Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেক্সিমকো-সামিট ৪৫ মিলিয়ন টাকার বার্ষিক অনুদান প্রদান করলো জাগো ফাউন্ডেশনকে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০২১, ৬:৩০ পিএম

বেক্সিমকো হোল্ডিংস ও সামিট কর্পোরেশন। দেশের দুটি শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জাগো ফাউন্ডেশনকে যৌথভাবে বার্ষিক ৪৫ মিলিয়ন টাকার অনুদান প্রদান করেছে। যাতে করে জাগো সারা দেশে ৪ হাজার শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারে। জাগো, তাদের ইউনেস্কোর পুরষ্কার প্রাপ্ত শিক্ষার মডেল ব্যবহার করে মহামারীকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা অবস্থায় টেলিফোন, শর্ট মেসেজিং সার্ভিস এবং ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষা নিশ্চিত করবে। আগামীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি খুলে গেলে, অনুদানটি ডিজিটাল স্কুল পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হবে। এই প্রথম বাংলাদেশের দুটি কর্পোরেট মিলিত হয়ে এতো বিশাল অংকের অনুদান কোন দেশীয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করল।

প্রতিটি শিশুর আছে শিক্ষার অধিকার - আছে অধিকার স্কুলে যাওয়ার এবং শেখার। তবে অনেকের জন্য, কোভিড-১৯ মহামারীতে সেই অধিকারটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, বলে উল্লেখ করেন বেক্সিমকো গ্রুপের বোর্ডের উপদেষ্টা শায়ান এফ রহমান। তিনি বলেন, সৌভাগ্যবশত, দেশব্যাপী শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা ব্যবহার করে অনেকের জন্য দূরশিক্ষণের সুযোগ তৈরী করতে পেরেছি। বেক্সিমকো এবং সামিটকে সাথে নিয়ে, জাগোর মাধ্যমে চার হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দূরশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিতে পেরে গর্বিত।

সামিট গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, সারা বাংলাদেশে জাগো-এর দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ওয়েব-ভিত্তিক শিক্ষার মডেল হয়ত ভবিষ্যতের পড়াশুনারই মডেল। করভি যা ভেবেছে তা আমাদের আগামীতে অনুসরণ আর অনুকরণ করা উচিত। সামিট দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জাগো-এর এই ইন্টারনেট-ভিত্তিক স্কুলগুলিকে সাহায্য করবার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। জাগো শিক্ষায় আইসিটি ব্যবহারের জন্য ইউনেস্কো বাদশাহ হামাদ বিন ঈসা আল-খলিফা পুরস্কার পেয়েছে, তেমনি তারা নোবেল পুরস্কারের দাবিদার।

সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে শিক্ষাখাত। এই বৈশ্বিক মহামারীতে স্কুল -কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন একটি মুহ‚র্তে, বেক্সিমকো এবং সামিট শিক্ষাখাতকে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের কর্পোরেট সেক্টর দেশের মানুষের জন্য এগিয়ে আসার এটি একটি উদাহরণ। আমি আশা করি যে এই উদ্যোগ অন্যান্য কর্পোরেটদের এগিয়ে আসতে অনুপ্রেরণা জাগাবে এবং সমাজে একটি পরিবর্তন আনবে বলে উল্লেখ করেন জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দ।

এই ঘোষণা উপলক্ষে, জাগো ফাউন্ডেশন একটি ভার্চুয়াল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যেখানে বেক্সিমকো থেকে ছিলেন গ্রুপ ডিরেক্টর আজমল কবির ও নির্বাহী পরিচালক বেক্সিমকো গ্রুপ সামিরা জুবেরী হিমিকা এবং সামিট গ্রæপ অফ কোম্পানির পরিচালক ফাদিয়া খান, আজিজা আজিজ খান ও সালমান খান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন জাগোর প্রথম ব্যাচের দুই ছাত্র ফাতেমা ও লেনিন। ভার্চুয়াল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি নবনিতা চৌধুরী সঞ্চালনা করেন। এই ৩-বছর মেয়াদী মিলিত-অনুদান ব্যবহার করে জাগো আশা করে প্রান্তিক শিশুদের জীবনে একটি টেকসই পরিবর্তন নিয়ে আসবে এবং এটি বাংলাদেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেক্সিমকো-সামিট -জাগো ফাউন্ডেশন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ