পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে দেশটির বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যম। ইসলাম ও অভিবাসী বিদ্বেষী ট্রাম্পের ব্যাপারে তারা সতর্ক করছে ভোটারদের। ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নন; তাই তাকে ভোট দেবেন না’Ñ গতকাল জনগণের প্রতি এমন আহ্বান জানিয়েছে ইউএসএ টুডে’র এডিটোরিয়াল বোর্ড। বিগত ৩৪ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দৌড় নিয়ে এমন মতামত প্রকাশ করলো সংবাদ মাধ্যমটি। বাংলাদেশ সময় গত মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এবারের নির্বাচনের প্রধান দুই প্রার্থী ডেমোক্রেট দলের হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বিতর্ক হয়। এ বিতর্কে বারবার মেজাজ, জ্ঞান, একাগ্রতা ও সততার অভাব দেখিয়েছেন তিনি। তাই দেশের স্বার্থে ইউএসএ টুডে’র এডিটরিয়াল বোর্ডের সবাই সর্বসম্মতিক্রমে ট্রাম্পকে ভোট না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে আগেই সমর্থন দিয়েছে সেখানকার প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। পত্রিকাটির সম্পাদকীয় পরিষদ হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন দিয়েছে বলে জানানো হয়। বলা হয়, আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপনের জন্য হিলারি ক্লিনটনই হচ্ছেন যথার্থ পছন্দ। পত্রিকাটির সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, বড় একটি দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদে হিলারি ক্লিনটনই হবেন প্রথম নারী। এর আগে ফেডারেল অফিসের জন্য তিন বার তাকে অনুমোদন দিয়েছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। ওদিকে, রিপাবলিকানপন্থি পত্রিকা আরিজোনা রিপাবলিক। পত্রিকাটি ১২৫ বছরেরও বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠিত। এই দীর্ঘ সময়ে তারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সমর্থন দিয়ে এসেছে রিপাবলিকান দলের প্রার্থীকে। কিন্তু এবার প্রথমবার সেই রীতি ভঙ্গ করেছে তারা। সম্পাদকীয় বোর্ড লিখেছে, তাই তারা প্রথমবারের মতো ডেমোক্রেট দলের প্রার্থীকে (হিলারি ক্লিনটন) সমর্থন দিচ্ছে। শুধু তা-ই নয়। হিলারিকে সমর্থন দিয়েছেন মার্কিন সিনেটের ৫ দফা ক্ষমতায় থাকা রিপাবলিকান সাবেক সিনেটর জন ওয়ার্নার। এখন যে প্রবণতা দাঁড়িয়েছে তাতে মার্কিন পত্র-পত্রিকার বেশির ভাগই সমর্থন দিচ্ছে হিলারিকে। তাই হয়তো ২৬শে সেপ্টেম্বর প্রথম দফা প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প মিডিয়ার সমালোচনা করেছেন। তিনি মিডিয়াকে দুর্নীতিপরায়ণ বলে আখ্যায়িত করেছেন। লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, আরিজোনা রিপাবলিকই শুধু দীর্ঘদিনের প্রথা ভেঙেছে তা নয়। একই কাজ করেছে দ্য সিনসিনাতি এনকুইরার, ডালাস মর্নিং নিউজসহ আরও বিভিন্ন মিডিয়া। এসব পত্র-পত্রিকা সব সময় রিপাবলিকানদের সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু ডালাস মর্নিং নিউজ তার ভোটারদের প্রতি আরিজোনা রিপাবলিকের মতোই আহ্বান জানিয়েছে। তারা আহ্বান জানিয়েছে, ডেমোক্রেট প্রার্থীকে ভোট দিন। দ্য সিনসিনাতি ইনকুইরারও তার ১০০ বছরের মধ্যে এ প্রথা ভেঙেছে। একই কাজ করেছে দ্য নিউ হ্যাম্পশায়ার ইউনিয়ন লিডার। এ ছাড়া দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস তো আছেই।
নির্বাচিত হলে ওভাল অফিস বেচে দেবেন হিলারি : ট্রাম্প
এদিকে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাঁর প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিনটন শুধু অর্থ কামানোর জন্য রাজনীতি করে এসেছেন। অর্থের জন্য বাইরের দেশ ও প্রভাবশালী দাতাদের কাছে তিনি নিজের রাজনৈতিক প্রভাব বেচেছেন। এখন যদি তিনি নির্বাচিত হন, তাহলে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ওভাল অফিস বেচার জন্য তুলবেন। আইওয়া অঙ্গরাজ্যের কাউন্সিল ব্লাফস শহরে গত বুধবার এক নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানে ট্রাম্প এ কথা বলেন। ট্রাম্প বলেন, তিনি (হিলারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর কার্যালয়কে বেচার জন্য তুলে এর অবমাননা করেছেন। তিনি যদি কোনোভাবে সুযোগ পান তাহলে ওভাল অফিসও বেচার জন্য তুলবেন। এটা নিয়ে কারও মনে কোনো সন্দেহ নেই। উইসকনসিনের ওয়াউকেশা শহরে অপর এক নির্বাচনী জনসভায়ও ট্রাম্প হিলারির কড়া সমালোচনা করেন। টিভি বিতর্কে হিলারিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পুলিশ সদস্যদের ভেতরে-ভেতরে কৃষ্ণাঙ্গবিরোধী পক্ষপাতমূলক মনোভাব আছে বলে তিনি মনে করেন কি না। এর জবাবে হিলারি বলেছিলেন, পক্ষপাত শুধু পুলিশ নয়, এটা সবার জন্যই গুরুতর সমস্যা। এই প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেন, এই মন্তব্য করে হিলারি পক্ষান্তরে পুলিশ ও সব মার্কিন নাগরিককেই পক্ষপাতদুষ্ট বলেছেন। তিনি পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী অন্যান্য সংস্থার কর্মীদের সবাইকে বর্ণবাদী বলেছেন। ইন্ডিপেন্ডেন্ট, বিবিসি ও রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।