Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিভে গেল পক্ষাঘাতগ্রস্ত বিধবা মায়ের আশার প্রদীপ আহত চবি ছাত্রের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চবি সংবাদদাতা : টানা পাঁচদিন যন্ত্রণা শেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনেছে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুমিত মিত্র (২০)। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল পৌনে ১০টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিভে গেছে পক্ষাঘাতগ্রস্ত বিধবা মায়ের একমাত্র আশার প্রদীপ। 

সুমিত চবি আইন অনুষদের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেইট এলাকায় সিএনজি অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়। এতদিন তিনি চমেকের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে কর্তব্যরত এএসআই পংকজ বড়ুয়া বলেন, মাথায় জখম এবং প্রচুর রক্তক্ষরণের জন্য সুমিত অনেকটা ক্লিনিক্যালি ডেড ছিলেন। সকাল পৌনে ১০টায় তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সুমিতের মরদেহ তার চাচা এবং মামার কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানান এএসআই পংকজ।
মা-বাবার একমাত্র সন্তান সুমিতের বাড়ি সাতক্ষীরায়। তার বাবা সন্দ্বীপ মিত্র দেড় বছর আগে মারা গেছেন। মা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল সুমিত। সুমিতের পরিবারের ঘনিষ্ঠজন নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) মো. কামরুজ্জামান বলেন, এই মৃত্যু খুবই মর্মান্তিক। দেড় বছর আগে স্বামী মারা গেল। এখন ছেলেও চলে গেল। সুমিতের মা খুবই অসহায় হয়ে পড়লেন। তার আশা ছিল ছেলে বড় হলে মায়ের দুঃখ গুছবে। আশার প্রদীপটিও নিভে গেল।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিভে গেল পক্ষাঘাতগ্রস্ত বিধবা মায়ের আশার প্রদীপ আহত চবি ছাত্রের মৃত্যু
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ