পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধী দলের সদস্য ও সমর্থকদের পায়ে গুলি করছে। আহতরা ব্যাখ্যা করেছে, তাদেরকে পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় গুলি করা হয় এবং পরে মিথ্যা দাবি করা হয় যে, তারা বন্দুকযুদ্ধে অথবা বিক্ষোভের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ৪৫ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে দ্রুত, নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। সংস্থাটির এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড এডামস বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- অথবা সহিংসতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে ২৫ জনের কাছ থেকে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সদস্য ও সমর্থক। এরা বলেছেন, পুলিশ কোনও উস্কানি ছাড়াই তাদের পায়ে গুলি করে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, পায়ে গুলি করার এই প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে ২০১৩ সালের শুরুর দিকে। সেসময় যুদ্ধাপরাধের দায়ে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশ হলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের আগে আবারও বিক্ষোভ হয় দেশটিতে। সংস্থাটি বলছে, এই সময়ের মধ্যে এবং এখন পর্যন্ত তারা অনেকগুলো ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করেছে- যেখানে নির্যাতন, জোরপূর্বক নিখোঁজ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- ও বিধিবহির্ভূত গ্রেফতারের অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের উচিত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা এবং জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধিদের আহ্বান জানানো যাতে করে তারা এসব ঘটনার তদন্ত করে এবং ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংস্কারের জন্য উপযুক্ত সুপারিশ করতে পারেÑ বলছে সংস্থাটি। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।