Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কন্যাশিশু অবহেলার নয়

প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোহাম্মদ আবু নোমান
শিশুরা ঘরের সৌন্দর্য ও স্বর্গীয় শোভা। সে প্রস্ফুটিত শোভার কাছে জগতের সব শোভাই অনাড়ম্বর। তাদের মাধ্যমে ঘর আলোকিত হয়। শিশুরা কী সুন্দর, কী অপরূপ, কী কোমল, কী মায়া, কী স্নেহ, কী মমতায় ভরা। যতই দেখা হোক, তৃষ্ণা মিটবে না। শিশুর স্পর্শ, চাহনি, হাঁটি-হাঁটি পা, চলন, বলন, উচ্ছ্বাস, উচ্ছলতা, হাসি যা হৃদয়গ্রাহী, মনোমুগ্ধকর। বিধাতা সৃষ্ট সবচেয়ে সুন্দর, নিষ্কলুষ সৃষ্টি। যাতে আমরা মুগ্ধ, বিমোহিত, সম্মহিত। জগতের সব মূল্যবান রতœ থেকেও দামি। যার মূল্য হয় না, সে সম্পদ অমূল্য। সে আমাদের শিশুরা যারা আমাদের ভবিষ্যৎ, আমাদের অহঙ্কার, আমাদের গর্ব, যারা গড়বে ইতিহাস। এই ভবিষ্যৎ প্রবক্তাদের চোখে-মুখে যদি আমরা আলোর রেণু এঁকে দিতে চাই, তাহলে সবার আগে তাদের উপযোগী পৃথিবী গড়ে দিতে হবে। তাদের বেড়ে উঠতে দিতে হবে অনুকূল পরিবেশ।
এই স্বর্গীয় শোভার একাংশ বিশেষত কন্যাশিশুরা সমাজে প্রতিনিয়তই নানা বঞ্চনার শিকার। কন্যাশিশুরা সমাজের অর্ধেক অংশ। সমাজের অর্ধেক অংশই যদি বঞ্চিত হয়, সে জাতি কখনো উন্নতি করতে পারে না। তাই কন্যাশিশুর অধিকারকে মানবাধিকারে পরিণত করতে হবে। শিশুর সামাজিকীকরণের সবচেয়ে বড় মাধ্যম তার পরিবার। নরম কাদামাটিকে যেমন একজন কারিগর যা ইচ্ছা তাই বানাতে পারেন, ঠিক একইভাবে একটি শিশুকে একই প্রক্রিয়ায় গড়ে তোলা অসম্ভব নয়। ভবিষ্যৎ জীবনে সে কী রকম আদর্শে হয়ে গড়ে উঠবে তা অনেকটা নির্ভর করে শিশুর পারিবারিক শিষ্টাচারের ওপর।
একজন নারী মা, স্ত্রী, বোন, ভাবী, ফুফু, কাকি, জেঠি, নানী, দাদি হতে পারেন। কিন্তু সবার প্রথমে তিনি একজন মেয়ে। মেয়েরা বিশ্ব বাগানে ফুলের মতো। এদের প্রতি দায়িত্ববোধ এখন আর শুধু নীতিবোধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং তা আইনানুগ বাধ্যবাধকতার আওতায় আনতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস’ একটি তাৎপর্যপূর্ণময় দিন। প্রতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বর কন্যাশিশু দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য ও মূল লক্ষ্যÑ মেয়েশিশুর অধিকার, মর্যাদা, সার্বিক নিরাপত্তা এবং পরিবেশ নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৪৫ শতাংশ ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু। আবার এ শিশুদের ৪৮ শতাংশই কন্যাশিশু। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক পরিসংখ্যান হলো, এই কন্যাশিশুদের ৬৪ শতাংশের পরিণত বয়স ও বিয়েতে পাত্র পছন্দে তাদের স্বাধীন মতামতের গুরুত্ব দেয়া হয় না। হজরত আলী (রা.) যখন ফাতেমা (রা.)কে বিবাহের প্রস্তাব দেন তখন রাসূল (সা.) বললেন, ‘তিনি এই প্রস্তাব তার মেয়েকে জানাবেন। ফাতেমা রাজি থাকলে এই বিয়ে হবে। রাজি না হলে হবে না’। কন্যাশিশুদের ধর্মীয় ও নৈতিকতাসম্বলিত শিক্ষা ও নিজেদের স্বাধীন মতামতের অধিকার অবশ্যই দিতে হবে।
নারীদের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে সাউথ সাউথ পুরস্কার ও জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ইউএন-উইমেন এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম কর্তৃক ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ’ অ্যাওয়ার্ড ও ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ খেতাবেও ভূষিত হয়েছেন। কন্যাশিশু দিবসে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন, শিশু অধিকার ফোরাম, প্ল্যান চাইল্ড প্রোটেকশন, সেভ দ্য চিলড্রেন, গার্ল সামিটসহ বিভিন্ন ফোরাম, অ্যাডভাইজার, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় অফিসসহ সব জেলা ও উপজেলায় কার্যক্রম রয়েছে। শিশু অধিকার ও নারীদের উন্নয়নে বিভিন্ন আইন রয়েছে।
এতকিছুর পরও শিশুর প্রতি বৈষম্য আর অধিকারের বিষয়টি আমরা ভুলে যাই। আদুরীর খবর আমরা সবাই জানি। আদুরীকে কীভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তাও আমরা জানি। আর কোনো কন্যাশিশুকে যাতে আদুরীর মতো নির্যাতনের শিকার না হতে হয় সে জন্য অপরাধীর উপযুক্ত শাস্তির বিধান করতে হবে। শিশু সুরক্ষার জন্য নীতিমালা, শিশু অধিকার আইন ইত্যাদি করা হলেও এখনো রয়েছে কন্যাশিশুর প্রতি বৈষম্য। আমরা দেখেছি, আইন ও নীতিমালা অনেকাংশে শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকে, বাস্তবে প্রয়োগ হয় না। বিশেষত সরকারি আর্থিক কার্যক্রম ও কর্মসূচিগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নে কঠিন ও কঠোর হাতে তদারকি করতে হবে।
শিশুদের সামগ্রিক উন্নয়নে প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ। কন্যাশিশুরা গুরুত্বপূর্ণ এটা আমাদের বারবার করে বলতে হবে। কন্যাশিশুরা শিক্ষিত হলে নারীরা শিক্ষিত হয়। আর নারীরা শিক্ষিত হলে পুরো জাতি শিক্ষিত হবে। একইভাবে কন্যাশিশুরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হলে নারীরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়। আর নারীরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হলে তাদের গর্ভ থেকে সুস্থ সন্তানের জন্ম হয়।
এখনো কন্যাশিশুর বিকাশের অনেক দরজাই বন্ধ রয়েছে। এ বন্ধ দরজাগুলো আমাদের খুলে দিতে হবে। শুধুমাত্র নারী হওয়ার কারণে আজও পৃথিবীর প্রতিটি কোণে নারীরা অবহেলিত, নির্যাতিত, বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। এখনো কন্যাশিশুর শিক্ষা অর্জনের পথে পরিবারের যথেষ্ট উদার মানসিকতার পরিচয় মেলে না। আর্থিক কারণে পড়াশোনা বন্ধ হলে কন্যাশিশুর লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়ে ছেলের লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। মেধা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পরিবার তাদের প্রাপ্ত সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে। কন্যাশিশুর অসুস্থতা ও পর্যাপ্ত পুষ্টি চাহিদাসহ খাবারদাবার সম্পর্কিত কুসংস্কার ও সমাজে প্রচলিত নীতিকথা আর চিন্তাচেতনা থেকে এখনো বেরিয়ে আসতে পারেনি অনেকেই।
ইসলামই নারীর জীবনের শিক্ষার অধিকার, কাজের অধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার, ব্যক্তি স্বাধীনতা, নারীর মর্যাদা রক্ষায় পর্দা ইত্যাদি বিষয়ে চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা দিয়েছে। একমাত্র ইসলামেই কন্যাশিশুর চরিত্র গঠন ও শিক্ষা-দীক্ষার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সাধারণত পুত্রসন্তানের প্রতি যে অধিক যতœ নেওয়া হয়, কন্যাশিশুর প্রতি তা করা হয় না। এটি আমাদের জরাজীর্ণ কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজব্যবস্থার মারাত্মক ত্রুটি। ইসলামের সুমহান বাণী আমাদের বোধে-বিশ্বাসে সুদৃঢ়ভাবে অবস্থান করে নিতে পারেনি। অথচ রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের সন্তানদের মধ্যে কন্যাই উত্তম’।
অনেক শিক্ষিত সজ্জন পরিবারেও মেয়ে সন্তানের চেয়ে ছেলে সন্তানের গুরুত্ব বেশি দেখে। চাচা-দাদিরা বলে থাকেন সোনার আংটি [ছেলেশিশু] বাঁকাও ভালো। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে চাকরিরত একজন ইঞ্জিনিয়ার তার ভাইয়ের প্রথম সন্তান মেয়ে হয়েছে শুনে বলে ফেলেছেন, আহা ‘লস্ট প্রজেক্ট’। এই যদি হয় এই দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তির কন্যাশিশু সম্পর্কে মূল্যায়ন তবে যারা শিক্ষার আলো থেকে দূরে বা সামান্য শিক্ষিত অথবা আধাশিক্ষিত তাদের মনোভাব কেমন হবে?
কন্যাসন্তানের জন্ম যে একটি দুর্ঘটনা যা অনাকাক্সিক্ষত ও অবাঞ্ছনীয়, মন-মগজ থেকে এ হীন চিন্তাকে রাসূল (সা.) নির্মূল করে দিয়েছেন। বিশ্বনবী (সা.) বলেনÑ ‘যে ব্যক্তির কন্যাসন্তান আছে সে যদি তাকে জীবন্ত প্রোথিত না করে, তাকে অপমান লাঞ্ছিত না করে এবং পুত্রসন্তানদের প্রতি তার তুলনায় অধিক গুরুত্ব না দেয় তা হলে আল্লাহ তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন’। তিনি আরও ইরশাদ করেনÑ যদি কোনো ব্যক্তি তার দুটি কন্যাকে সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত প্রতিপালন করে তা হলে সে এবং আমি কিয়ামতে এমনভাবে আগমন করব যেমন আমার দুটি আঙ্গুল একত্র আছে (মুসলিম)।
প্রাক-ইসলামী অন্ধকার যুগের হীন মনোবৃত্তির কথা আল্লাহপাক মানবজাতিকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে ইরশাদ করেছেন, ‘আর তাদের কাউকে যখন কন্যাসন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সংবাদ দেয়া হয়, তার মুখম-ল কালিমায় আচ্ছন্ন হয় এবং সে হয়ে পড়ে মর্মাহত। প্রাপ্ত সংবাদের গ্লানি হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য সে আত্মগোপন করে লোকচক্ষুর অন্তরালে। (এবং ভাবতে থাকে) গ্লানি সত্ত্বেও কন্যাটিকে সে রক্ষা করবে, না মাটিতে পুঁতে ফেলবে? সাবধান! তারা যা সিদ্ধান্ত করে তা কতই না নিকৃষ্ট’ (আন-নাহল)।
জ্ঞান-বিজ্ঞানের এই যুগেও জাহেলি যুগের জীবন্ত পুঁতে ফেলার প্রথা চালু রয়েছে। পত্রিকার পাতায় প্রায়ই খবর আসে, কন্যা জন্মদানের অপরাধে মা-মেয়েকে হত্যা করেছে পাষ- বাবা। কিংবা পাচারকারীর কবল থেকে বিপুলসংখ্যক নারী-শিশু উদ্ধার। নারী ও শিশু পাচারচক্র জনগণের বিশ্বাসের চরম অবমাননা ও অবমূল্যায়ন করে থাকে। এ প্রসঙ্গে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘এর চেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা আর কিছুই নেই যে তুমি এমন ব্যক্তির সঙ্গে মিথ্যার আশ্রয় নেবে, যে তোমাকে বিশ্বাস করে’।
বর্তমান সমাজে অনেকেই কন্যাসন্তান জন্ম নিলে খুবই বিব্রতবোধ করেন। অনেকে সামাজিক সম্মানের পথে বাধা হিসেবে গণ্য করেন কন্যাশিশুকে। একাধিক কন্যা হলে অত্যন্ত হতাশ ও বিমর্ষ হয়ে পড়েন। কেউ কেউ কন্যাশিশু জন্ম দেয়ার অপরাধে জন্মদাত্রীকে নিগৃহীত ও অমানুষিক নির্যাতন এমনকি তালাক দেয়ার মতো নির্মম ও জঘন্য পাপের পথেও পা বাড়ায়। এ ছাড়াও অত্যাধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে গর্ভস্থ সন্তানটি মেয়ে না ছেলে জেনে নিয়ে অনেকেই রাষ্ট্রীয় আইন এবং নৈতিকতার সীমা লঙ্ঘন করে কন্যা ভ্রƒণ হত্যা করছেন। নির্মম ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র এমনকি বিশ্বব্যবস্থায় বিরাজমান বাস্তবতা কন্যাশিশুর মর্যাদা ও অধিকার সুরক্ষার পক্ষে মোটেই অনুকূলে নয়।
নবী করিম (সা.) তার প্রাণপ্রিয় কন্যা হজরত ফাতেমা (রা.)-এর সঙ্গে যে ধরনের উঁচুমানের ব্যবহার করতেন, তা ছিল তৎকালীন সমাজের নিয়মকানুন বহির্ভূত। রাসূল (সা.) যখনই কোনো সফরের জন্য প্রস্তুত হতেন তখন সর্বশেষ যার কাছ থেকে বিদায় নিতেন তিনি হলেন ফাতেমা (রা.)। আবার যখন ফিরে আসতেন তখন সর্বপ্রথম ফাতেমা (রা.) সাথে সাক্ষাৎ করতেন। ফাতেমা (রা.) যখনই রাসূল (সা.)-এর দরবারে আসতেন, পিতা রাসূল (সা.) তখনই স্নেহের পরবাসে দাঁড়িয়ে যেতেন ও চুমু খেতেন। যেখানেই যেতেন শিশু ফাতেমাকে সঙ্গে নিয়ে বলতেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যার প্রথম সন্তান মেয়ে।’ নবী করিম (সা.) কন্যাশিশু তথা নারীর অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে হজরত ফাতেমা (রা.)-এর মাধ্যমে অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বলেন, ‘কন্যাসন্তান সুগন্ধি ফুল, আমি তার সুগন্ধি গ্রহণ করি আর তার রিজিক তো আল্লাহর হাতে’। ‘কোনো ব্যক্তি বাজারে গেল, একটি উপহার কিনে তা বহন করে নিজের সন্তানদের জন্য নিয়ে এলো। তার এ কাজ দুর্ভিক্ষপীড়িত লোকদের জন্য দান-খয়রাত বহন করে নিয়ে যাওয়ার মতো মর্যাদাপূর্ণ। ছেলেসন্তানদের পূর্বে মেয়েদের উপহার দিবে’।
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কন্যাশিশু অবহেলার নয়

১ অক্টোবর, ২০১৬
আরও পড়ুন