পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধান বিচারপতিকে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের দেওয়া বক্তব্যে এখনো বিচারাঙ্গন উত্তপ্ত। বিচারপতির এ রকম বক্তব্যে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হচ্ছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন আইন বিশ্লেষকরা। ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার সুনাম ও ঐতিহ্য ছিল আকাশচুম্বী। কিন্তু কিছু মানুষের কারণে তা দিনে দিনে ধ্বংসের পথে। এতে করে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে। বিচারব্যবস্থায় মানুষ এ ধরনের পরিস্থিতি দেখতে চাই না। প্রবীণ এ আইনজীবী আরো বলেন, অবসরে যাওয়ার পর রায় লেখা অবৈধ মর্মে প্রধান বিচারপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সঙ্গে আমি ঐকমত্য পোষণ করছি। রায় দ্রুত প্রদানে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। এ ছাড়া বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী একজন বিচারপতি হিসেবে মিডিয়ায় যেভাবে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তা কোনোভাবে কাম্য নয়। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। এতে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের খারাপ ধারণা তৈরি হবে। সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, সুপ্রিম কোর্ট মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। সারা দেশের মানুষ নি¤œ আদালতের বিচারের বিরুদ্ধে সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্টে আসেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের মধ্যে যদি এ ধরনের খারাপ সম্পর্ক হয়, তাহলে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। আমি মনে করি বিচারকদের মধ্যে এ ধরনের সম্পর্ক দুঃখজনক। এ ধরনের সম্পর্ক থেকে বিচারকরা বের হয়ে আসবেন বলে আমি মনে করি। গণতান্ত্রিক আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক শেখ আখতার উল ইসলাম বলেন, বিচার বিভাগ মানুষের সর্বশেষ আশ্রয় ও আশার স্থল। সাম্প্রতিকালে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিচার বিভাগের ভাবমর্যাদা বিনষ্ট করার একটি পাঁয়তারা হিসেবে সাম্প্রতিককালে নজিরবিহীনভাবে বিচারপতিদের বক্তব্য মিডিয়াতে প্রকাশ এবং তা নিয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠান প্রচার করার এ প্রবণতাকে একজন আইনজীবী হিসেবে আমি অত্যন্ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছি। এ বিষয়ে সব মহলের সাবধানতা ও সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। অবসরে যাওয়ার এক বছর পর্যন্ত একজন বিচারপতি সরকারি সব সুবিধা ভোগ করে থাকেন। এ সময়ে তিনি তার হাতে থাকা রায় ও আদেশগুলো লেখার সুযোগ পান। কিন্তু এ সময়ে মিডিয়াতে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি ঠিক নয়। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর আচরণ বিচারকসুলভ নয়। তিনি বিচারাঙ্গনকে বিতর্কিত করে চলেছেন। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে একজন বিচারপতি আদালত অঙ্গনে সংবাদ সম্মেলনের কোনো নজির নেই। তিনি একদিকে রাজনৈতিক মিছিল-সমাবেশ করছেন, টকশো করছেন, আবার রায় লিখলেন যা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। আশা করি, প্রধান বিচারপতি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এর আগে সোমবার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আদালত অঙ্গনে একজন বিচারপতির সংবাদ সম্মেলন নজিরবিহীন। বিশ্বে এ ধরনের কোনো নজির নেই। তাঁর এ ধরনের আচরণে বিচারাঙ্গনের ভাবমর্যাদা নষ্ট হচ্ছে। আশা করি, তিনি এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবেন। সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর কারণে সুপ্রিম কোর্টের এম ইউ আহমেদ নামে একজন আইনজীবী নিহত হয়েছেন। তিনি বিচারক সেজে রাজনৈতিক রায় দিয়ে গেছেন হাইকোর্টে। আমরা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে তাঁকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া থেকে বিরত থেকেছি। সূত্র : এনটিভি নিউজ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।