পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল মজুদ হওয়া সত্ত্বেও খুচরা চালের দাম কমছে না। বরং প্রতিদিনই বাড়ছে চালের দাম। এদিকে ঈদের পর থেকে ঊর্ধ্বমুখী সবজির দাম এখনও কমেনি। এতে করে সাধারণ মানুষকে আগের মতোই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে সবজি। শীত আসার আগেই রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে আসছে শীতকালীন সবজি। তবে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতাদের দাবি, শীতের সবজি এখনও পুরোপুরিভাবে আসা শুরু করেনি। পুরোপুরিভাবে আসলেই ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকবে সবজির দাম।
সরেজমিনে রাজধানীর ফার্মগেট, মিরপুর, কাঁঠাল বাগান, পলাশীবাজারসহ বেশকিছু খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নানা ধরনের শীতের সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। শীতকালীন সবজির মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, চিচিঙ্গা, লাউ, বরবটি এবং টমেটোসহ নানা ধরনের সবজি। এছাড়া লালশাক, পুঁইশাক, পালংশাক, মুলাশাক, লাউশাকসহ নানা ধরনের শাক পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। পলাশী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা আবির হোসেন বলেন, শীতকালীন সবজি এখনও বাজারে খুব বেশি আসেনি। এখন যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে, এগুলো প্রায় সারা বছর জুড়েই পাওয়া যায়। তবে শীতকালীন মুলা এবং সিমসহ কিছু সবজি আসতে শুরু করেছে। আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে বাজারে শীতের সবজির আমদানি বাড়বে। তখন দামও কমবে। গতকাল বাজারে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় টমেটো, ১০০ থেকে ১১০ টাকায় শিম, ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় মুলা পাওয়া। এছাড়া প্রতিটি বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ফুলকপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আঁটিভেদে শাকের দাম রাখা হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা।
অন্যান্য সবজির মধ্যে প্রতি কেজি ঢেড়স ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় গতকালের বাজারের প্রায় সব সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ গতকালের বাজারে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সবজির বাড়তি দাম প্রসঙ্গে সবজি বিক্রেতারা বলেন, বৃষ্টির কারণে এখন সবজির আমদানি কম। তবে কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টির মৌসুম শেষ হবে। একইসঙ্গে শীত মৌসুমের সবজিও আসবে। শাক-সবজির সরবরাহ বাড়লে দামও অনেক কমে যাবে। শিম, মূলাসহ বেশকিছু শীতকালীন সবজি কিনে ঘরে ফেরার সময় এক ব্যক্তি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল মজুদ হওয়া সত্ত্বেও চালের দাম কমছে না সবজির দামও বাড়তি। তিনি বলেন সাধারণ মানুষ কি খেয়ে বাঁচবে।
এদিকে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা, দেশি রসুন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, চীনা রসুন ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকা, আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে ইলিশের দাম। গতকালের বাজারে বড় আকারের জোড়া ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। এছাড়া মাঝারি আকারের ইলিশ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং ছোট আকারের ইলিশ কেজি প্রতি ৩৫০ থেকে ৪০০ দরে বিক্রি হয়। এছাড়া রুই মাছ ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। অন্যদিকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪২০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি প্রতিটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
এদিকে দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল মজুদ হওয়া সত্ত্বেও খুচরা ও পাইকারি বাজারে সব ধরনের চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দাম বাড়ার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মোটা চাল। রোজার ঈদের পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে মোটা সিদ্ধ চাল বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ২৬-২৮ টাকায়। বর্তমানে একই মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৪ টাকা থেকে ৩৬ টাকায়। প্রায় দুই মাসের ব্যবধানে খুচরা বাজারে মোটা চালের দাম কেজিতে ৮-১০ টাকা বেড়েছে। সরকারি ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের পর মিল ও চাতাল পর্যায়ে মজুদ প্রবণতার কারণে খুচরায় মোটা চালের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীতে কয়েকটি চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে দুই মাস আগে ২৬-২৮ টাকায় বিক্রি হওয়া গুটি চাল এখন ৩৬ টাকায় বিক্র হচ্ছে। অন্যদিকে একই পরিমাণ কিং স্বর্ণা নামের মোটা সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৭ টাকা দরে, যা দুই মাস আগে ২৮-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। পাশাপাশি মাঝারি ও সব ধরনের চালের দামও ঊর্ধ্বমুখী। তবে দাম বাড়ার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মোটা চাল তবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে চালের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ আসন্ন কার্তিকে দেশে আমনের নতুন ধান উঠবে। এ অবস্থায় মিলাররা অতিরিক্ত মুনাফার লোভে দাম বাড়িয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।