পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুন্দরবনের অদূরে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবন অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ও প্রচার মাধ্যমে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তার বিজ্ঞানসম্মত কোনো ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। জাতীয় সংসদে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য পিনু খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ফলে সুন্দরবন অঞ্চলে কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় প্রস্তাবিত ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিক্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের অবস্থান প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ সুন্দরবনের নিকটস্থ এলাকায় হওয়ায় আলোচ্য প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হবে এবং এই প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পড়হঃৎঁপঃরড়হ ধহফ ড়ঢ়বৎধঃরড়হ ঢ়যধংব-এ সুন্দরবনের উপর যে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সুন্দরবনের পরিবেশ সুরক্ষায় প্রকল্পে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত বায়ুর মানমাত্রা পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গাইডলাইন-এ উল্লেখিত নির্ধারিত মানমাত্রার মধ্যে থাকবে। কোনো ধরনের টহঃৎবধঃবফ অথবা ঐবধঃবফ ডধঃবৎ নদীতে নির্গমন করা হবে না এবং ইপিটিতে পরিশোধিত পানি যথাসম্ভব পুন:ব্যবহার করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশের চেয়ে কম সালফারযুক্ত উন্নতমানের বিটুমিনাস কয়লা ব্যবহার করা হবে যা অস্ট্রেলিয়া/ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানী কর হবে। এছাড়া উঁচু চিমনি, পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য মিটিগেশন মেজার্স ইত্যাদি রাখা হয়েছে। কয়লা থেকে যাতে দূষণ না হয় তারও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।