Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীতে তীব্র যানজট, দূর্ভোগে সাধারণ মানুষ

প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন শেষে ১৭দিন পর দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। নিউইয়র্ক থেকে তাকে বহন করা এমিরেটস এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
জাতিসংঘ থেকে ‘প্লানেট ৫০ : ৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ এ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে আওয়ামী লীগের দেয়া গণসংবর্ধনায় যোগ দিতে গতকাল দুপুর হতেই বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার পাশে হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হন। রাজধানীর ব্যস্ততম এই সড়কের অনেকাংশ দখল করে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অবস্থান থাকায় পুরো ঢাকার বিভিন্নস্থানে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে প্রচ- গরমের মাঝে ঘরে ফেরা ও রাজধানীতে আসা এবং রাজধানী ছেড়ে বাইরে যাওয়া সাধারণ মানুষ চরম দূর্ভোগের শিকার হন।
বিমানবন্দর সড়কে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি, সড়কের মধ্যে অবস্থান নেয়া, সড়কে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মিছিলের কারণে বিমানবন্দর থেকে গণভবনে আসার এই দীর্ঘ সড়কে যান চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। গাড়িগুলো কচ্ছপগতিতে চলতে হয়েছে। যানজট রাজধানী ছেড়ে টঙ্গী পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে। অন্যদিকে বিপরীত পাশের সড়কের বিজয় সরণি থেকে মৎস্যভবন পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়। বিমানবন্দর এলাকা ধীরগতিতে পার হওয়ার কারণে যানজট নিকুঞ্জ পর্যন্ত দেখা যায়। তা ছাড়া মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের এক পাশে যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
যানজটের কারণে বিমানবন্দর এলাকা থেকে গাড়ি উত্তরার দিকে যেতে বাধা পাওয়ায় উত্তরমুখী মানুষ তীব্র যান সংকটের মুখোমুখি হন। অন্যদিকে বিজয় সরণি থেকে শাহবাগগামী মানুষকেও একই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অনেককেই পরিবহন না থাকায় পায়ে হেঁটে, আবার যানজটে বসে না থেকে গাড়ি থেকে নেমেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হতে দেখা গেছে।
নেতাকর্মীদের জন্য নির্দেশিত রুট মানেননি অনেকেই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণ-অভ্যর্থনা জানানোর জন্য দলীয় নেতা ও ঢাকার সংসদ সদস্যদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের জন্য রুট বা স্পট নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গতকাল দেখা গেছে অনেকেই তাদের নির্ধারিত রুট মানেননি। যে কারণে নির্ধারিত ১০টি স্পটের মধ্যে তিনটি স্পট অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে। এগুলো হচ্ছে হোটেল রেডিসনের সামনে, বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকা ও মহাখালী। অবশ্য বাকি স্পটগুলোতে নেতাকর্মীদের বিপুল ঢল দেখা গেছে। এসব স্পটগুলো হচ্ছে, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, কুড়িল বিশ্বরোড, জাহাঙ্গীর গেট, বিজয় স্মরণীর মোড়, সংসদ ভবন মোড় ও আসাদগেট সংলগ্ন গণভবন মোড়।
প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সড়ত পথে কুড়িল-খিলক্ষেত বিশ্বরোড দিয়ে ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে জাহাঙ্গীর গেট হয়ে বিজয় স্মরণীর মোড় দিয়ে গণভবনে প্রবেশ করেন। এ কারণে রেডিসন, বনানী ও মহাখালী স্পটগুলোতে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে।
এদিকে বাকি স্পটগুলোতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা ও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার নিয়ে সড়কে অবস্থান নেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রশংসা করে স্লোগানও দেন। এছাড়া নেতাকর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা, বেলুন, দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় রাস্তায় ঘোড়ার গাড়ি, হাতি, ঢোল, ব্যান্ডপার্টি নিয়ে বাদক দলও দেখা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ