সূচক সমূহের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০২০ সালে ব্যাংকিং সেক্টরে আমানতের গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ১২ শতাংশ। জনতা ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ, ঋণ ও অগ্রীম খাতে গড় প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ। সেখানে জনতা ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং এর মান একধাপ উন্নীত (অ+) হয়েছে। পরিচালন মুনাফা ২৭২ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে, শ্রেণীকৃত ঋণ ৮৬৭ কোটি টাকা হ্রাস পেয়েছে। আমদানী রফতানী বাণিজ্য ও রেমিট্যান্স আহরণে জনতা ব্যাংক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছে। এসব প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিচালনা পরিষদের সঠিক নির্দেশনা ও সকলের শ্রমে এই উন্নতি অর্জিত হয়েছে। একই সঙ্গে চলমান করোনা অতিমারিতে ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সত্ত্বেও ‘ফ্রন্ট ফাইটার’ হিসেবে ব্যাংকিং সেবা সচল রেখে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কোভিড ‘প্রণোদনা প্যাকেজ’ বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভায় ব্যাংকের পরিচালক অজিত কুমার পাল এফসিএ, মেশকাত আহমেদ চৌধুরী, কে এম শামছুল আলম, মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ হেলালউদ্দিন, এমডি এন্ড সিইও বীরমুক্তযোদ্ধা মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ, বোর্ডের পর্যবেক্ষক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির, ব্যাংকের ডিএমডি মো. জসিম উদ্দিন ও মো. আব্দুল জব্বার, সিএফও এ কে এম শরীয়ত উল্যাহ এফসিএ এসিসিএ, কোম্পানি সচিব মো. হাবিবুর রহমান গাজীসহ মহাব্যবস্থাপকরা সভার কার্যক্রমের সাথে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।