পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রিটিশ মানবাধিকার আন্দোলনের নেতা প্রয়াত লর্ড ফেনার ব্রকওয়ে একবার মন্তব্য করেছিলেন, ‘এক অর্থে, শেখ মুজিব (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) জর্জ ওয়াশিংটন, মহাত্মা গান্ধী ও ডি ভ্যালেরার চেয়ে বড় নেতা।’
এ ছাড়া অন্য আরো বড় বড় ব্যক্তি আছেন, তারাও বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। এর মধ্যে একজন হলেন- ভারতের মনিপুর ও ঝাড়খন্ড রাজ্যের সাবেক গভর্নর বেদ মারওয়া। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার স্মৃতিচারণ করে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি আমার কর্মজীবনে জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীসহ অনেক ক্যারিসমেটিক বিশ্বনেতার সঙ্গে মিশেছি। কিন্তু আমি অবশ্যই বলবো যে, তার মধ্যে তিনি (শেখ মুজিব) ছিলেন সবচেয়ে বেশি ক্যারিসমেটিক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন।’
নয়াদিল্লী বিমানবন্দরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বৈঠকের কথা স্মরণ করে মারওয়া আরো লেখেন, ‘ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সাধারণত রিজার্ভ ব্যক্তিত্বের মানুষ। কিন্তু এদিনের ঘটনা ছিল ব্যতিক্রম। এর আগে তার মুখে এতো বড় হাসি আমি কখনও দেখিনি। তিনি একজন যুবতী মেয়ের মতো হাসছিলেন। দু’জনের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে একটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল।’
ফেনার ও মারওয়ার মতো বিশ্বের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই বাঙালির ভক্ত হয়ে উঠেছিলেন। যিনি ১৯২০ সালে বিশ্বের এই অঞ্চলের পলিমাটিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শেখ মুজিব, তার ক্যারিসমেটিক নেতৃত্ব, আকাশচুম্বী ব্যক্তিত্ব, তার অদম্য সাহস এবং জাতির প্রতি তার নিঃশর্ত শ্রদ্ধা ও অঙ্গীকারের ব্যাপারে তারা ব্যাপক প্রশংসা করেছেন।
এদের অনেকেই বঙ্গবন্ধুকে একটি প্রতিষ্ঠান, একটি আন্দোলন, একটি বিপ্লব, একটি গণঅভ্যুত্থান এবং সবার উপরে একটি দীর্ঘ অপশাসনের হাত থেকে বাঙালি জাতির মুক্তির প্রধান স্থপতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে দেয়া তার ভাষণকে একটি মহাকাব্য হিসেবে মনে করা হয়। বঙ্গবন্ধুর মতো খুব কমসংখ্যক বিশ্বনেতাই এ ধরনের ভাষণ দিয়েছেন।
১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের শীর্ষ বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো বাংলাদেশের জাতির জনককে জড়িয়ে ধরে আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি। তবে আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতার দিক থেকে এই মানুষটি হিমালয়। তাই আমি হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতা পেলাম।’
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের খবর শোনার পর সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড উইলসন এক বাঙালি সাংবাদিককে লিখেছিলেন ‘এটা তোমাদের জন্য একটি সর্বোচ্চ জাতীয় ট্রাজেডি। আমার জন্য এটা গভীর মাত্রায় ব্যক্তিগত ট্রাজেডি।’
রেশিনিং সিস্টেমে যুবলীগের খাদ্য সহায়তা: করোনা সংকটে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের শিকার সকল শহীদ স্মরণে রেশনিং সিস্টেম আদলে রেশন কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ যুবলীগের কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রায় ৫০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এ সময় নিখিল বলেন, করোনার এই মহাসংকটে যুবলীগ সারাদেশে অসহায় মানুষের পাশে আছে। খাদ্য সামগ্রী, অক্সিজেন, অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে মানুষের পাশে থেকে কাজ করছে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। করোনা মোকাবিলায় সবাইকে ভ্যাক্সিন নেয়াসহ ভ্যাক্সিন কার্যক্রম পরিচালনায় টিকা কেন্দ্রগুলোতে যুবলীগ নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় কাজ করার জন্য আহŸান জানাচ্ছি।
তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখনই করোনার এই মহাসংকটে মানুষের পাশে থাকার সময়, মানুষের সেবা করার সময়, তাই যুবলীগের নেতা-কর্মীদেরকে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থেকে কাজ করে যেতে হবে। বিএনপি জামাত ক্ষমতায় থেকে শুধু অর্থ কামিয়েছে কিন্তু বর্তমানে করোনার এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে নেই। এতেই প্রমাণ হয় বিএনপির রাজনীতি মানুষের কল্যাণে নয় বরং নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। এসময় উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, জহির উদ্দিন খসরু, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, মানিক লাল ঘোষসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
স্টকহোমে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্রে বঙ্গবন্ধুর উদ্বোধন: মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস স্টকহোমের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী-‘আলোকচিত্রে বঙ্গবন্ধু’র উদ্বোধন করা হয়েছে।
দূতাবাস প্রাঙ্গনে সেখানকার সময় অনুযায়ী গতকাল অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুইডেন নিবাসী বঙ্গবন্ধু অনুরাগী মোহাম্মদ আফতাবুর রহমানের সংগৃহীত এবং মুদ্রিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পারিবারিক, রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক ও ক‚টনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দুর্লভ ছবি এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল জানানো হয় অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম, মোহাম্মদ আফতাবুর রহমান এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দের উপস্থিতিতে ফিতা কেটে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। দুই সপ্তাহ ব্যাপী এ আলোকচিত্র প্রদর্শনী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দূতাবাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।