পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বনের পশুপাখি খাঁচায় বন্দি করে পোষা দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু আইনের কিছু ফাঁকফোকরে বন্য প্রাণী ও পাখি প্রতিপালন করা হয়। রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেট কাঁটাবন এলাকায় পশুপাখির বিশাল বাজার গড়ে উঠেছে। শেয়াল, বেজি, কুকুর থেকে শুরু করে সব ধরনের পাখি ও মাছ পাওয়া যায়। এতে কিছু লোকের কর্মসংস্থানও হয়েছে। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর লকডাউন যেন মৃত্যুফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে কাঁটাবনের খাচায়বন্দি পশুপাখিদের জন্য। দোকান বন্ধ থাকায় আলো, বাতাস আর খাবারের অভাবে এরই মধ্যে মারা গেছে প্রায় ৫শ’ পশুপাখি। খাঁচাবন্দি এসব প্রাণীর মৃত্যুর জন্য ব্যবসায়ীদের অমানবিক আচরণকে দুষছেন পরিবেশবাদীরা।
একটি টিভির সরেজমিন প্রতিবেদনে দেখা গেল বেশকিছু পাখি মরে পড়ে রয়েছে। অনেক পাখি হাঁসফাঁস করছে। দিনের পর দিন বন্দি ওই পশুপাখিগুলোকে দোকানের মালিকরা নিয়মিত খাবার দেন না।
লকডাউনে দিন কিংবা রাত কাঁটাবনের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকলে কানে ভেসে আসে অবুঝ প্রাণীগুলোর আর্তনাদ। পাখির আর্তনাদে যে কারো হৃদয় দুমড়ে-মুচড়ে যাবে। একে তো খাঁচায় বন্দি, তার ওপর দোকান বন্ধ। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, প্রতিটা মুহূর্ত কাটে অন্ধকারে। অন্যসময় উচ্চমূল্যে বিক্রির জন্য মনিবের (পশু পাখি ব্যবসায়ী) কাছে বিশেষ কদর থাকলেও দুঃসময়ে কেউ খোঁজও রাখে না। দিনের পর দিন আলো, বাতাস, খাবার না পেয়ে মৃত্যুই যেন শেষ ঠিকানা।
বন্ধ দোকান খুলতেই অবলা কুকুরটির আত্মচিৎকারই জানান দিচ্ছে অন্ধকার জীবনের পাশাপাশি ক্ষুধার যন্ত্রণা কতটা কষ্টের। নিস্তেজ শরীরে কেবলই বাঁচার আশা। এই বুঝি কেউ খাবার নিয়ে এলো। অভুক্ত থাকায় খাঁচায়বন্দি ছোট্ট পাখিটিও বড্ড ক্লান্ত, মাথা তোলার ক্ষমতা নেই। পাশ থেকে সঙ্গী পাখি দুটি অভয় দিচ্ছে অনবরত। একই চিত্র রাজধানীর বৃহত্তম পোষা প্রাণীর মার্কেট কাঁটাবনের অন্যান্য দোকানেও। নিয়মিত খাবার না দিয়ে চরম নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিচ্ছে পোষা প্রাণী বিক্রেতারা।
পশুপাখি বিক্রেতারা বলছেন, আমরা নিজেরা না খেলেও পশুপাখিকে খাবার দিচ্ছি। লকডাউনে দোকান না খোলার কারণে অনেকগুলো পাখি মারা গেছে। এক বেলায় যদি ৩ বেলার খাবার দেওয়া হয় তা হলে পশুপাখি অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আরো বেশি থাকে। এক ব্যবসায়ী বললেন, পাখিগুলো আমার সম্পদ। কিন্তু নিজে খেতে পারি না, ওদের কি খাওয়াবো? অনেক পাখি মারা গেছে।
কঠোর লকডাউনে মানবিক দিক বিবেচনায় পশুপাখিদের যত্ম নিতে সকাল-বিকেল ২ ঘণ্টা করে সময় বেঁধে দেয় মন্ত্রণালয়। তবে এমন সিদ্ধান্ত খুব একটা কাজে আসছে না বলে জানায় পশু পাখির ব্যবসায়ীরা।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি আতিয়ার রহমান রিপন গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে আমাদের যে সময় দেওয়া হয়েছে এই সময়ে আসলে পশুপাখি এবং অ্যাকোরিয়ামের জন্য যথেষ্ট নয়।
অ্যানিম্যাল কেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা আফজাল খান বলেন, মানুষের মতো পশুপাখিদেরও দীর্ঘ সময় আবদ্ধ থাকা সম্ভব নয়। অবলা প্রাণীদের মৃত্যুর দায় দোকান মালিকরা কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, অসহায় প্রাণীগুলো যাতে অবহেলার শিকার না হয়, সেজন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা না পারলে পশুপাখিগুলোকে ছেড়ে দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।