পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে সুপেয় পানির সুযোগ বঞ্চিত জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম হলেও আমাদের দেশের ৮৭ শতাংশ মানুষ উন্নত উৎসের পানি সুবিধার আওতায় রয়েছে। এ ছাড়া ২০ শতাংশ টিউবয়েলে আর্সেনিকের ভয়াবহতা রয়েছে, যার ৯০ শতাংশ গ্রামে। সংবিধানে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা বিধান নিশ্চিত করার পাশাপাশি জাতিসংঘ ঘোষিত ‘এসডিজি’ অর্জনে পানি ও স্যানিটেশন খাতকে বিশেষ নজর দিতে হবে’। গতকাল রাজধানীর বাংলামটস্থ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে বেসরকারী সংস্থা ‘র্ডপ’ আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা: প্রসঙ্গ- পানি অধিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এ কথা বলেন।
র্ডপ’র সভাপতি মো. আজ্হার আলী তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ। তৃতীয়মাত্রার উপস্থাপক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নূরজাহান বেগম মুক্তা। ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রপেসর ড. হামিদুল হকের মূল বক্তব্য উপস্থাপন শেষে আলোচনায় অংশ নেন, পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা- ওয়ার্পোর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্ত মোহাম্মদ আলমগীর, র্ডপ এর প্রতিষ্ঠাতা ও গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী এএইচএম নোমান, নেদারল্যান্ডস্থ ‘বোথএন্ডস’ প্রতিনিধি রেমি কেমর্পাস, বাংলাদেশ ওয়াশ এ্যালায়েন্সের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর অলক কুমার মজুমদার, হ্যালভিটাস সুইস ইন্টারকোঅপারেশনের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর উম্মে হাবিবা প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, শহরের জন্য পানি ও স্যানিটেশন খাতে জনপ্রতি বরাদ্দ ৯০০ টাকা। অথচ চরবাসীর জন্য জনপ্রতি ১১ এবং পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য ২২ টাকা, উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য ২০০ টাকা। বিদ্যমান এ বৈষম্য পানি ও স্যানিটেশন সেক্টরের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা। এ ছাড়া দেশে ১ শতাংশ লোক এখনও খোলা জায়গায় মলমূত্রত্যাগ করে, স্যানিটেশন ব্যবহারে এক শতাংশই পূরণ করাই এখন সরকারের চ্যালেঞ্জ।
বক্তারা বলেন, টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে পিছিয়ে পড়া চর, হাওর, উপকূল, নদী ভাঙ্গা, পার্বত্য ও চা-বাগান এলাকাগুলোতে স্যানিটেশনের উন্নয়নে আরো কাজ করতে হবে। পানি ও স্যানিটেশন খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি বরাদ্দকৃত বাজেট সঠিক সময়ে মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো, মানসম্মত বাস্তবায়ন ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। দারিদ্র্য হ্রাস করণের পাশাপাশি জনমান উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিসহ আয় বাড়ানোর জন্য পানি ও স্যানিটেশনকে আলাদা খাত হিসেবে চিহ্নিত করে এ খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির মাধ্যমে সকলের অধিকার নিশ্চিত করার আহবান জানান বক্তারা। পাশাপাশি দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে সরকারের ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’ ও ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কর্মসূচীকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবারও আহবান জানান তারা।
প্রধান অতিথি মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেন, পানি ও স্যানিটেশন খাতে সরকারের সাফল্য অনেক। রাজধানীতে প্রতিদিন ৩২-৩৫ কোটি লিটার পানির চাহিদা রয়েছে। ঢাকা ওয়াসার চাহিদা পূরণে সরকার পদœা ও যমুনা নদী থেকে পানি আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। পানি অপচয় রোধ করতে পারলে সরকার সকলের মধ্যে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারবে। সকলের অধিকার নিশ্চিত করণে গরীব মানষের জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে হবে। বৃষ্টির পানি সবচেয়ে বিশুদ্ধ পানি, এ পানি সংরক্ষণ করে ব্যবহারের উদযোগ নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী ৫ বছরের মধ্যে সকল নদীর ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন করতে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।