Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সচিব এবং পিএস সেজে প্রতারণা

চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৫ এএম

সচিব ও সচিবের পিএস সেজে প্রতারণা করত একটি প্রতারক চক্র। এ চক্রের সদস্যদের মধ্যে একজন আইটি সচিব পরিচয় দিতেন। অন্য দুইজনের মধ্যে একজন পরিচয় দিতেন সংসদ সচিবালয়ে আইটি সচিবের পিএ ও আপরজন নিজেকে জমির দালাল বলতেন। এরপর জমি বেচা-কেনার ফাঁদ পেতে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। এ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের ‘সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম’।

গ্রেফতাররা হলেন- চক্রের প্রধান মো. ইদ্রিস খান, মো. শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, মো. শহিদুল ইসলাম ও জাহিদ শিকদার। গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগের ডিসি মো. আশরাফ হোসেনের নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. তরিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের লিডার মো. শামসুল ইসলামের নেতৃত্বে এ প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ের প্রধান ফটকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম। তিনি বলেন, সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণির সঙ্গে চক্রটি প্রতারণা করে আসছিল। সাধারণত এই চক্রটিকে বলা হয়- রয়েল চিট এজেন্সি বা আরসিটি। চক্রের প্রধান ইদ্রিসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। অন্য দুইজনের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। ডিবি পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, প্রতারকরা প্রথমে জমি বেচা-কেনার জন্য টার্গেট ব্যক্তির কাছে গিয়ে বলতেন- সচিব স্যার জমি কিনতে চান। উনার কাছে টাকা কোনো বিষয় না। সচিব স্যার তো এতকিছু জানেন না, এক কোটি টাকার জমি। আপনি ২০ লাখ টাকার বায়না করেন। এই পুরো টাকাটা আপনি লাভ করতে পারবেন। তাদের ফাঁদে পা দিলেই তারা হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব আলম আরও বলেন, এভাবে তারা একটা প্রতারণার কৌশল তৈরি করে। এমনভাবে কৌশল তৈরি করে যাতে লোভে পড়ে মানুষ তাদের টাকা দিয়ে দেয়।

এই রকম শতাধিক ঘটনা তারা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাদের প্রতারণার কৌশলটা জমি বেচা-কেনা, রবি টাওয়ার নির্মাণ।

ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের এই যুগ্ম কমিশনার বলেন, মাদারীরপুরের কালকিনি থানা একটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আমাদের কাছে গ্রেফতার হওয়া শাহাবুদ্দিনের আপন বড় ভাই। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। আমারা তাকে গোয়েন্দা পুলিশে একাধিকবার গ্রেফতার করেছি। তিনি এই প্রতারক চক্রটিকে চালায়। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার একাধিক থানায় মামলা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সচিব এবং পিএস সেজে প্রতারণা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ